ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পর্যবেক্ষণ জোরদারের দাবি

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নয় এমন সব রোগীদের চিকিৎসাসেবা পেতে নানা ভোগান্তির চিত্র ফুটে উঠছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। সরকার করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে সব রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন। তারপরও কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট আছে কিনা তা প্রদর্শন করতে না পারলে রোগী ভর্তি ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন কোন না কোন সাধারণ রোগীর চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এমনকি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ারের মাকে পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডায়ালাইসিস করতে ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হয়। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার অফিস ভোক্তাদের প্রতিনিধি ছাড়াই তদারকি কমিটি করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষণ জোরদার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হয়ে মৃতু্যুর ঘটনা বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল  গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান। বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় বিভাগী ও জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন, বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সমন্বয় সভা করলেও রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি। অধিকন্তু সেবা না পেয়ে জনগণ ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। যদিও এ সমস্ত তদারকিতে নাগরিক সমাজ কতটুকু সম্পৃক্ত, সে বিষয়টিও এখন আলোচনার বিষয়।

মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ , ১৯ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৯ শাওয়াল ১৪৪১

সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায়

ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পর্যবেক্ষণ জোরদারের দাবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নয় এমন সব রোগীদের চিকিৎসাসেবা পেতে নানা ভোগান্তির চিত্র ফুটে উঠছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। সরকার করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে সব রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন। তারপরও কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট আছে কিনা তা প্রদর্শন করতে না পারলে রোগী ভর্তি ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন কোন না কোন সাধারণ রোগীর চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এমনকি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ারের মাকে পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডায়ালাইসিস করতে ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হয়। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার অফিস ভোক্তাদের প্রতিনিধি ছাড়াই তদারকি কমিটি করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষণ জোরদার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হয়ে মৃতু্যুর ঘটনা বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল  গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান। বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় বিভাগী ও জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন, বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সমন্বয় সভা করলেও রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি। অধিকন্তু সেবা না পেয়ে জনগণ ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। যদিও এ সমস্ত তদারকিতে নাগরিক সমাজ কতটুকু সম্পৃক্ত, সে বিষয়টিও এখন আলোচনার বিষয়।