সালমান শাহ’র চিরকুট এখনও ববিতার কাছে

দেখতে দেখতে নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর ২৪ বছর পেরিয়ে গেছে। মৃত্যুর ২৪ বছর পরও সালমান শুধু তার দুর্দান্ত অভিনয় এবং ফ্যাশন’এ ভিন্নমাত্রা দিয়েই আজও দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। এখনও টিভি পর্দায় তার সিনেমা প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন। এখনও তার অভিনীত সিনেমার গান টিভিতে প্রচার হলে তা দর্শক এড়িয়ে যেতে পারেন না। মৃত্যুর এতো বছর পরও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতার সঙ্গে সালমান শাহ তিনটি সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সিনেমাগুলো হচ্ছে বাদল খন্দকারের ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’, শিবলী সাদিকের ‘মায়ের অধিকার’ ও জাকির হোসেন রাজুর ‘জীবন সংসার’। দুটি সিনেমাতে সালমানের মায়ের ভূমিকায় এবং দুটি সিনেমায় সালমানের ভাবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ববিতা। দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’ সিনেমার শুটিং-এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ববিতা বলেন,‘ কক্সবাজারে এই সিনেমার শুটিং হয়েছিল। একটি দৃশ্য ধারণ করা হচ্ছিল পাহাড়ের উপর। আমার হাতে পিস্তল ছিলো। দৃশ্যটিতে শুটিং-এ অংশ নিয়েছিলাম আমি, রাজীব ভাই, শারমিন, সালমান শাহ, শাবনূর। সেই দৃশ্যটির ধারণের নানা সময়ে আমি শুটিং-এ আনা অন্য একটি চেয়ারে বসি। কারণ হোটেল থেকে আমার চেয়ারটি নিতে মনে ছিল না। সালমান বিষয়টি খেয়াল করে এবং শুটিং-এ তার নেয়া চেয়ারটি আমাকে গিফট করে। আমি না করার পরও সালমান তার নিজের ব্যবহৃত চেয়ারটি তখনই আমাকে গিফট করে। সেই চেয়ারটি দীর্ঘদিন আমার কাছে সংরক্ষিত ছিল। তারপর আবার যখন মোবাইল প্রথম বাজারে এলো। সেই সময় সাইজে মোবাইল অনেক বড় ছিল। তো আমি সেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারতাম না। সালমানই আমাকে একটি চিরকুটে মোবাইল ব্যবহার করার পদ্ধতি প্রথম শিখিয়ে দিয়েছিল। যে কারণে পরবর্তীতে মোবাইল ব্যবহার করা আমার কাছে বেশ সহজ হয়ে গিয়েছিল। তো সালমানের নিজের হাতের লেখা সেই চিরকুটটি এখনও আমার কাছে বেশ যতে্ন রাখা আছে। সেই চিরকুটের মাঝেই মাঝে মধ্যে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সালমানকে খুঁজে বেড়াই। সালমান একটি কথা আমাকে প্রায়ই বলতো যে আপনি আমার আপন মা না হলেও আপনি আমার সুইট মা। মা ছাড়া সে আমাকে অন্য কিছুই আর ডাকত না। সত্যিই এতটা বছর পরও তাকে নিয়ে কথা বলতে গেলে আমি ভীষণ আবেগাপ্লুত হয়ে যাই। সালমান সত্যিই অনেক বড় মাপের অভিনেতা ছিল। তার মতো অভিনেতার অকাল প্রয়াণ সত্যিই আমাদের জন্য অনেক বেদনার, অনেক কষ্টের। এই কষ্টটা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে আরও দীর্ঘদিন। দোয়া করি আল্লাহ যেন তার আত্মায় শান্তি দেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন, আমিন।’

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

সালমান শাহ’র চিরকুট এখনও ববিতার কাছে

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

দেখতে দেখতে নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর ২৪ বছর পেরিয়ে গেছে। মৃত্যুর ২৪ বছর পরও সালমান শুধু তার দুর্দান্ত অভিনয় এবং ফ্যাশন’এ ভিন্নমাত্রা দিয়েই আজও দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। এখনও টিভি পর্দায় তার সিনেমা প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন। এখনও তার অভিনীত সিনেমার গান টিভিতে প্রচার হলে তা দর্শক এড়িয়ে যেতে পারেন না। মৃত্যুর এতো বছর পরও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতার সঙ্গে সালমান শাহ তিনটি সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সিনেমাগুলো হচ্ছে বাদল খন্দকারের ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’, শিবলী সাদিকের ‘মায়ের অধিকার’ ও জাকির হোসেন রাজুর ‘জীবন সংসার’। দুটি সিনেমাতে সালমানের মায়ের ভূমিকায় এবং দুটি সিনেমায় সালমানের ভাবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ববিতা। দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’ সিনেমার শুটিং-এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ববিতা বলেন,‘ কক্সবাজারে এই সিনেমার শুটিং হয়েছিল। একটি দৃশ্য ধারণ করা হচ্ছিল পাহাড়ের উপর। আমার হাতে পিস্তল ছিলো। দৃশ্যটিতে শুটিং-এ অংশ নিয়েছিলাম আমি, রাজীব ভাই, শারমিন, সালমান শাহ, শাবনূর। সেই দৃশ্যটির ধারণের নানা সময়ে আমি শুটিং-এ আনা অন্য একটি চেয়ারে বসি। কারণ হোটেল থেকে আমার চেয়ারটি নিতে মনে ছিল না। সালমান বিষয়টি খেয়াল করে এবং শুটিং-এ তার নেয়া চেয়ারটি আমাকে গিফট করে। আমি না করার পরও সালমান তার নিজের ব্যবহৃত চেয়ারটি তখনই আমাকে গিফট করে। সেই চেয়ারটি দীর্ঘদিন আমার কাছে সংরক্ষিত ছিল। তারপর আবার যখন মোবাইল প্রথম বাজারে এলো। সেই সময় সাইজে মোবাইল অনেক বড় ছিল। তো আমি সেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারতাম না। সালমানই আমাকে একটি চিরকুটে মোবাইল ব্যবহার করার পদ্ধতি প্রথম শিখিয়ে দিয়েছিল। যে কারণে পরবর্তীতে মোবাইল ব্যবহার করা আমার কাছে বেশ সহজ হয়ে গিয়েছিল। তো সালমানের নিজের হাতের লেখা সেই চিরকুটটি এখনও আমার কাছে বেশ যতে্ন রাখা আছে। সেই চিরকুটের মাঝেই মাঝে মধ্যে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সালমানকে খুঁজে বেড়াই। সালমান একটি কথা আমাকে প্রায়ই বলতো যে আপনি আমার আপন মা না হলেও আপনি আমার সুইট মা। মা ছাড়া সে আমাকে অন্য কিছুই আর ডাকত না। সত্যিই এতটা বছর পরও তাকে নিয়ে কথা বলতে গেলে আমি ভীষণ আবেগাপ্লুত হয়ে যাই। সালমান সত্যিই অনেক বড় মাপের অভিনেতা ছিল। তার মতো অভিনেতার অকাল প্রয়াণ সত্যিই আমাদের জন্য অনেক বেদনার, অনেক কষ্টের। এই কষ্টটা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে আরও দীর্ঘদিন। দোয়া করি আল্লাহ যেন তার আত্মায় শান্তি দেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন, আমিন।’