‘পরিবারের ছোট সন্তান আবদুল্লাহ আল সামী। গত ৩টি জন্মদিন বাবার সঙ্গে পালন করা হলেও এবারের জন্মদিনের আগেই করোনাযুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। বাবার সেই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ছেলের জন্মদিন পালন করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।’ গত রোববার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামে ডিএমপিতে কর্মরত অবস্থায় করোনাযুদ্ধে প্রথম মৃত পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল সামীর জন্মদিন কেক কেটে পালন করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।
জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল করোনাযুদ্ধে কনস্টেবল জসিম উদ্দিন মারা যান। প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে ওই পরিবারে। রোববার মৃত পুলিশ সদস্য জসিমের ছেলে আবদুল্লাহ আল সামী ৫ম বর্ষে পদার্পণ করে। কিন্তু বাবা না থাকায় সকাল থেকেই দিনটি তার বিষাদে কাটে। বাবার সেই শূন্যতা পূরনের জন্য পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের পক্ষে রোববার বিকেলে জন্মদিনের কেক নিয়ে তাদের বাড়িতে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর- এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন ও বুড়িচং থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হকসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা। জন্মদিন উপলক্ষে সামীকে একটি বাইসাইকেল এবং কিছু উপহার দেয়া হয়। পরে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের নিয়ে সামীর জন্মদিন পালন করা হয়। জসিমের স্ত্রী ফারজানা আক্তার মুন্নী জানান, ‘প্রতিটি জন্মদিনে সামীর জন্য তার বাবা বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসতেন এবং সামীকে নিয়ে কেক কাটতেন। এবার আমাদের ঈদেও আনন্দ নেই, ছেলের জন্মদিনেও আনন্দ নেই। পুলিশ সুপার মহোদয় নিজ উদ্যোগে সামীর জন্মদিনে বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন জানান, ‘করোনাযুদ্ধে জসিম মৃত্যুবরণের পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ এ পরিবারটির পাশে আছে। আজ পুলিশ সদস্য জসিমের ছেলের সামীর জন্মদিন। আমরা একসঙ্গে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেক কেটেছি এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আমরা সামীর বাবার শূন্যতা পূরণ করতে পারবো না। কিন্তু আজকের এই দিনে পুলিশ পরিবার তাদের সাথে আছে এই অনুভূতিটা যেন তাদের মাঝে কাজ করে এজন্য আমরা তাদের বাড়িতে গিয়েছি।’ উল্লেখ্য, মৃত পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিনের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, কুমিল্লা
‘পরিবারের ছোট সন্তান আবদুল্লাহ আল সামী। গত ৩টি জন্মদিন বাবার সঙ্গে পালন করা হলেও এবারের জন্মদিনের আগেই করোনাযুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। বাবার সেই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ছেলের জন্মদিন পালন করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।’ গত রোববার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামে ডিএমপিতে কর্মরত অবস্থায় করোনাযুদ্ধে প্রথম মৃত পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল সামীর জন্মদিন কেক কেটে পালন করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।
জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল করোনাযুদ্ধে কনস্টেবল জসিম উদ্দিন মারা যান। প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে ওই পরিবারে। রোববার মৃত পুলিশ সদস্য জসিমের ছেলে আবদুল্লাহ আল সামী ৫ম বর্ষে পদার্পণ করে। কিন্তু বাবা না থাকায় সকাল থেকেই দিনটি তার বিষাদে কাটে। বাবার সেই শূন্যতা পূরনের জন্য পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের পক্ষে রোববার বিকেলে জন্মদিনের কেক নিয়ে তাদের বাড়িতে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর- এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন ও বুড়িচং থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হকসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা। জন্মদিন উপলক্ষে সামীকে একটি বাইসাইকেল এবং কিছু উপহার দেয়া হয়। পরে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের নিয়ে সামীর জন্মদিন পালন করা হয়। জসিমের স্ত্রী ফারজানা আক্তার মুন্নী জানান, ‘প্রতিটি জন্মদিনে সামীর জন্য তার বাবা বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসতেন এবং সামীকে নিয়ে কেক কাটতেন। এবার আমাদের ঈদেও আনন্দ নেই, ছেলের জন্মদিনেও আনন্দ নেই। পুলিশ সুপার মহোদয় নিজ উদ্যোগে সামীর জন্মদিনে বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন জানান, ‘করোনাযুদ্ধে জসিম মৃত্যুবরণের পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ এ পরিবারটির পাশে আছে। আজ পুলিশ সদস্য জসিমের ছেলের সামীর জন্মদিন। আমরা একসঙ্গে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেক কেটেছি এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আমরা সামীর বাবার শূন্যতা পূরণ করতে পারবো না। কিন্তু আজকের এই দিনে পুলিশ পরিবার তাদের সাথে আছে এই অনুভূতিটা যেন তাদের মাঝে কাজ করে এজন্য আমরা তাদের বাড়িতে গিয়েছি।’ উল্লেখ্য, মৃত পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিনের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।