রূপপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডের ঠিকাদার শাহাদত হোসেনকে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
জামিন বাতিল করার আবেদন করার কথা জানিয়েছেন দুদক এর আইনজীবী খুরশীদ খান। তিনি বলেন, ২৭ আগস্ট পাবনার আদালত ঠিকাদার শাহাদতকে জামিন দিয়েছেন। পরে ওই রাতেই তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এই জামিনাদেশের বিরুদ্ধে ‘রিভিশন’ করে তার জামিন বাতিল করার আবেদন করেছি। তিনি আরও জানান, আশা করছি আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এটি উপস্থাপন হবে।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনার এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক পাবনা কার্যালয়ও আলাদা দুটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় অভিযোগ করা হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আসবাবপত্র সরবরাহে অস্বাভাবিক দর দিয়ে তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকা তছরূপ করেছে। মামলাটি তদন্ত করছে দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শাহাদতের আইনজীবীরা পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ওইদিনই তড়িঘড়ি করে জামিনের আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠালে রাতেই কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য একটি বালিশ ক্রয় করতে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে আরও ৭৬০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এ ছাড়া প্রতিটি চুলা ক্রয় করতে ৭ হাজার ৭৪৭ টাকা এবং তা ফ্ল্যাটে তুলতে ৬ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। একটি ইস্ত্রি ক্রয় করার জন্য ৪ হাজার ১৪৫ টাকা এবং তা তুলতে ব্যয় দেখানো হয় ২ হাজার ৯৪৫ টাকা।
এভাবে রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় পুকুর চুরির সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে দুদক তদন্তে নামে। এসব ঘটনায় ১৩ জন প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে দুদক।
বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা
রূপপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডের ঠিকাদার শাহাদত হোসেনকে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
জামিন বাতিল করার আবেদন করার কথা জানিয়েছেন দুদক এর আইনজীবী খুরশীদ খান। তিনি বলেন, ২৭ আগস্ট পাবনার আদালত ঠিকাদার শাহাদতকে জামিন দিয়েছেন। পরে ওই রাতেই তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এই জামিনাদেশের বিরুদ্ধে ‘রিভিশন’ করে তার জামিন বাতিল করার আবেদন করেছি। তিনি আরও জানান, আশা করছি আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এটি উপস্থাপন হবে।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনার এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক পাবনা কার্যালয়ও আলাদা দুটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় অভিযোগ করা হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আসবাবপত্র সরবরাহে অস্বাভাবিক দর দিয়ে তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকা তছরূপ করেছে। মামলাটি তদন্ত করছে দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শাহাদতের আইনজীবীরা পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ওইদিনই তড়িঘড়ি করে জামিনের আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠালে রাতেই কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য একটি বালিশ ক্রয় করতে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে আরও ৭৬০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এ ছাড়া প্রতিটি চুলা ক্রয় করতে ৭ হাজার ৭৪৭ টাকা এবং তা ফ্ল্যাটে তুলতে ৬ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। একটি ইস্ত্রি ক্রয় করার জন্য ৪ হাজার ১৪৫ টাকা এবং তা তুলতে ব্যয় দেখানো হয় ২ হাজার ৯৪৫ টাকা।
এভাবে রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় পুকুর চুরির সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে দুদক তদন্তে নামে। এসব ঘটনায় ১৩ জন প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে দুদক।