একাই সিনেট চালিয়েছেন উপাচার্য ঢাবির শতবছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি
বাজেট উপস্থাপন ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মূল মিলনায়তনে এই অধিবেশন শুরু হয়। পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত অধিবেশন থেকে সিনেট সদস্যরা তিনজনকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাদের মধ্যে শিক্ষাবিদ সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। তিনি উপাচার্যের অনেক বেশি ‘আস্থাভাজন’ বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুঞ্জন আছে। তাকে সিন্ডিকেটে মনোনয়ন দিতেই উপাচার্য তড়িঘড়ি করে ১৪ জুন সিনেট অধিবেশন আহ্বান করেছেন বলে অভিযোগ করে আসছিল একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য। এছাড়া, রেজিস্টারড গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরিতে এসএম বাহালুল মজনুন ও বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক একেএম শামসুজ্জামান সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, ফাইন্যান্স কমিটিতে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড’এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আতাউর রহমান প্রধানকে মনোনয়ন দেয়া হয়। আগামী ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিনেট অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সে অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
একাই সিনেট চালিয়েছেন উপাচার্য
সিনেটের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন সিনেট সদস্য গতকালের সিনেট অধিবেশনে যোগদান করেননি। বাজেটবিহীন সিনেট অধিবেশনকে গুরুত্বহীন উল্লেখ করে সিনেট অধিবেশন বয়কট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য। একই কারণে উপস্থিত হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালও। এছাড়া, বাজেট উপস্থাপন করা হবে না বিধায় উপস্থিত হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন। ফলে, একাই বার্ষিক সিনেট অধিবেশন পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তার পাশের তিনটি চেয়ার খালি পড়ে ছিল। অন্য একটি চেয়ারে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।
অধিবেশনে কি ছিল
সিনেট অধিবেশনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সেশন বেনিফিট বন্ধে সরকারপ্রণীত আইনের বিপক্ষে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান উপাচার্য। সিনেটের এই অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’-এর প্রস্তাবিত স্ট্যাটিউট অনুসমর্থিত হয়।
পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ গ্রহণ :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার অধিভাষণে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তিনি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের সব দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, করোনা মোকাবিলায়ও সেভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্ধারিত ছুটিতে অনলাইনসহ বিভিন্ন সম্ভাব্য উপায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও সক্রিয় রাখার ব্যাপারে সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সহকর্মীদের বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে; যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কম সংখ্যক ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা নেয়া যায়। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ গ্রহণ করা হবে। এ প্ল্যানে থাকবে-গবেষণা, শিক্ষার পরিবেশ ও আধুনিকায়ন, প্রশাসনিক দক্ষতা ও সমন্বয়, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ, বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির উন্নয়ন (শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী), বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নান্দনিক পরিবেশ, সাবেক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণে উৎসাহিতকরণ, নেতৃত্বের উন্নয়ন, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত ও উৎসাহিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ব্যাপী ‘এক্টিভ সিটিজেনশিপ’ উদ্যোগ চালুকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং, সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যাবলিকে এসডিজি-২০৩০ এ রূপায়ণ ও ভিশন-২০৪১ এর সঙ্গে তার সমন্বয় সাধন।
একশ’ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ’ বছরের ইতিহাসে বাজেট উপস্থাপন ছাড়া সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সিনেট সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ সংবাদকে বলেন, এ ধরনের সিনেট অধিবেশন এর আগে হয়নি। এই সিনেটে বাজেট উপস্থাপনের কথা ছিল। সেটা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, পছন্দের তিনজনকে সিন্ডিকেটে মনোনয়ন দেয়ার জন্যই তিনি তড়িঘড়ি করে সিনেট অধিবেশন ডেকেছেন। এর আগে কখনওই বাজেট উপস্থাপনের জন্য দ্বিতীয়বার সিনেট অধিবেশন ডাকা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত এক-দেড় বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে চলছে, এভাবে এর আগে কখনও চলেনি। এখন একজন মানুষ মনে হচ্ছে যা খুশি তাই করছেন। অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, করোনার এই সংকটকালে যেখানে আমাদের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। ক্লাস নিতে হলে আমাদের অ্যাকাডেমিক কাজ কিভাবে কত দ্রুত শুরু করা দরকার, শুরু করতে গেলে আমাদের কি কি প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেগুলো না করে সিনেট অধিবেশন করা হল। তিনটা লোক সিন্ডিকেটে না থাকলে সিন্ডিকেট কি অচল হয়ে যাবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনেট সদস্য বলেন, বাজেটের জন্য তো সিনেট অধিবেশন করা হয়নি। এটা হয়েছে উপাচার্যের পছন্দের লোকদের সিন্ডিকেটে মনোনয়ন দিতে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১
