তানভিরের জলজ বাগানে ৫শ’ প্রজাতির উদ্ভিদ-ফুল

মহিদুর রহমান মাহি, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ)

পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন যেখানে বিসিএস অথবা প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হওয়া, সেখানে ছাত্র জীবন থেকেই তার ইচ্ছা কৃষি নিয়ে কাজ করা। ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে এখন মূলধন দাড়িয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। বলছিলাম মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা তানভির আহমেদের কথা।

উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নিজ বাড়িতেই ২৪ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন বিশ্বমানের ফুল ও ফলের বাগান। এ বাগানে রয়েছে আমেরিকা, চায়না, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ বিশ্বের ২৫টি দেশের ৫ শতাধিক পদ্ম, জলজ ফুল ও ফল গাছের সমারোহ। 

বাগান মালিক সূত্রে জানা যায়, বাগান টিতে আছে এঞ্জেল ট্রাম্পেট, গ্লিরিসিডিয়া, কানাইডিংগা, ক্যানাঙ্গা, বিভিন্ন রঙ এর দোলন চাঁপা,ডম্বিয়া, স্থল পদ্ম, জল গোলাপ, নীল মনি, শ্বেত মনি, গোলাপি সহস্র বেলি,পার্সিয়ান জুঁই, সরস্বতী চাঁপা, ব্ল্যাক প্রিন্সেস, হাজার পাপড়ির পদ্ম, আফ্রিকান বাওবাব, হলুদ শিমুল, রাজ অশোক সহ ৫০০ প্রজাতির দূর্লভ গাছ।

যার মধ্যে বিদেশি ১০৭ প্রজাতির শাপলা, ৫৬ প্রজাতির পদ্ম, ২০টি অন্যান্য জলজ, ১শতাধিকের অধিক প্রজাতির জবা, ৪০ প্রজাতির সুগন্ধি, ৫০প্রজাতির লতানো, ৫০প্রজাতির ফল গাছ, ২০প্রজাতির ইন্ডোর, ২০প্রজাতির বনজ ও বিদেশি আরো ৫০ প্রজাতির অন্যান্য গাছ।

এ বিষয়ে বাগান মালিক ও তরুণ উদ্দ্যোক্তা তানভির আহমেদ সংবাদকে জানান, ফুল এবং ফলগাছের বাগান বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি থাইল্যান্ড এবং আমেরিকার কয়েকজন বন্ধু অনেক সহায়তা করেছে। ছাত্রজীবন থেকেই নিজে কিছু করার প্রত্যয় থেকে এ বাগান করা।

শুরুতে ২০০ টাকা বিনিয়োগ করলেও এখন প্রায় ৩০ লাখ টাকার গাছ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তার বাগানের মূল আকর্ষণ হাজার পাপড়ির পদ্ম। যে ফুলটাতে ১হাজার টা পাপড়ি হয় বলেও জানান তিনি। 

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার জানান, হরিরামপুরে শুধু ফুলের নার্সারী নেই বললেই চলে। এমন নার্সারী ব্যতিক্রম। তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। এই উদ্যোক্তা সহ অন্য কেউ যদি সহযোগিতা চায়, তবে অবশ্যই তাকে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭

তানভিরের জলজ বাগানে ৫শ’ প্রজাতির উদ্ভিদ-ফুল

দুশ’ টাকা থেকে মূলধন ৩০ লাখ

image

মহিদুর রহমান মাহি, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ)

পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন যেখানে বিসিএস অথবা প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হওয়া, সেখানে ছাত্র জীবন থেকেই তার ইচ্ছা কৃষি নিয়ে কাজ করা। ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে এখন মূলধন দাড়িয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। বলছিলাম মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা তানভির আহমেদের কথা।

উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নিজ বাড়িতেই ২৪ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন বিশ্বমানের ফুল ও ফলের বাগান। এ বাগানে রয়েছে আমেরিকা, চায়না, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ বিশ্বের ২৫টি দেশের ৫ শতাধিক পদ্ম, জলজ ফুল ও ফল গাছের সমারোহ। 

বাগান মালিক সূত্রে জানা যায়, বাগান টিতে আছে এঞ্জেল ট্রাম্পেট, গ্লিরিসিডিয়া, কানাইডিংগা, ক্যানাঙ্গা, বিভিন্ন রঙ এর দোলন চাঁপা,ডম্বিয়া, স্থল পদ্ম, জল গোলাপ, নীল মনি, শ্বেত মনি, গোলাপি সহস্র বেলি,পার্সিয়ান জুঁই, সরস্বতী চাঁপা, ব্ল্যাক প্রিন্সেস, হাজার পাপড়ির পদ্ম, আফ্রিকান বাওবাব, হলুদ শিমুল, রাজ অশোক সহ ৫০০ প্রজাতির দূর্লভ গাছ।

যার মধ্যে বিদেশি ১০৭ প্রজাতির শাপলা, ৫৬ প্রজাতির পদ্ম, ২০টি অন্যান্য জলজ, ১শতাধিকের অধিক প্রজাতির জবা, ৪০ প্রজাতির সুগন্ধি, ৫০প্রজাতির লতানো, ৫০প্রজাতির ফল গাছ, ২০প্রজাতির ইন্ডোর, ২০প্রজাতির বনজ ও বিদেশি আরো ৫০ প্রজাতির অন্যান্য গাছ।

এ বিষয়ে বাগান মালিক ও তরুণ উদ্দ্যোক্তা তানভির আহমেদ সংবাদকে জানান, ফুল এবং ফলগাছের বাগান বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি থাইল্যান্ড এবং আমেরিকার কয়েকজন বন্ধু অনেক সহায়তা করেছে। ছাত্রজীবন থেকেই নিজে কিছু করার প্রত্যয় থেকে এ বাগান করা।

শুরুতে ২০০ টাকা বিনিয়োগ করলেও এখন প্রায় ৩০ লাখ টাকার গাছ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তার বাগানের মূল আকর্ষণ হাজার পাপড়ির পদ্ম। যে ফুলটাতে ১হাজার টা পাপড়ি হয় বলেও জানান তিনি। 

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার জানান, হরিরামপুরে শুধু ফুলের নার্সারী নেই বললেই চলে। এমন নার্সারী ব্যতিক্রম। তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। এই উদ্যোক্তা সহ অন্য কেউ যদি সহযোগিতা চায়, তবে অবশ্যই তাকে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।