ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের জন্য বিশেষ স্কিম গঠন

করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন হাজার কোটি টাকা এ স্কিম থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) বা এনজিও মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদি এ স্কিমের গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের সার্কুলার জারি করে।

এতে বলা হয়, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের আয় উৎসারী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছেন না। তাই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।

স্কিমের নাম : ‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, ২০২০’। তিন হাজার কোটি টাকার এ স্কিমের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে। প্রয়োজনে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হবে। এ স্কিমের মেয়াদ হবে ৩ বছর। দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক এ স্কিমের আওতায় অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এজন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নে আগ্রহী ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করতে হবে। ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ দিতে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) থেকে সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ দেবে। এ স্কিমের আওতায় কোন একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র একটি ব্যাংক হতেই অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির যোগ্য গ্রাহক : ‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী’ অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে কৃষি এবং বিভিন্ন আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণী/পেশার স্থানীয় উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ নিতে পারবে। এছাড়া অতিদরিদ্র, দরিদ্র অথবা অনগ্রসর গোষ্ঠীভুক্ত ব্যক্তি এবং অসহায়/নিগৃহীত নারী সদস্যরা এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়ার শর্তাবলী : ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব নীতিমালার পাশাপাশি গ্রাহকের বিগত এক বছরের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় নিয়ে এ স্কিমের আওতায় ঋণ দেয়া যাবে। কেবল ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সমিতিভুক্ত সদস্যকেই এই ঋণ দেয়া যাবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা অগ্রাধিকার পাবেন। এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণের অর্থ দিয়ে গ্রাহকের বিদ্যমান অন্য কোন ঋণ সমন্বয় করা যাবে না। নতুন ঋণও নবায়ন করা যাবে না। খেলাপি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ স্কিমের আওতায় ঋণ দেয়া যাবে না।

গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ : একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ জনের সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণের আওতায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা। ব্যাংকগুলোর ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অর্থায়নের সীমা হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে বিগত তিন বছরের বিতরণকৃত গড় ঋণ/বিনিয়োগের ৩০% অথবা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে মোট তহবিলের (তিন হাজার কোটি টাকা) ২%, এর মধ্যে যা কম।

গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ : এ স্কিমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে প্রদেয় ঋণ/বিনিয়োগের মেয়াদ গ্রাহকের পেশা, ব্যবসার ধরণ, টার্নওভার, ফসল উৎপাদনের পঞ্জিকা অনুযায়ী নির্ধারণ করা যাবে। ক্ষুদ্র ঋণে (একক ও গ্রুপভুক্ত উভয় ক্ষেত্রে) মেয়াদ হবে বিতরণের তারিখ থেকে গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ এক বছর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে দুই বছর। এক্ষেত্রে একজন একক উদ্যোক্তা বা একটি গ্রুপ শুধুমাত্র একটি ক্যাটাগরিতে (ক্ষুদ্র ঋণ বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা) এ স্কিমের আওতায় ঋণদিতে পারবে।

সুদহার : বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়নের বিপরীতে এক শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দেবে। অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে অর্থ দেবে। গ্রাহক পর্যায়ে বার্ষিক সুদ, সার্ভিস চার্জের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ; যা ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে হিসাবায়ন হবে। এছাড়া এমআরএ-এর ৪ মে ২০১৪ তারিখের সার্কুলার লেটার নং-রেগু-২৩ এ বর্ণিত ভর্তি ফি, পাস বই, ঋণ ফরম এবং ননজুডিশয়িাল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামার খরচ ব্যতীত অন্য কোন চার্জ/ফি আদায় করা যাবে না।

আদায় : ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছ থেকে সাপ্তাহিক/মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত তহবিল আদায়ের ক্ষেত্রে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থায়নকৃত অর্থ আদায় করবে।

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের জন্য বিশেষ স্কিম গঠন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন হাজার কোটি টাকা এ স্কিম থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) বা এনজিও মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদি এ স্কিমের গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের সার্কুলার জারি করে।

এতে বলা হয়, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের আয় উৎসারী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছেন না। তাই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।

স্কিমের নাম : ‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, ২০২০’। তিন হাজার কোটি টাকার এ স্কিমের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে। প্রয়োজনে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হবে। এ স্কিমের মেয়াদ হবে ৩ বছর। দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক এ স্কিমের আওতায় অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এজন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নে আগ্রহী ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করতে হবে। ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ দিতে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) থেকে সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ দেবে। এ স্কিমের আওতায় কোন একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র একটি ব্যাংক হতেই অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির যোগ্য গ্রাহক : ‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী’ অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে কৃষি এবং বিভিন্ন আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণী/পেশার স্থানীয় উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ নিতে পারবে। এছাড়া অতিদরিদ্র, দরিদ্র অথবা অনগ্রসর গোষ্ঠীভুক্ত ব্যক্তি এবং অসহায়/নিগৃহীত নারী সদস্যরা এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়ার শর্তাবলী : ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব নীতিমালার পাশাপাশি গ্রাহকের বিগত এক বছরের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় নিয়ে এ স্কিমের আওতায় ঋণ দেয়া যাবে। কেবল ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সমিতিভুক্ত সদস্যকেই এই ঋণ দেয়া যাবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা অগ্রাধিকার পাবেন। এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণের অর্থ দিয়ে গ্রাহকের বিদ্যমান অন্য কোন ঋণ সমন্বয় করা যাবে না। নতুন ঋণও নবায়ন করা যাবে না। খেলাপি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ স্কিমের আওতায় ঋণ দেয়া যাবে না।

গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ : একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ জনের সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণের আওতায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা। ব্যাংকগুলোর ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অর্থায়নের সীমা হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে বিগত তিন বছরের বিতরণকৃত গড় ঋণ/বিনিয়োগের ৩০% অথবা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে মোট তহবিলের (তিন হাজার কোটি টাকা) ২%, এর মধ্যে যা কম।

গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ : এ স্কিমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে প্রদেয় ঋণ/বিনিয়োগের মেয়াদ গ্রাহকের পেশা, ব্যবসার ধরণ, টার্নওভার, ফসল উৎপাদনের পঞ্জিকা অনুযায়ী নির্ধারণ করা যাবে। ক্ষুদ্র ঋণে (একক ও গ্রুপভুক্ত উভয় ক্ষেত্রে) মেয়াদ হবে বিতরণের তারিখ থেকে গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ এক বছর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে দুই বছর। এক্ষেত্রে একজন একক উদ্যোক্তা বা একটি গ্রুপ শুধুমাত্র একটি ক্যাটাগরিতে (ক্ষুদ্র ঋণ বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা) এ স্কিমের আওতায় ঋণদিতে পারবে।

সুদহার : বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়নের বিপরীতে এক শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দেবে। অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে অর্থ দেবে। গ্রাহক পর্যায়ে বার্ষিক সুদ, সার্ভিস চার্জের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ; যা ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে হিসাবায়ন হবে। এছাড়া এমআরএ-এর ৪ মে ২০১৪ তারিখের সার্কুলার লেটার নং-রেগু-২৩ এ বর্ণিত ভর্তি ফি, পাস বই, ঋণ ফরম এবং ননজুডিশয়িাল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামার খরচ ব্যতীত অন্য কোন চার্জ/ফি আদায় করা যাবে না।

আদায় : ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছ থেকে সাপ্তাহিক/মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত তহবিল আদায়ের ক্ষেত্রে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থায়নকৃত অর্থ আদায় করবে।