একাই সিনেট চালিয়েছেন উপাচার্য ঢাবির শতবছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি
প্রতিনিধি, ঢাবি
বাজেট উপস্থাপন ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মূল মিলনায়তনে এই অধিবেশন শুরু হয়। পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত অধিবেশন থেকে সিনেট সদস্যরা তিনজনকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাদের মধ্যে শিক্ষাবিদ সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। তিনি উপাচার্যের অনেক বেশি ‘আস্থাভাজন’ বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুঞ্জন আছে। তাকে সিন্ডিকেটে মনোনয়ন দিতেই উপাচার্য তড়িঘড়ি করে ১৪ জুন সিনেট অধিবেশন আহ্বান করেছেন বলে অভিযোগ করে আসছিল একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য। এছাড়া, রেজিস্টারড গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরিতে এসএম বাহালুল মজনুন ও বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক একেএম শামসুজ্জামান সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, ফাইন্যান্স কমিটিতে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড’এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আতাউর রহমান প্রধানকে মনোনয়ন দেয়া হয়। আগামী ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিনেট অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সে অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
একাই সিনেট চালিয়েছেন উপাচার্য
সিনেটের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন সিনেট সদস্য গতকালের সিনেট অধিবেশনে যোগদান করেননি। বাজেটবিহীন সিনেট অধিবেশনকে গুরুত্বহীন উল্লেখ করে সিনেট অধিবেশন বয়কট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য। একই কারণে উপস্থিত হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালও। এছাড়া, বাজেট উপস্থাপন করা হবে না বিধায় উপস্থিত হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন। ফলে, একাই বার্ষিক সিনেট অধিবেশন পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তার পাশের তিনটি চেয়ার খালি পড়ে ছিল। অন্য একটি চেয়ারে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।
অধিবেশনে কি ছিল
সিনেট অধিবেশনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সেশন বেনিফিট বন্ধে সরকারপ্রণীত আইনের বিপক্ষে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান উপাচার্য। সিনেটের এই অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’-এর প্রস্তাবিত স্ট্যাটিউট অনুসমর্থিত হয়।
পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ গ্রহণ :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার অধিভাষণে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তিনি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের সব দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, করোনা মোকাবিলায়ও সেভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্ধারিত ছুটিতে অনলাইনসহ বিভিন্ন সম্ভাব্য উপায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও সক্রিয় রাখার ব্যাপারে সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সহকর্মীদের বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে; যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কম সংখ্যক ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা নেয়া যায়। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ গ্রহণ করা হবে। এ প্ল্যানে থাকবে-গবেষণা, শিক্ষার পরিবেশ ও আধুনিকায়ন, প্রশাসনিক দক্ষতা ও সমন্বয়, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ, বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির উন্নয়ন (শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী), বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নান্দনিক পরিবেশ, সাবেক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণে উৎসাহিতকরণ, নেতৃত্বের উন্নয়ন, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত ও উৎসাহিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ব্যাপী ‘এক্টিভ সিটিজেনশিপ’ উদ্যোগ চালুকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং, সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যাবলিকে এসডিজি-২০৩০ এ রূপায়ণ ও ভিশন-২০৪১ এর সঙ্গে তার সমন্বয় সাধন।
একশ’ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ’ বছরের ইতিহাসে বাজেট উপস্থাপন ছাড়া সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সিনেট সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ সংবাদকে বলেন, এ ধরনের সিনেট অধিবেশন এর আগে হয়নি। এই সিনেটে বাজেট উপস্থাপনের কথা ছিল। সেটা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, পছন্দের তিনজনকে সিন্ডিকেটে মনোনয়ন দেয়ার জন্যই তিনি তড়িঘড়ি করে সিনেট অধিবেশন ডেকেছেন। এর আগে কখনওই বাজেট উপস্থাপনের জন্য দ্বিতীয়বার সিনেট অধিবেশন ডাকা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত এক-দেড় বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে চলছে, এভাবে এর আগে কখনও চলেনি। এখন একজন মানুষ মনে হচ্ছে যা খুশি তাই করছেন। অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, করোনার এই সংকটকালে যেখানে আমাদের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। ক্লাস নিতে হলে আমাদের অ্যাকাডেমিক কাজ কিভাবে কত দ্রুত শুরু করা দরকার, শুরু করতে গেলে আমাদের কি কি প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেগুলো না করে সিনেট অধিবেশন করা হল। তিনটা লোক সিন্ডিকেটে না থাকলে সিন্ডিকেট কি অচল হয়ে যাবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনেট সদস্য বলেন, বাজেটের জন্য তো সিনেট অধিবেশন করা হয়নি। এটা হয়েছে উপাচার্যের পছন্দের লোকদের সিন্ডিকেটে মনোনয়ন দিতে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।