লাউয়াছড়ায় গাছ চুরি বন্ধ করুন

শ্রীমঙ্গলে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনের গাছ চুরি বেড়ে গেছে। গাছ চুরিতে সরাসরি সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। লাউয়াছড়া বনের গাছ চুরি করে সেগুলো শহরের বিভিন্ন স’মিলে বিক্রি করে দিচ্ছে তারা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ খবর প্রকাশ করেছে।

শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া বনটিকে বলা হয় বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য। কিন্তু সেই অভয়ারণ্য থেকে যদি এভাবে গাছ চুরি করে বন উজাড় করে ফেলা হয়, তাহলে এর অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়বে। লাউয়াছড়া বনটি বনখেকোরা নানাভাবে নানা কায়দায় উজাড় করছে। প্রায়ই পত্রিকায় লাউয়াছড়া উদ্যানের গাছপালা উজাড় করার খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অর্থাৎ বনটি সংরক্ষণে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয় না। এখন দেখা যাচ্ছে খোদ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এসবের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের মদদেই উজাড় করা হচ্ছে সমানতালে।

বনটি রক্ষার্থে পরিবেশবাদীরাসহ বিভিন্ন মহল আন্দোলন করেছিল। সমস্যা হচ্ছে-সরকারের এ ব্যাপারে কোন মাথাব্যথাই নেই। এ বনটি যে রক্ষা করা দরকার বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে সেটা কি সরকার বা সংশ্লিষ্টরা বোঝে না? নাকি তারা চায় না বনটি রক্ষা করা হোক। এ বনটি রক্ষা হলে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য দুটোই রক্ষা পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।

আমরা চাই, অবিলম্বে বনের গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক। যে কোন মূল্যেই বনটি রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন সময় এ বন ধ্বংসের পাঁয়তারা বা ষড়যন্ত্র যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

লাউয়াছড়ায় গাছ চুরি বন্ধ করুন

শ্রীমঙ্গলে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনের গাছ চুরি বেড়ে গেছে। গাছ চুরিতে সরাসরি সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। লাউয়াছড়া বনের গাছ চুরি করে সেগুলো শহরের বিভিন্ন স’মিলে বিক্রি করে দিচ্ছে তারা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ খবর প্রকাশ করেছে।

শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া বনটিকে বলা হয় বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য। কিন্তু সেই অভয়ারণ্য থেকে যদি এভাবে গাছ চুরি করে বন উজাড় করে ফেলা হয়, তাহলে এর অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়বে। লাউয়াছড়া বনটি বনখেকোরা নানাভাবে নানা কায়দায় উজাড় করছে। প্রায়ই পত্রিকায় লাউয়াছড়া উদ্যানের গাছপালা উজাড় করার খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অর্থাৎ বনটি সংরক্ষণে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয় না। এখন দেখা যাচ্ছে খোদ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এসবের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের মদদেই উজাড় করা হচ্ছে সমানতালে।

বনটি রক্ষার্থে পরিবেশবাদীরাসহ বিভিন্ন মহল আন্দোলন করেছিল। সমস্যা হচ্ছে-সরকারের এ ব্যাপারে কোন মাথাব্যথাই নেই। এ বনটি যে রক্ষা করা দরকার বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে সেটা কি সরকার বা সংশ্লিষ্টরা বোঝে না? নাকি তারা চায় না বনটি রক্ষা করা হোক। এ বনটি রক্ষা হলে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য দুটোই রক্ষা পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।

আমরা চাই, অবিলম্বে বনের গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক। যে কোন মূল্যেই বনটি রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন সময় এ বন ধ্বংসের পাঁয়তারা বা ষড়যন্ত্র যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।