ত্রাণ বিতরণ দলীয়করণ হচ্ছে ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ থেকে সচেতনভাবে কাজ করছি, ভেতরের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার সেগুলোকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। যে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে- তা একেবারেই অপ্রতুল। জেনেছি যে, ৪০ হাজার লোকের মধ্যে মাত্র ৩০০ লোককে দেয়া হয়েছে ত্রাণ, সেখানেও দলীয়করণ করা হয়েছে।

গতকাল সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয় ভবনে ‘সর্বদলীয় পরামর্শক সভায়’ স্কাইপের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয়করণের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা কোনভাবে সম্ভব না। ভয়াবহ দিন আসছে সামনের দিনগুলোতে। আপনারা সবাই একমত হবেন সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেমকে সামনে রেখে, সততাকে সামনে রেখে যদি হ্যান্ডেল করা না যায় তাহলে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ব, অনেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও করছেন। জাতীয় ও বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় যে কোন উদ্যোগে যোগ দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দম্ভ, অহংকার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে অবশ্যই সরকারকেই। কারণ পুরো দায়িত্বটা সরকারের।দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এটা অবহেলা করছেন। আমি জানি না তারা এটাকে নেগলেট করেছেন কী কারণে। আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা মহান আলাহর রহমতে এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী দলীয় পরিকল্পনার পাশাপাশি ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

এ সময় দলের প্রস্তাবনার একটি কপিও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন তিনি।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনাদের বক্তব্য আমি সমর্থন করি। জাতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাদের এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে। এককভাবে এটা সম্ভব না।

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০ , ১ বৈশাখ ১৪২৭, ১৯ শাবান ১৪৪১

ত্রাণ বিতরণ দলীয়করণ হচ্ছে ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ থেকে সচেতনভাবে কাজ করছি, ভেতরের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার সেগুলোকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। যে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে- তা একেবারেই অপ্রতুল। জেনেছি যে, ৪০ হাজার লোকের মধ্যে মাত্র ৩০০ লোককে দেয়া হয়েছে ত্রাণ, সেখানেও দলীয়করণ করা হয়েছে।

গতকাল সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয় ভবনে ‘সর্বদলীয় পরামর্শক সভায়’ স্কাইপের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয়করণের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা কোনভাবে সম্ভব না। ভয়াবহ দিন আসছে সামনের দিনগুলোতে। আপনারা সবাই একমত হবেন সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেমকে সামনে রেখে, সততাকে সামনে রেখে যদি হ্যান্ডেল করা না যায় তাহলে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ব, অনেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও করছেন। জাতীয় ও বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় যে কোন উদ্যোগে যোগ দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দম্ভ, অহংকার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে অবশ্যই সরকারকেই। কারণ পুরো দায়িত্বটা সরকারের।দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এটা অবহেলা করছেন। আমি জানি না তারা এটাকে নেগলেট করেছেন কী কারণে। আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা মহান আলাহর রহমতে এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী দলীয় পরিকল্পনার পাশাপাশি ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

এ সময় দলের প্রস্তাবনার একটি কপিও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন তিনি।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনাদের বক্তব্য আমি সমর্থন করি। জাতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাদের এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে। এককভাবে এটা সম্ভব না।