পটুয়াখালীতে ওষুধ জীবাণু নাশক সংকট!

করোনাভাইরাসের প্রভাবে পটুয়াখালী জেলায় জীবানুনাশক ওষুধস্যাভলন, ডেটল, হেক্সিসল, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডগ্লোভস, হ্যান্ডওয়াসসহ অন্যান্য পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে সরবরাহ না থাকায় বাজারের ওষুধের দোকানগুলোতে স্যাভলন, ডেটল পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশিহেক্সিসল, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডগ্লোভস, হ্যান্ডওয়াস জাতীয় সামগ্রীর সংকট চলছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই অবস্থা বলে মনে করছেন ফার্মেসিগুলো।

জেলা শহরের মহিলা কলেজ রোড এলাকার পুলিশ মার্কেটে নিউ সাফা মেডিকেল হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাজারে এসব ওষুধের সরবরাহ না থাকায় বিক্রয় করতে পারছেন না তারা, ক্রেতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্বপন ব্যানার্জী বলেন, স্যাভলন কিনতে গিয়েছিলাম, যা পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করবো। কিন্তু ওষুদের দোকানে গিয়ে শুনি স্যাভলন নেই। তাই ফিরে এসেছি। এদিকে সবসময় করোনা আতঙ্কে আছি। সদর রোড এলাকার ইউসুফ ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা বলেন, জীনানুনাশক ওষুধের পাশাপাশি ভিটামিন-সি ট্যাবলেটেরও চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতারাই বলছে করোনাভাইরাসে ভিটামিন সি খুব উপকারের আসে, তাই ভিটামিন সি ট্যাবলেট কিনটে ওষুধের দোকানে কিনতে আসছেন তারা। কিন্তু তার সরবরাহ কমে গেছে।

পটুয়াখালী জেলা কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্ট সমিতি সূত্র জানায়, জেলা শহরে ২০০টিসহ জেলায় প্রায় দেড় হাজার ওষুষ বিক্রির ফার্মেসি রয়েছে। আর এসকল ফার্মেসীতে মালিকসহ প্রায় চার হাজার লোক কাজ করছেন। সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও ফার্মেসিগুলো জরুরি সেবা দিতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। পটুয়াখালীজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, পটুয়াখালীর ওষুধ ব্যবসায়ীরা মূলত ঢাকার মিডফোর্ট থেকে এসব মেডিসিন, হ্যান্ডগ্লভসসহ অন্যান্য উপকরণ এনে থাকে। কিন্তু ওখানে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে জীবানুনাশকের সংকটে বিকল্প হিসেবে সোপিওয়াটার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. এফ. এম. আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেড় লিটার পানির সঙ্গে চার চামচ ডিটারজেন্ট মিশ্রন করে তা জীবানুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

পটুয়াখালীর ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. মহিদ ইসলাম জানান, হঠাৎ করে এসব জীবানুনাশক মেডিসিনের চাহিদা বেড়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় সরবরাহ না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১

পটুয়াখালীতে ওষুধ জীবাণু নাশক সংকট!

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

করোনাভাইরাসের প্রভাবে পটুয়াখালী জেলায় জীবানুনাশক ওষুধস্যাভলন, ডেটল, হেক্সিসল, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডগ্লোভস, হ্যান্ডওয়াসসহ অন্যান্য পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে সরবরাহ না থাকায় বাজারের ওষুধের দোকানগুলোতে স্যাভলন, ডেটল পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশিহেক্সিসল, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডগ্লোভস, হ্যান্ডওয়াস জাতীয় সামগ্রীর সংকট চলছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই অবস্থা বলে মনে করছেন ফার্মেসিগুলো।

জেলা শহরের মহিলা কলেজ রোড এলাকার পুলিশ মার্কেটে নিউ সাফা মেডিকেল হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাজারে এসব ওষুধের সরবরাহ না থাকায় বিক্রয় করতে পারছেন না তারা, ক্রেতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্বপন ব্যানার্জী বলেন, স্যাভলন কিনতে গিয়েছিলাম, যা পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করবো। কিন্তু ওষুদের দোকানে গিয়ে শুনি স্যাভলন নেই। তাই ফিরে এসেছি। এদিকে সবসময় করোনা আতঙ্কে আছি। সদর রোড এলাকার ইউসুফ ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা বলেন, জীনানুনাশক ওষুধের পাশাপাশি ভিটামিন-সি ট্যাবলেটেরও চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতারাই বলছে করোনাভাইরাসে ভিটামিন সি খুব উপকারের আসে, তাই ভিটামিন সি ট্যাবলেট কিনটে ওষুধের দোকানে কিনতে আসছেন তারা। কিন্তু তার সরবরাহ কমে গেছে।

পটুয়াখালী জেলা কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্ট সমিতি সূত্র জানায়, জেলা শহরে ২০০টিসহ জেলায় প্রায় দেড় হাজার ওষুষ বিক্রির ফার্মেসি রয়েছে। আর এসকল ফার্মেসীতে মালিকসহ প্রায় চার হাজার লোক কাজ করছেন। সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও ফার্মেসিগুলো জরুরি সেবা দিতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। পটুয়াখালীজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, পটুয়াখালীর ওষুধ ব্যবসায়ীরা মূলত ঢাকার মিডফোর্ট থেকে এসব মেডিসিন, হ্যান্ডগ্লভসসহ অন্যান্য উপকরণ এনে থাকে। কিন্তু ওখানে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে জীবানুনাশকের সংকটে বিকল্প হিসেবে সোপিওয়াটার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. এফ. এম. আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেড় লিটার পানির সঙ্গে চার চামচ ডিটারজেন্ট মিশ্রন করে তা জীবানুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

পটুয়াখালীর ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. মহিদ ইসলাম জানান, হঠাৎ করে এসব জীবানুনাশক মেডিসিনের চাহিদা বেড়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় সরবরাহ না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।