ভিখারির কোলে ফেলা যাওয়া শিশুর ঠাঁই ডিসির সংসারে

ভৈরবে এক মায়ের ফেলে যাওয়া সদ্যজাত শিশুর ঠাঁই হলো কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সংসারে। জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শিশুটিকে তার হেফাজতে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে এক মহিলা বাস থেকে নেমে এক নারী ভিক্ষুকের কোলে আনুমানিক তিনদিন বয়সের মেয়ে শিশুটিকে রেখে টয়লেটে যাবার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরে ওই ভিক্ষুক স্থানীয় যুবক আশরাফকে জানালে তিনি বিষয়টি ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানাকে অবহিত করেন। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা শিশুটিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করেন এবং থানায় জিডির করান। এর মধ্যে বহু মানুষ শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও আইনগত কারণে সেটা আর হয়নি। তবে সোমবার শিশুটিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার বাসায় নিয়ে গেছেন। অবশেষে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী আদালতে শিশুটিকে দত্তক নিতে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী সোমবার সন্ধ্যায় আবেদন মঞ্জুর করে শিশুটিকে জেলা প্রশাসককে দত্তক দেয়ার আদেশ দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে শিশুটিকে দত্তক নিচ্ছেন জানিয়ে বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী সুমনা আনোয়ার আজ বুধবার ভৈরব গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসা থেকে শিশুটিকে নিজ বাসায় নিয়ে আসবেন। উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসকের ঔরসে প্রায় দু’বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ভিখারির কোলে ফেলা যাওয়া শিশুর ঠাঁই ডিসির সংসারে

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

ভৈরবে এক মায়ের ফেলে যাওয়া সদ্যজাত শিশুর ঠাঁই হলো কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সংসারে। জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শিশুটিকে তার হেফাজতে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে এক মহিলা বাস থেকে নেমে এক নারী ভিক্ষুকের কোলে আনুমানিক তিনদিন বয়সের মেয়ে শিশুটিকে রেখে টয়লেটে যাবার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরে ওই ভিক্ষুক স্থানীয় যুবক আশরাফকে জানালে তিনি বিষয়টি ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানাকে অবহিত করেন। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা শিশুটিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করেন এবং থানায় জিডির করান। এর মধ্যে বহু মানুষ শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও আইনগত কারণে সেটা আর হয়নি। তবে সোমবার শিশুটিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার বাসায় নিয়ে গেছেন। অবশেষে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী আদালতে শিশুটিকে দত্তক নিতে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী সোমবার সন্ধ্যায় আবেদন মঞ্জুর করে শিশুটিকে জেলা প্রশাসককে দত্তক দেয়ার আদেশ দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে শিশুটিকে দত্তক নিচ্ছেন জানিয়ে বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী সুমনা আনোয়ার আজ বুধবার ভৈরব গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসা থেকে শিশুটিকে নিজ বাসায় নিয়ে আসবেন। উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসকের ঔরসে প্রায় দু’বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।