আমদানি প্রচুর : তবুও বাড়ছে পিয়াজের দাম

দিনাজপুরের হিলিতে খুচরা বাজারে বেড়েই চলেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেয়াজের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। ১৫০ ডলারে পেয়াজ আমদানি করে গত এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৪ টাকা আবার এখনও ১৫০ ডলারের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে।

হিলি বাজারের খুচরা পেয়াজ বিক্রেতারা জানান, আমদানিকারকরা বিভিন্ন অযুহাতে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। আমাদের বেশি দামে পেয়াজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের অনেক সময় তর্ক করতে হচ্ছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পেয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে। পেয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগে পেয়াজের বাজার সহনশীল ছিল। এখন আবার বেড়েছে। হিলিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না। যার কারণে অসাধু আমদানিকারকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে পেয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে আমরা সাধারণ ক্রেতারা সমস্যায় পড়ছি। আমদানি রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ভারতে কিছু অঞ্চলে বন্যা হওয়ার কারণে পেয়াজের চালান নষ্ট হয়ে গেছে। যার জন্য ভারতেই পেয়াজের দাম বেশি। আমদানিকারকদের বেশি দামে পেয়াজ কিনতে হচ্ছে। আমদানি বেশি হলে আগামী ২০ তারিখের মধ্যে পেয়াজের দাম কমতে পারে বলে জানান তিনি। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, হিলি বন্দরের বড় বড় পেয়াজ আমদানিকারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। হিলিতে ১২ তারিখে টিসিবির ৪শ’ মে. টন পেয়াজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। টিসিবির পেয়াজ আমদানি হলে দাম কমবে।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২১ মহররম ১৪৪২, ২৩ ভাদ্র ১৪২৭

আমদানি প্রচুর : তবুও বাড়ছে পিয়াজের দাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর

দিনাজপুরের হিলিতে খুচরা বাজারে বেড়েই চলেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেয়াজের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। ১৫০ ডলারে পেয়াজ আমদানি করে গত এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৪ টাকা আবার এখনও ১৫০ ডলারের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে।

হিলি বাজারের খুচরা পেয়াজ বিক্রেতারা জানান, আমদানিকারকরা বিভিন্ন অযুহাতে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। আমাদের বেশি দামে পেয়াজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের অনেক সময় তর্ক করতে হচ্ছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পেয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে। পেয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগে পেয়াজের বাজার সহনশীল ছিল। এখন আবার বেড়েছে। হিলিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না। যার কারণে অসাধু আমদানিকারকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে পেয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে আমরা সাধারণ ক্রেতারা সমস্যায় পড়ছি। আমদানি রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ভারতে কিছু অঞ্চলে বন্যা হওয়ার কারণে পেয়াজের চালান নষ্ট হয়ে গেছে। যার জন্য ভারতেই পেয়াজের দাম বেশি। আমদানিকারকদের বেশি দামে পেয়াজ কিনতে হচ্ছে। আমদানি বেশি হলে আগামী ২০ তারিখের মধ্যে পেয়াজের দাম কমতে পারে বলে জানান তিনি। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, হিলি বন্দরের বড় বড় পেয়াজ আমদানিকারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। হিলিতে ১২ তারিখে টিসিবির ৪শ’ মে. টন পেয়াজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। টিসিবির পেয়াজ আমদানি হলে দাম কমবে।