জলাভূমি রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে দেশে জলাভূমি কমে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গত ৪ দশকে অসংখ্য জলাভূমি হারিয়ে গেছে। শিল্পায়নসহ নানা কারণে ভরাট করে ফেলা হচ্ছে জলাভূমি। এমনকি রাজধানী ঢাকার চারপাশে থাকা এক সময়ের জলাভূমি অবকাঠামো উন্নয়ন করতে গিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। তথ্য বলছে, গত এক দশকে ঢাকা ২২ শতাংশ জলাভূমি হারিয়েছে। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে যে হারে কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৭০ সাল নাগাদ দেশে কোন কৃষি জমিই থাকবে না।

জলাভূমির একটি বড় অংশজুড়ে থাকে প্রাকৃতিক মৎস্য ভাণ্ডার যা বিশাল এ জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরণ করে। আবাসন প্রতিষ্ঠার প্রসার, বালু বা মাটি ফেলে জলাভূমি ভরাট, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কারণে দিন দিন দেশের জলাভূমির পরিমাণ কমে আসছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছসহ জলজ প্রাণী। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রতি বছর ৪২ হাজার একর কৃষি জমি ও জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে।

কৃষি উৎপাদনে যেমন জলাভূমির জলের ভূমিকা অনস্বীকার্য তেমনি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও জলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জলাভূমি রক্ষায় আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। জলাভূমি রক্ষায় সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

জলাভূমি রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে দেশে জলাভূমি কমে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গত ৪ দশকে অসংখ্য জলাভূমি হারিয়ে গেছে। শিল্পায়নসহ নানা কারণে ভরাট করে ফেলা হচ্ছে জলাভূমি। এমনকি রাজধানী ঢাকার চারপাশে থাকা এক সময়ের জলাভূমি অবকাঠামো উন্নয়ন করতে গিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। তথ্য বলছে, গত এক দশকে ঢাকা ২২ শতাংশ জলাভূমি হারিয়েছে। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে যে হারে কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৭০ সাল নাগাদ দেশে কোন কৃষি জমিই থাকবে না।

জলাভূমির একটি বড় অংশজুড়ে থাকে প্রাকৃতিক মৎস্য ভাণ্ডার যা বিশাল এ জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরণ করে। আবাসন প্রতিষ্ঠার প্রসার, বালু বা মাটি ফেলে জলাভূমি ভরাট, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কারণে দিন দিন দেশের জলাভূমির পরিমাণ কমে আসছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছসহ জলজ প্রাণী। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রতি বছর ৪২ হাজার একর কৃষি জমি ও জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে।

কৃষি উৎপাদনে যেমন জলাভূমির জলের ভূমিকা অনস্বীকার্য তেমনি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও জলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জলাভূমি রক্ষায় আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। জলাভূমি রক্ষায় সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।