মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু

প্রাণঘাতী করোনা সংত্রুমণ বিস্তারে প্রায় সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু হয়েছে মধ্যপাড়া পাথর খনিতে। শ্রমিকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে পাথর খনি এলাকা। স্বস্তি ফিরে এসেছে খনি ভিত্তিক নানা পেশায় জড়িত শ্রমজীবী মানুষের মাঝে। করোনা মোকাবিলা করে শ্রমিকেরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে পাথর খনি ইতিহাসে নয়া রেকর্ড করেছে।

খনি সূত্র জানায়, খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামার্নীয়া-টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। গত ১৬ আগস্ট হতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নতুন উদ্যমে উৎপাদন শুরু করে। গত ২৯ এপ্রিল থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পাথর। যার বিক্রয় মূল্য প্রায় ১৫৫ কোটি টাকা। গতকাল পর্যন্ত খনি ইয়ার্ডে আরও প্রায় ১ লাখ মে.টন পাথর মজুদ রয়েছে। এদিকে গত ১ সেপ্টম্বর থেকে ২১ সেপ্টম্বর ৭৩ হাজার ৫শ’ মে.টন পাথর উত্তোলন করা হয়। জিটিসি এ খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে খনির উৎপাদন ইতিহাসে নয়া রেকর্ড গড়ে। এর ফলে পাথর খনিটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানের ধারা থেকে বেরিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড-এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম কামরুজ্জামান সংবাদকে জানান, দেশে নির্মাণধীন বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে মধ্যপাড়ার উন্নতমানের পাথর ব্যবহারের কথা চিন্তা করে করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাথর উৎপাদন শুরু করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসিকে অনুরোধ করা হয় খনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে। তিনি জানান, মধ্যপাড়া পাথর খনি রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যববস্থাপনা এবং উৎপাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র সঙ্গে ৬ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যদিও ৬ বছর মেয়াদের মধ্যে খনি উন্নয়ন এবং উৎপাদন কাজে অতি প্রয়োজনীয় বিদেশি যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রপাতি সংকটে ৩ বছরই পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকে। তারপরও জিটিসি চুক্তির অর্ধেক সময়ে পাথর উত্তোলন করেছে প্রায় ৩৭ লাখ মেট্রিক টন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় উৎপাদনের ধারাবাহিকতার রক্ষার জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জিটিসি’র সঙ্গে আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে খনি কর্তৃপক্ষ। ফলে খনির উৎপাদন প্রক্রিয়ার জটিলতা দূর হয়।

উৎপদান ও উন্নয়ন শুরু করার লক্ষ্যে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জিটিসি তাদের অধীনে কর্মরত সব শ্রমিকদের করোনা টেস্টের মাধ্যমে উৎপাদন এবং উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ২ শিফটের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। আজ হতে ৩ শিফট চালু করে উন্নয়ন এবং উৎপাদন কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় শুরু হবে। ফলে করোনার কারণে খনির পাথর উৎপাদন অব্যাহত রাখা নিয়ে যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল তা দুর হয়েছে বলে খনি’র ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মনে করেন।

খনির এমডি আরও জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বিস্তারের ফলে অন্য কোন উৎস থেকে উন্নতমানের পাথর সরবরাহ না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন সরকারি মেগা প্রকল্পের পাথরের চাহিদা পূরণের জন্য এ খনির বিশ্বমানের পাথর নেয়ার জন্য সব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হয়ে ওঠে। এছাড়াও মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেলপথ ও সড়ক সেতু মন্ত্রণালয়সহ বহু সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের নির্মাণ কাজে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ ঘটনা মধ্যপাড়ার পাথরের চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে তিনি জানান।

ফিরে দেখা খনি চিত্র : ২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া পাথর খনি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১ শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করে। ওই সময় প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ৭শ’ মে. টন পাথর উত্তোলনের মধ্য দিয়ে খনির কার্যক্রম চালু রাখা হয়। ফলে শত কোটি টাকার ওপরে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে খনিটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। খনি কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গত প্রায় ৭ বছরে প্রায় সাড়ে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়। অথচ খনির ডিজাইন অনুযায়ী দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন হিসেবে বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন পাথর উৎপাদনের কথা।

বর্তমান সরকার খনির উৎপাদন ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর একমাত্র দেশীয় মাইনিং কোম্পানি জামার্নীয়া করপোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশের কোম্পানি ট্রেস্ট এসএস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সঙ্গে ১৭১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলারের ৬ বছরের জন্য একটি চুক্তি করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি বেলারুশের খনি বিশেষজ্ঞ এবং দেশিয় প্রকৌশলীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ’ খনি শ্রমিক নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। খনির তিন শিফট চালু করে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের সক্ষমতা অর্জন করে। খনির পাথর উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি মধ্যপাড়া পাথর খনিকে লোকসানের কবল থেকে উদ্ধার করে প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখায়।

আরও খবর
ইলিশ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
সীমান্তে ৭৩টি বিওপি নির্মাণ করবে বিজিবি
সীমান্তে ৭৩টি বিওপি নির্মাণ করবে বিজিবি
জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে : স্পিকার
খুনের দুই আসামি রাসেল ও হৃদয় গ্রেফতার
প্রকল্পের পণ্য-দ্রব্য ক্রয়ে যেন অস্বাভাবিক বাজারমূল্য দেখানো না হয়
বিটিসিএলের সব সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এমডি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি বন্ধ
সেবার নামে চলছে গ্রাহক হয়রানি-ঘুষবাণিজ্য
ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা
এনআইপি মামলায় সাবরিনার জামিন নাকচ
শিমুলিয়া ফেরি বন্ধের প্রভাব পাটুরিয়া ঘাটে

