দেশ ও জনগণের কল্যাণে নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
আইজিপি বলেন, বর্তমানে এ দুর্যোগকালে আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। করোনার বিরুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে লড়াই করছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ পর্যন্ত আমাদের ২৪ জন সহকর্মী করোনাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
করোনাকালে নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষের পাশে রয়েছে, তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিকে যখন আপনজনরা ছেড়ে যাচ্ছে, তখন পুলিশ তাদের দাফন-সৎকার করছে। করোনাকালে জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে পুলিশ।
মানুষ পুলিশকে সম্মান করছেন, ভালবাসছেন, যারা নানা কারণে পুলিশের সমালোচনা করতেন, তারাও আজ পুলিশের পক্ষে কথা বলছেন, পুলিশের জন্য কলম ধরছেন। এ পাওয়া আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। পুলিশের প্রতি মানুষের এ বিশ্বাস, আস্থা ও সম্মান আমাদের করোনা পরবর্তী সময়েও ধরে রাখতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে শুধুমাত্র থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলা করেছে পুলিশ। এ গর্বিত ইতিহাসকে ধারণ করতে হবে। এ ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি (অর্থ) মো. শাহাবউদ্দীন কোরেশী, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) এসএম রুহুল আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইজিপিএসব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দেশ ও জনগণের কল্যাণে নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
আইজিপি বলেন, বর্তমানে এ দুর্যোগকালে আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। করোনার বিরুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে লড়াই করছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ পর্যন্ত আমাদের ২৪ জন সহকর্মী করোনাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
করোনাকালে নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষের পাশে রয়েছে, তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিকে যখন আপনজনরা ছেড়ে যাচ্ছে, তখন পুলিশ তাদের দাফন-সৎকার করছে। করোনাকালে জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে পুলিশ।
মানুষ পুলিশকে সম্মান করছেন, ভালবাসছেন, যারা নানা কারণে পুলিশের সমালোচনা করতেন, তারাও আজ পুলিশের পক্ষে কথা বলছেন, পুলিশের জন্য কলম ধরছেন। এ পাওয়া আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। পুলিশের প্রতি মানুষের এ বিশ্বাস, আস্থা ও সম্মান আমাদের করোনা পরবর্তী সময়েও ধরে রাখতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে শুধুমাত্র থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলা করেছে পুলিশ। এ গর্বিত ইতিহাসকে ধারণ করতে হবে। এ ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি (অর্থ) মো. শাহাবউদ্দীন কোরেশী, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) এসএম রুহুল আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইজিপিএসব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।