কলকাতা থেকে সাইকেলে আসা ১৮ জন বাঙালির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

দেশবাসীর মতোই একুশের শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কলকাতা থেকে আসা ১৮ জন বাঙালি। ভাষা ও বাঙালিত্বের টানেই ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসে ভাষা শহীদের সম্মান জানালেন তারা। গতকাল সকালে সাইকেলে করে আসা এই প্রতিনিধি দলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

স্বরজিৎ রায়ের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সুদীপ্ত পাল, লোপামুদ্রা রয়, বুদ্ধদের দাস, অমিত কুমার দত্ত, সুজয় ম-ল, সুখেন্দ্র ব্যনার্জি, বিপ্লব কুমার দত্ত, তপন কুমার রয়, হরিদাস মৈত্র, আসাদুল ম-ল, রবীন্দ্রনাথ হালদার, রামেস চন্দ্র সরদার, তরুণ কায়াল, সৌমিয়া জৈতি হালদার, সোমনাথ ব্যানার্জি ও চন্দন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে তারা বলেন, বর্ডার দিয়ে আমাদের বিভক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দু’দেশের ভাষা-সংস্কৃতি এক। আসলে এই দিনটিকে সম্মান জানাতেই আমরা এখানে ছুটে এসেছিলাম। বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন রকম ব্যবহার দেখা যায়। ব্যবসার খাতিরে ভাষাটাকে পাল্টানো হচ্ছে। অনেক সংবাদপত্র এমনটা করছে। ভাষার বিকৃতি করা উচিত নয়।

প্রতিনিধি দলটি ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতার প্রেসক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে পৌঁছায়। গতকাল রাতেই প্রতিনিধি দলের অধিকাংশ সদস্য কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। ‘বাংলা কখনও হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত সাইকেলে করে ২১ ফেব্রুয়ারির দিন বাংলাদেশে আসেন তারা।

গ্যাংগ ‘ভাষা সূত্র’ নামের এই মৈত্রী সাইকেল র‌্যালিটি ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটন করপোরেশন ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা স্পন্সর করেছে। এই গ্রুপে ৭১ বছর বয়স্ক একজন এবং একজন নারীও রয়েছেন। তারা অবশ্য সাইকেলিং করেননি। গতবছর ২১ জন এসেছিলেন। এর আগের বছর এসেছিলেন ২৩ জন।

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৯ ফল্গুন ১৪২৬, ২৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কলকাতা থেকে সাইকেলে আসা ১৮ জন বাঙালির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

কলকাতা থেকে সাইকেলে আসা ১৮ বাঙালি শহীদ মিনারে -সংবাদ

দেশবাসীর মতোই একুশের শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কলকাতা থেকে আসা ১৮ জন বাঙালি। ভাষা ও বাঙালিত্বের টানেই ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসে ভাষা শহীদের সম্মান জানালেন তারা। গতকাল সকালে সাইকেলে করে আসা এই প্রতিনিধি দলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

স্বরজিৎ রায়ের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সুদীপ্ত পাল, লোপামুদ্রা রয়, বুদ্ধদের দাস, অমিত কুমার দত্ত, সুজয় ম-ল, সুখেন্দ্র ব্যনার্জি, বিপ্লব কুমার দত্ত, তপন কুমার রয়, হরিদাস মৈত্র, আসাদুল ম-ল, রবীন্দ্রনাথ হালদার, রামেস চন্দ্র সরদার, তরুণ কায়াল, সৌমিয়া জৈতি হালদার, সোমনাথ ব্যানার্জি ও চন্দন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে তারা বলেন, বর্ডার দিয়ে আমাদের বিভক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দু’দেশের ভাষা-সংস্কৃতি এক। আসলে এই দিনটিকে সম্মান জানাতেই আমরা এখানে ছুটে এসেছিলাম। বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন রকম ব্যবহার দেখা যায়। ব্যবসার খাতিরে ভাষাটাকে পাল্টানো হচ্ছে। অনেক সংবাদপত্র এমনটা করছে। ভাষার বিকৃতি করা উচিত নয়।

প্রতিনিধি দলটি ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতার প্রেসক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে পৌঁছায়। গতকাল রাতেই প্রতিনিধি দলের অধিকাংশ সদস্য কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। ‘বাংলা কখনও হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত সাইকেলে করে ২১ ফেব্রুয়ারির দিন বাংলাদেশে আসেন তারা।

গ্যাংগ ‘ভাষা সূত্র’ নামের এই মৈত্রী সাইকেল র‌্যালিটি ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটন করপোরেশন ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা স্পন্সর করেছে। এই গ্রুপে ৭১ বছর বয়স্ক একজন এবং একজন নারীও রয়েছেন। তারা অবশ্য সাইকেলিং করেননি। গতবছর ২১ জন এসেছিলেন। এর আগের বছর এসেছিলেন ২৩ জন।