৩২৬ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার

ধর্ষিত ১১৬

বছরের প্রথম মাসে ৩২৬ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৬ জন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এ বছরের শুধু জানুয়ারিতে ৩২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ১১৬ জন। এরমধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২০ জন। এছাড়া, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৪ জনকে, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৮ জন, এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জানুয়ারিতে দেশে অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৩ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৫টি, নারী ও শিশুপাচার করা হয়েছে ২ জন। এছাড়া, বিভিন্ন কারণে ৪০ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে, যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ১৫ জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ জন। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৭ জনকে, উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে একজন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ২১ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪ জন। বাল্যবিয়ে হয়েছে ১০ জনের ও বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ৯ জনকে। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার ৫ জন। এছাড়া, অন্য কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯ জন নারী ও শিশু।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

জানুয়ারি

৩২৬ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার

ধর্ষিত ১১৬

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বছরের প্রথম মাসে ৩২৬ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৬ জন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এ বছরের শুধু জানুয়ারিতে ৩২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ১১৬ জন। এরমধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২০ জন। এছাড়া, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৪ জনকে, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৮ জন, এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জানুয়ারিতে দেশে অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৩ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৫টি, নারী ও শিশুপাচার করা হয়েছে ২ জন। এছাড়া, বিভিন্ন কারণে ৪০ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে, যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ১৫ জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ জন। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৭ জনকে, উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে একজন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ২১ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪ জন। বাল্যবিয়ে হয়েছে ১০ জনের ও বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ৯ জনকে। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার ৫ জন। এছাড়া, অন্য কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯ জন নারী ও শিশু।