বিনামূল্যে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সহায়তা ‘মাহমুদা ক্লিনিক’র

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে থাকা অসুস্থ মানুষের বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিচ্ছে মাহমুদা ক্লিনিক। ভেড়ামারার মাহমুদা ক্লিনিকের মালিক শাহেদ আহমেদ গামার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিকেল এসিসটেন্ট ও অভিজ্ঞ নার্স দ্বারা গঠিত ফ্রি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকটি ছুটে চলেছে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে। ঘরে থাকা অসুস্থ মানুষকে ডেকে নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ। কখনও আবার ফোন পেয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে অসুস্থ রোগীর বাড়িতে দ্রুত হাজির হচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের সদস্যরা। প্রায় ২ শতাধিক রোগীকে ভ্রাম্যমাণ এ ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক ব্যক্তি। মাহমুদা ক্লিনিক ও ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের সত্ত্বাধিকারী শাহেদ আহমেদ গামা জানান, মানবিক, নৈতিক, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহনের অভাবে অসুস্থ মানুষ চিকিৎসার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরে আসতে পারছেন না, আবার অনেকের ওষুধ কেনার সামর্থও নেই। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা এগিয়ে এসেছি। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল আমিন বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানুষের দোড় গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে মাহমুদা ক্লিনিক যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) সোহেল মারুফ বলেন, এটা নিঃস্বন্দেহে একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১

বিনামূল্যে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সহায়তা ‘মাহমুদা ক্লিনিক’র

প্রদীপ সরকার, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে থাকা অসুস্থ মানুষের বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিচ্ছে মাহমুদা ক্লিনিক। ভেড়ামারার মাহমুদা ক্লিনিকের মালিক শাহেদ আহমেদ গামার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিকেল এসিসটেন্ট ও অভিজ্ঞ নার্স দ্বারা গঠিত ফ্রি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকটি ছুটে চলেছে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে। ঘরে থাকা অসুস্থ মানুষকে ডেকে নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ। কখনও আবার ফোন পেয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে অসুস্থ রোগীর বাড়িতে দ্রুত হাজির হচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের সদস্যরা। প্রায় ২ শতাধিক রোগীকে ভ্রাম্যমাণ এ ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক ব্যক্তি। মাহমুদা ক্লিনিক ও ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের সত্ত্বাধিকারী শাহেদ আহমেদ গামা জানান, মানবিক, নৈতিক, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহনের অভাবে অসুস্থ মানুষ চিকিৎসার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরে আসতে পারছেন না, আবার অনেকের ওষুধ কেনার সামর্থও নেই। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা এগিয়ে এসেছি। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল আমিন বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানুষের দোড় গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে মাহমুদা ক্লিনিক যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) সোহেল মারুফ বলেন, এটা নিঃস্বন্দেহে একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।