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৪ মহররম ১৪৪২, ০৫ আশ্বিন ১৪২৭

মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

প্রাণঘাতী করোনা সংত্রুমণ বিস্তারে প্রায় সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু হয়েছে মধ্যপাড়া পাথর খনিতে। শ্রমিকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে পাথর খনি এলাকা। স্বস্তি ফিরে এসেছে খনি ভিত্তিক নানা পেশায় জড়িত শ্রমজীবী মানুষের মাঝে। করোনা মোকাবিলা করে শ্রমিকেরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে পাথর খনি ইতিহাসে নয়া রেকর্ড করেছে।

খনি সূত্র জানায়, খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামার্নীয়া-টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। গত ১৬ আগস্ট হতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নতুন উদ্যমে উৎপাদন শুরু করে। গত ২৯ এপ্রিল থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পাথর। যার বিক্রয় মূল্য প্রায় ১৫৫ কোটি টাকা। গতকাল পর্যন্ত খনি ইয়ার্ডে আরও প্রায় ১ লাখ মে.টন পাথর মজুদ রয়েছে। এদিকে গত ১ সেপ্টম্বর থেকে ২১ সেপ্টম্বর ৭৩ হাজার ৫শ’ মে.টন পাথর উত্তোলন করা হয়। জিটিসি এ খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে খনির উৎপাদন ইতিহাসে নয়া রেকর্ড গড়ে। এর ফলে পাথর খনিটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানের ধারা থেকে বেরিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড-এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম কামরুজ্জামান সংবাদকে জানান, দেশে নির্মাণধীন বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে মধ্যপাড়ার উন্নতমানের পাথর ব্যবহারের কথা চিন্তা করে করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাথর উৎপাদন শুরু করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসিকে অনুরোধ করা হয় খনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে। তিনি জানান, মধ্যপাড়া পাথর খনি রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যববস্থাপনা এবং উৎপাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র সঙ্গে ৬ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যদিও ৬ বছর মেয়াদের মধ্যে খনি উন্নয়ন এবং উৎপাদন কাজে অতি প্রয়োজনীয় বিদেশি যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রপাতি সংকটে ৩ বছরই পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকে। তারপরও জিটিসি চুক্তির অর্ধেক সময়ে পাথর উত্তোলন করেছে প্রায় ৩৭ লাখ মেট্রিক টন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় উৎপাদনের ধারাবাহিকতার রক্ষার জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জিটিসি’র সঙ্গে আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে খনি কর্তৃপক্ষ। ফলে খনির উৎপাদন প্রক্রিয়ার জটিলতা দূর হয়।

উৎপদান ও উন্নয়ন শুরু করার লক্ষ্যে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জিটিসি তাদের অধীনে কর্মরত সব শ্রমিকদের করোনা টেস্টের মাধ্যমে উৎপাদন এবং উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ২ শিফটের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। আজ হতে ৩ শিফট চালু করে উন্নয়ন এবং উৎপাদন কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় শুরু হবে। ফলে করোনার কারণে খনির পাথর উৎপাদন অব্যাহত রাখা নিয়ে যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল তা দুর হয়েছে বলে খনি’র ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মনে করেন।

খনির এমডি আরও জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বিস্তারের ফলে অন্য কোন উৎস থেকে উন্নতমানের পাথর সরবরাহ না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন সরকারি মেগা প্রকল্পের পাথরের চাহিদা পূরণের জন্য এ খনির বিশ্বমানের পাথর নেয়ার জন্য সব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হয়ে ওঠে। এছাড়াও মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেলপথ ও সড়ক সেতু মন্ত্রণালয়সহ বহু সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের নির্মাণ কাজে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ ঘটনা মধ্যপাড়ার পাথরের চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে তিনি জানান।

ফিরে দেখা খনি চিত্র : ২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া পাথর খনি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১ শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করে। ওই সময় প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ৭শ’ মে. টন পাথর উত্তোলনের মধ্য দিয়ে খনির কার্যক্রম চালু রাখা হয়। ফলে শত কোটি টাকার ওপরে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে খনিটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। খনি কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গত প্রায় ৭ বছরে প্রায় সাড়ে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়। অথচ খনির ডিজাইন অনুযায়ী দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন হিসেবে বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন পাথর উৎপাদনের কথা।

বর্তমান সরকার খনির উৎপাদন ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর একমাত্র দেশীয় মাইনিং কোম্পানি জামার্নীয়া করপোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশের কোম্পানি ট্রেস্ট এসএস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সঙ্গে ১৭১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলারের ৬ বছরের জন্য একটি চুক্তি করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি বেলারুশের খনি বিশেষজ্ঞ এবং দেশিয় প্রকৌশলীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ’ খনি শ্রমিক নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। খনির তিন শিফট চালু করে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের সক্ষমতা অর্জন করে। খনির পাথর উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি মধ্যপাড়া পাথর খনিকে লোকসানের কবল থেকে উদ্ধার করে প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখায়।