বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন নেই ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠানের

দেশে বস্ত্র শিল্পের বিকাশে ২০১৮ সালে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে বস্ত্র অধিদফতরের মাধ্যমে এই শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন করতে বলা হয়। তবে বর্তমানে বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন ছাড়াই ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে। অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, বস্ত্র অধিদফতরে অনিবন্ধিত হলেও স্বীকৃত কোন সংস্থার কাছে নিবন্ধিত হলেও চলবে।

বস্ত্র অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সব মিলিয়ে বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৮ হাজার ৪১৫টি। এরমধ্যে ২০১৮ সালের আইন প্রণয়নের পর বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন নিয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬৩২টি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৬ হাজার ৭৮৩টি অর্র্থাৎ ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান এখনও নিবন্ধন নেয়নি। বস্ত্র শিল্পের ৮ হাজার ৪১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুতা উৎপাদনকারী স্পিনিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪২৫টি, কাপড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৭৯৬টি, বিশেষায়িত টেক্সটাইল ও পাওয়ার লুম প্রতিষ্ঠান ৪৪৯টি, টেরিটাওয়েল প্রতিষ্ঠান ১০৪টি, ডায়িং-প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৪০টি, গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ শিল্প আছে ৯৫৫টি। রপ্তানিমুখী নিট ও ওভেন প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ৩২৭টি। এছাড়া বস্ত্র শিল্পসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আছে ১১৯টি। ২০১৮ সালে আইন প্রণয়নের পর এখন পর্যন্ত নিবন্ধন নেয়া ১ হাজার ৬৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বস্ত্র ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ৪৯২টি, তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৪৩টি ও ৩৯৭টি বায়িং হাউজ নিবন্ধন নিয়েছে।

এ ব্যাপারে বস্ত্র অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ সংবাদকে বলেন, ২০১৮ সালের আইন প্রণয়নের আগে ঊনিশের দশক থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধিত হতো। ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন না হলেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই কাজটা বস্ত্র অধিদফতর করেছে। পাশাপাশি বিডাও এই কাজটি করেছে। আর আইন প্রণয়নের পর বিডা সম্পূর্ণভাবে কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরে এটা বস্ত্র অধিদফতর থেকেই করা হয়। আমাদের নিবন্ধন ছাড়াও ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বিডা থেকে নিবন্ধিত আছে। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান (বিডা) থেকে আগেই তারা নিবন্ধন হয়েছে তাই নতুন করে তাদের নিবন্ধিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সেখানে নিবন্ধন হয়ার মাধ্যমেই ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী সেবা আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছে। তবে বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন নেই মানেই তা যে অনিবন্ধিত তা কিন্তু নয়। বিডার থেকে নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধিতই বলা যায়। এছাড়াও বিসিকসহ বেশ কিছু সংস্থার কাছেও অনেক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। কাজেই এগুলোকে একেবারে অনিবন্ধিত বলা যায় না।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু দুইটা সংগঠন এই নিবন্ধন দিয়েছে সেহেতু আমাদের এখানে একটু সমন্বয়হীনতা হয়েছে। যারা বিডা থেকে আগেই নিবন্ধন হয়েছে তার নতুন করে এখানে নিবন্ধন না হওয়ায় তাদের তথ্য দেয়া হয়নি। তবে কেউ যদি আমাদের পরবর্তী সেবাগুলো পেতে চায় সেক্ষেত্রে আগের নিবন্ধন ঠিক রেখে তা সংশোধন করে বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন দেয়া হয়।

বস্ত্র অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বস্ত্র শিল্পের বিকাশের জন্য একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে এই শিল্পকে আনা হয়েছে। বেসরকারি খাত নিজ থেকেই বর্তমান পর্যায়ে বিকশিত হয়েছে। এখন এ বিকাশ আরো সুষম ও সুষ্ঠুভাবে যেন হয় সে বিষয়ে ভূমিকা পালন করবে পোশাক কর্তৃপক্ষ।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী, পোশাক কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ব্যতীত বস্ত্র শিল্প-কারখানা পরিচালনা করা যাবে না। মিথ্যা তথ্য প্রদান বা প্রতারণার মাধ্যমে নিবন্ধন গ্রহণ করলে তা বাতিল হবে। এছাড়া শর্ত লঙ্ঘন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিলম্ব ফি ব্যতীত নিবন্ধন না করলে এবং কোম্পানি-সংস্থা-অংশীদার কারবার বা আইনগত সত্তার ক্ষেত্রে অবসায়ন হলেও নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল হবে। নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিতের কারণে কোন লোকসান বা ক্ষতির জন্য ওই প্রতিষ্ঠান কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে না। বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হবে পোশাক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। পরিদর্শনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বস্ত্র শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী কারখানা পরিদর্শন করবেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে হবে শিল্প মালিক কর্তৃপক্ষকে। সহযোগিতা না করলে তা হবে অপরাধ। পরিদর্শনে সুতা ও বস্ত্রের মজুদ কার্যক্রম, বাজারজাত এবং মূল্য স্থিতীকরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজন মনে করলে নির্দেশনা জারি করবে। পরিদর্শনের জন্য পোশাক কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলগত সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমও গ্রহণ করবে সরকার।

