গ্রিসের লেবোস দ্বীপের মোরিয়া ক্যাম্প আগুনে ভস্ম হওয়ার পর খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার অভিবাসী। একই সঙ্গে প্রতিস্থাপন ক্যাম্প নির্মাণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন তারা। মাত্র ৩ হাজার ধারণক্ষমতার মোরিয়া ক্যাম্পে ১৩ হাজারের মতো অভিবাসীর বসবাস। আগুনে ক্যাম্পটি পোড়ার পর তারা দ্বীপটি ছাড়ার জন্য মরিয়া। তাদের সঙ্গে দ্বীপের বাসিন্দারাও নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন। সহায়তাকারীদের জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন তারা।
অভিবাসীরা মোরিয়া ক্যাম্পের বাইরে রাস্তায় পুলিশি বেষ্টনী টপকে যেতে চেষ্টা করেছিল। ‘মুক্তি’ পাওয়ার দাবি জানিয়ে তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা স্লোগান। স্থানীয়রা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। দ্বীপের এক স্থানীয় নেতা ভানজেলিস ভায়োলাজিস বলেছেন, ‘আমরা আরেকটি ক্যাম্প চাই না। যে কোনও ধরনের নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করবো আমরা। ৫ বছর ধরে আমরা এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। অপরদিকে গত বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর অগ্নিকা-ের ফলে মোরিয়া শরণার্থী শিবিরের হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোস্ট জিহুফা ১২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ ৪০০ শিশুর মধ্যে জার্মান ও ফ্রান্স নেবে ১০০ থেকে দেড়শ’ জন; নেদারল্যান্ডস ৫০, ফিনল্যান্ড ১১ জন। দ্য গার্ডিয়ান।
গ্রিসের লিসবন থেকে ৪শ’ অভিভাবকহীন শিশুকে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দশটি দেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু নেবে জার্মান ও ফ্রান্স। অবশিষ্ট শিশুদের নেবে সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, লুক্সেমবার্গ ও পর্তুগাল। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে এ শিশুদের নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। গতকাল স্থানীয় গণমাধ্যম জানায় শিবিরের ১৩ হাজার শরণার্থী আশ্রয়স্থল ছিল। একটি ঘরও আগুনের থেকে রেহাই পায়নি। ঘটনার পর থেকে শরণার্থীরা পথেঘাটে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে এর ৭০ শতাংশই আফগানিস্তানের।
রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৩ মহররম ১৪৪২, ২৫ ভাদ্র ১৪২৭
গ্রিসের লেবোস দ্বীপের মোরিয়া ক্যাম্প আগুনে ভস্ম হওয়ার পর খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার অভিবাসী। একই সঙ্গে প্রতিস্থাপন ক্যাম্প নির্মাণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন তারা। মাত্র ৩ হাজার ধারণক্ষমতার মোরিয়া ক্যাম্পে ১৩ হাজারের মতো অভিবাসীর বসবাস। আগুনে ক্যাম্পটি পোড়ার পর তারা দ্বীপটি ছাড়ার জন্য মরিয়া। তাদের সঙ্গে দ্বীপের বাসিন্দারাও নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন। সহায়তাকারীদের জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন তারা।
অভিবাসীরা মোরিয়া ক্যাম্পের বাইরে রাস্তায় পুলিশি বেষ্টনী টপকে যেতে চেষ্টা করেছিল। ‘মুক্তি’ পাওয়ার দাবি জানিয়ে তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা স্লোগান। স্থানীয়রা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। দ্বীপের এক স্থানীয় নেতা ভানজেলিস ভায়োলাজিস বলেছেন, ‘আমরা আরেকটি ক্যাম্প চাই না। যে কোনও ধরনের নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করবো আমরা। ৫ বছর ধরে আমরা এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। অপরদিকে গত বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর অগ্নিকা-ের ফলে মোরিয়া শরণার্থী শিবিরের হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোস্ট জিহুফা ১২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ ৪০০ শিশুর মধ্যে জার্মান ও ফ্রান্স নেবে ১০০ থেকে দেড়শ’ জন; নেদারল্যান্ডস ৫০, ফিনল্যান্ড ১১ জন। দ্য গার্ডিয়ান।
গ্রিসের লিসবন থেকে ৪শ’ অভিভাবকহীন শিশুকে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দশটি দেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু নেবে জার্মান ও ফ্রান্স। অবশিষ্ট শিশুদের নেবে সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, লুক্সেমবার্গ ও পর্তুগাল। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে এ শিশুদের নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। গতকাল স্থানীয় গণমাধ্যম জানায় শিবিরের ১৩ হাজার শরণার্থী আশ্রয়স্থল ছিল। একটি ঘরও আগুনের থেকে রেহাই পায়নি। ঘটনার পর থেকে শরণার্থীরা পথেঘাটে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে এর ৭০ শতাংশই আফগানিস্তানের।