আ-মরি বাংলা ভাষা

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি জুড়ে ছিল উত্তেজনা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি নেয় ছাত্র-জনতা। ১৪৪ ধারা জারি করেও তাদের দমিয়ে রাখা যায়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকেই তৎপর ছিল আন্দোলনকারীরা। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা দু’একজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জমায়েত হচ্ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল উপস্থিতির সংখ্যা। দেখতে দেখতে আমতলা (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনের মাঠে) মুখরিত হয়ে ওঠে। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকায় এমন বর্ণনা পাওয়া যায়।

ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা থেকে জানা যায়, বেলা ১১টায় আমতলায় ছাত্র-যুবকদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। পূূর্ব পরিকল্পনা মতো এমআর আখতার মুকুলের প্রস্তাবনায় ছাত্রনেতা গাজীউল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন শামসুুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ, আবদুল মতিন প্রমুখ। ঘণ্টাখানেক সভা চলার পর সভাপতির বক্তব্য রাখেন গাজীউল হক। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে মত দেন তিনি। জানান, এভাবেই তারা নুরুল আমীন সরকারের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে চান। গাজীউল হকের ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় সমবেত ছাত্ররা সেøাগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১০ জনের গ্রুপ করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে। প্রথম দশজনের গ্রুপটির নেতৃত্ব¡ দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র আলী আজমল। তিনি প্রথম গ্রেফতার বরণ করেন (সূত্র দৈনিক আজাদ : ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এবং সাপ্তাহিক সৈনিক : ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২)। পরে একে একে আরও অনেক ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৬ ফল্গুন ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আ-মরি বাংলা ভাষা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি জুড়ে ছিল উত্তেজনা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি নেয় ছাত্র-জনতা। ১৪৪ ধারা জারি করেও তাদের দমিয়ে রাখা যায়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকেই তৎপর ছিল আন্দোলনকারীরা। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা দু’একজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জমায়েত হচ্ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল উপস্থিতির সংখ্যা। দেখতে দেখতে আমতলা (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনের মাঠে) মুখরিত হয়ে ওঠে। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকায় এমন বর্ণনা পাওয়া যায়।

ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা থেকে জানা যায়, বেলা ১১টায় আমতলায় ছাত্র-যুবকদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। পূূর্ব পরিকল্পনা মতো এমআর আখতার মুকুলের প্রস্তাবনায় ছাত্রনেতা গাজীউল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন শামসুুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ, আবদুল মতিন প্রমুখ। ঘণ্টাখানেক সভা চলার পর সভাপতির বক্তব্য রাখেন গাজীউল হক। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে মত দেন তিনি। জানান, এভাবেই তারা নুরুল আমীন সরকারের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে চান। গাজীউল হকের ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় সমবেত ছাত্ররা সেøাগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১০ জনের গ্রুপ করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে। প্রথম দশজনের গ্রুপটির নেতৃত্ব¡ দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র আলী আজমল। তিনি প্রথম গ্রেফতার বরণ করেন (সূত্র দৈনিক আজাদ : ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এবং সাপ্তাহিক সৈনিক : ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২)। পরে একে একে আরও অনেক ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ।