ডিসেম্বরের আগেই করোনা সংক্রমণ শুরুর কথা অস্বীকার চীনের

গত বছরে (২০১৯ সাল) ডিসেম্বরের আগেই চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহানে নতুন নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে বেইজিং। তবে ২০১৯ সালের আগস্টের শেষ দিক থেকেই উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে বলে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নতুন এক গবেষণায় ওঠে আসে। আল জাজিরা, ফিনান্সিয়াল টাইমস।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ দুই বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড ও বোস্টনের গবেষকরা যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করেন। চীনের হাসপাতালগুলোর কার পার্কিং-এর স্যাটেলাইট ইমেজ এবং ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার (সার্চ) প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা। তবে গবেষকদের এমন বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে চীন। কবে থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু বিষয়ক এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বোস্টন শিশু হাসপাতালের প্রধান উদ্ভাবনী কর্মকর্তা জন ব্রাউনস্টেইন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপার হরফে প্রকাশতি হওয়ার আগেই তা হার্ভার্ড-এর ড্যাশ সার্ভারে পোস্ট করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মের শেষের দিক থেকে উহানের হাসপাতালগুলোর পার্কিং লটগুলোতে গাড়ির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। এছাড়াও সে সময়ে চীনের বাইদু সার্চ ইঞ্জিনে ডায়রিয়া ও কফের উপসর্গসহ সংক্রামক রোগের কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ দেয়ার প্রবণতাও বেড়ে গিয়েছিল।

মার্কিন এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে (ব্রিফিংয়ে) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র হুয়া চুনিং-এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় এ গবেষণার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে চুনিং বলেন, রাস্তায় যান চলাচল থেকে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া একেবারেই অবান্তর।

তবে এ গবেষণার প্রধান ব্রাউনস্টেইন ও তার দলের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, ‘গাড়ির সংখ্যা কিংবা সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সার্চ করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি নতুন নভেল করোনাভাইরাসের সম্পর্ক আছে বলে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে হুয়ানান সি ফুড মার্কেটে শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই ভাইরাসটির অস্তিত্ব ছিল বলে বিভিন্ন গবেষণায় যে দাবি করা হয়েছে তাকে সমর্থন দেয় আমাদের পাওয়া উপাত্ত। এ গবেষণার ফল সেসব পূর্বানুমাণকে জোরালো করে তোলে যে, চীনের দক্ষিণাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০ , ২৮ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৮ শাওয়াল ১৪৪১

ডিসেম্বরের আগেই করোনা সংক্রমণ শুরুর কথা অস্বীকার চীনের

সংবাদ ডেস্ক |

গত বছরে (২০১৯ সাল) ডিসেম্বরের আগেই চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহানে নতুন নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে বেইজিং। তবে ২০১৯ সালের আগস্টের শেষ দিক থেকেই উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে বলে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নতুন এক গবেষণায় ওঠে আসে। আল জাজিরা, ফিনান্সিয়াল টাইমস।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ দুই বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড ও বোস্টনের গবেষকরা যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করেন। চীনের হাসপাতালগুলোর কার পার্কিং-এর স্যাটেলাইট ইমেজ এবং ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার (সার্চ) প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা। তবে গবেষকদের এমন বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে চীন। কবে থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু বিষয়ক এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বোস্টন শিশু হাসপাতালের প্রধান উদ্ভাবনী কর্মকর্তা জন ব্রাউনস্টেইন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপার হরফে প্রকাশতি হওয়ার আগেই তা হার্ভার্ড-এর ড্যাশ সার্ভারে পোস্ট করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মের শেষের দিক থেকে উহানের হাসপাতালগুলোর পার্কিং লটগুলোতে গাড়ির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। এছাড়াও সে সময়ে চীনের বাইদু সার্চ ইঞ্জিনে ডায়রিয়া ও কফের উপসর্গসহ সংক্রামক রোগের কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ দেয়ার প্রবণতাও বেড়ে গিয়েছিল।

মার্কিন এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে (ব্রিফিংয়ে) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র হুয়া চুনিং-এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় এ গবেষণার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে চুনিং বলেন, রাস্তায় যান চলাচল থেকে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া একেবারেই অবান্তর।

তবে এ গবেষণার প্রধান ব্রাউনস্টেইন ও তার দলের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, ‘গাড়ির সংখ্যা কিংবা সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সার্চ করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি নতুন নভেল করোনাভাইরাসের সম্পর্ক আছে বলে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে হুয়ানান সি ফুড মার্কেটে শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই ভাইরাসটির অস্তিত্ব ছিল বলে বিভিন্ন গবেষণায় যে দাবি করা হয়েছে তাকে সমর্থন দেয় আমাদের পাওয়া উপাত্ত। এ গবেষণার ফল সেসব পূর্বানুমাণকে জোরালো করে তোলে যে, চীনের দক্ষিণাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে।