রংপুরে

খাদ্যের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

কাজ ও খাদ্যের দাবিতে গতকাল রংপুর নগরীর সরেয়াতল এলাকায় রংপুর কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকার শত শত কর্মহীন সহায়-সম্বলহীন মানুষ। এ সময় প্রায় দু’ঘণ্টা সড়কে সব যান চলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসে খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ওসি আকরুজ্জামান খাদ্যের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শত শত মানুষ কাজ ও খাদ্যের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের দাবি ২৫ দিন ধরে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে তারা। কাজ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। আজ পর্যন্ত তাদের কোন খাদ্য সাহায্য দেয়া হয়নি। এভাবে আমরা না খেয়ে কি মারা যাবো? এ প্রশ্ন ছিল তাদের। খবর পেয়ে মাহিগঞ্জ থানার ওসি আকরুজ্জামান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবি টিসিবির পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা ও খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। তারা দুই দাবিই মেনে নিয়ে জরুরিভিত্তিতে তাদের খাদ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে টিসিবি পণ্য বিক্রি করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এ ব্যাপারে মাহিগঞ্জ থানার ওসি আকতারুজ্জামান জানান, খাদ্যের দাবিতে কিছু মানুষ রংপুর কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। খবর পেয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্মহীন মানুষদের খাদ্য প্রদানের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে বলা হয় জরুরিভিত্তিতে তাদের খাদ্য দেবার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ আশ্বাসে অবরোধকারীরা চলে যায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান।

এদিকে খাদ্যের দাবিতে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতি বাজারের সামনে শত শত মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। সকাল ৯টা থেকে আশপাশের গ্রামের শত শত কর্মহীন মানুষ রংপুর পীরগাছা সুন্দরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তারা কর্মহীন বাসা থেকে বের হওয়া যায়না কাজ কর্ম না হলে সংসার চলে কিভাবে? দেউতি গ্রামের সালেমা বেগম বলেন বইতে থাকতেও বলবেন অথচ খাবার দেবেন না তাহলে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি এভাবেই আমরা না খেয়ে মারা যাব?। একই কথা বললেন, একই গ্রামের মমিনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কর্মহীন মানুষ। খবর পেয়ে পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দিলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে যায়। তবে তারা ঘোষণা দিয়েছে রাতের মধ্যে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা না হলে আবারও তারা রাস্তায় আসবে এবার আর খাদ্য ছাড়া বাসায় ফিরবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খাদ্যের দাবিতে কর্মহীন মানুষের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দেবার পর তারা চলে গেছে।

image

রংপুর : খাদ্যের দাবিতে রংপুর নগরীর সরেয়ারতল এলাকার কর্মহীন মানুষ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে -সংবাদ

আরও খবর
মানা হচ্ছে না দূরত্ব
আটকেপড়া ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট
বিএনপিকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান কাদেরের
সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন না মানলে মামলা
৫৮ শতাংশ মানুষের আয় নেই
কাঁচাবাজার রাস্তার পাশে সরানোর নির্দেশ
ত্রিশ টাকার টিকিটেই করোনা পরীক্ষা
ভোটার আইডি না থাকলেও ত্রাণ দেয়ার নির্দেশ
চিকিৎসক নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীকে বাসা ছাড়তে বললে দুদক যাবে সম্পদের হিসাব দেখতে
ত্রাণ কার্যক্রমে দলীয় কমিটি বাতিলের দাবি বিএনপির
বরিশালে ভাসমান আইসোলেশন সেন্টার
দাফনের সময় নড়েচড়ে ওঠে নবজাতক
টিসিবির তেল চিনি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার চার

রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬ বৈশাখ ১৪২৭, ২৪ শাবান ১৪৪১

রংপুরে

খাদ্যের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

image

রংপুর : খাদ্যের দাবিতে রংপুর নগরীর সরেয়ারতল এলাকার কর্মহীন মানুষ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে -সংবাদ

কাজ ও খাদ্যের দাবিতে গতকাল রংপুর নগরীর সরেয়াতল এলাকায় রংপুর কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকার শত শত কর্মহীন সহায়-সম্বলহীন মানুষ। এ সময় প্রায় দু’ঘণ্টা সড়কে সব যান চলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসে খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ওসি আকরুজ্জামান খাদ্যের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শত শত মানুষ কাজ ও খাদ্যের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের দাবি ২৫ দিন ধরে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে তারা। কাজ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। আজ পর্যন্ত তাদের কোন খাদ্য সাহায্য দেয়া হয়নি। এভাবে আমরা না খেয়ে কি মারা যাবো? এ প্রশ্ন ছিল তাদের। খবর পেয়ে মাহিগঞ্জ থানার ওসি আকরুজ্জামান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবি টিসিবির পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা ও খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। তারা দুই দাবিই মেনে নিয়ে জরুরিভিত্তিতে তাদের খাদ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে টিসিবি পণ্য বিক্রি করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এ ব্যাপারে মাহিগঞ্জ থানার ওসি আকতারুজ্জামান জানান, খাদ্যের দাবিতে কিছু মানুষ রংপুর কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। খবর পেয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্মহীন মানুষদের খাদ্য প্রদানের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে বলা হয় জরুরিভিত্তিতে তাদের খাদ্য দেবার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ আশ্বাসে অবরোধকারীরা চলে যায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান।

এদিকে খাদ্যের দাবিতে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতি বাজারের সামনে শত শত মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। সকাল ৯টা থেকে আশপাশের গ্রামের শত শত কর্মহীন মানুষ রংপুর পীরগাছা সুন্দরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তারা কর্মহীন বাসা থেকে বের হওয়া যায়না কাজ কর্ম না হলে সংসার চলে কিভাবে? দেউতি গ্রামের সালেমা বেগম বলেন বইতে থাকতেও বলবেন অথচ খাবার দেবেন না তাহলে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি এভাবেই আমরা না খেয়ে মারা যাব?। একই কথা বললেন, একই গ্রামের মমিনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কর্মহীন মানুষ। খবর পেয়ে পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দিলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে যায়। তবে তারা ঘোষণা দিয়েছে রাতের মধ্যে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা না হলে আবারও তারা রাস্তায় আসবে এবার আর খাদ্য ছাড়া বাসায় ফিরবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খাদ্যের দাবিতে কর্মহীন মানুষের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দেবার পর তারা চলে গেছে।