পোশাক খাতের সংযোগ শিল্প হিসেবে আশির দশকে দেশে গড়ে উঠতে থাকে রপ্তানিমুখী বস্ত্র কারখানা। এরই ধারাবাহিকতা গড়ে উঠেছে হোম টেক্সটাইল ও টেরিটাওয়েল পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পও। সরকারি কোন আইন ছাড়াই গত ৩০ বছরে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ঘটেছে। ২০১৮ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বস্ত্র অধিদফতরে বস্ত্র শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।

অনুমোদিত বস্ত্র আইনে বস্ত্র শিল্প বলতে বস্ত্র বা তৈরি পোশাক, বস্ত্র খাতের মূলধনি যন্ত্রপাতি, অ্যালাইড টেক্সটাইল ও প্যাকেজিং উপাদান উৎপাদন, বস্ত্র পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং, গুদামজাতকরণ, আমদানি ও রপ্তানি, বিক্রয় ও বাজারজাত, বায়িং হাউজসহ সব কার্যক্রম। এছাড়া এতদসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও এর আওতাভুক্ত উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন নেই ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠানের

নাজমুল হুদা

image

দেশে বস্ত্র শিল্পের বিকাশে ২০১৮ সালে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে বস্ত্র অধিদফতরের মাধ্যমে এই শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন করতে বলা হয়। তবে বর্তমানে বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন ছাড়াই ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে। অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, বস্ত্র অধিদফতরে অনিবন্ধিত হলেও স্বীকৃত কোন সংস্থার কাছে নিবন্ধিত হলেও চলবে।

বস্ত্র অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সব মিলিয়ে বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৮ হাজার ৪১৫টি। এরমধ্যে ২০১৮ সালের আইন প্রণয়নের পর বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন নিয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬৩২টি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৬ হাজার ৭৮৩টি অর্র্থাৎ ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান এখনও নিবন্ধন নেয়নি। বস্ত্র শিল্পের ৮ হাজার ৪১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুতা উৎপাদনকারী স্পিনিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪২৫টি, কাপড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৭৯৬টি, বিশেষায়িত টেক্সটাইল ও পাওয়ার লুম প্রতিষ্ঠান ৪৪৯টি, টেরিটাওয়েল প্রতিষ্ঠান ১০৪টি, ডায়িং-প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৪০টি, গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ শিল্প আছে ৯৫৫টি। রপ্তানিমুখী নিট ও ওভেন প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ৩২৭টি। এছাড়া বস্ত্র শিল্পসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আছে ১১৯টি। ২০১৮ সালে আইন প্রণয়নের পর এখন পর্যন্ত নিবন্ধন নেয়া ১ হাজার ৬৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বস্ত্র ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ৪৯২টি, তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৪৩টি ও ৩৯৭টি বায়িং হাউজ নিবন্ধন নিয়েছে।

এ ব্যাপারে বস্ত্র অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ সংবাদকে বলেন, ২০১৮ সালের আইন প্রণয়নের আগে ঊনিশের দশক থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধিত হতো। ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন না হলেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই কাজটা বস্ত্র অধিদফতর করেছে। পাশাপাশি বিডাও এই কাজটি করেছে। আর আইন প্রণয়নের পর বিডা সম্পূর্ণভাবে কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরে এটা বস্ত্র অধিদফতর থেকেই করা হয়। আমাদের নিবন্ধন ছাড়াও ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বিডা থেকে নিবন্ধিত আছে। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান (বিডা) থেকে আগেই তারা নিবন্ধন হয়েছে তাই নতুন করে তাদের নিবন্ধিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সেখানে নিবন্ধন হয়ার মাধ্যমেই ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী সেবা আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছে। তবে বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন নেই মানেই তা যে অনিবন্ধিত তা কিন্তু নয়। বিডার থেকে নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধিতই বলা যায়। এছাড়াও বিসিকসহ বেশ কিছু সংস্থার কাছেও অনেক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। কাজেই এগুলোকে একেবারে অনিবন্ধিত বলা যায় না।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু দুইটা সংগঠন এই নিবন্ধন দিয়েছে সেহেতু আমাদের এখানে একটু সমন্বয়হীনতা হয়েছে। যারা বিডা থেকে আগেই নিবন্ধন হয়েছে তার নতুন করে এখানে নিবন্ধন না হওয়ায় তাদের তথ্য দেয়া হয়নি। তবে কেউ যদি আমাদের পরবর্তী সেবাগুলো পেতে চায় সেক্ষেত্রে আগের নিবন্ধন ঠিক রেখে তা সংশোধন করে বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন দেয়া হয়।

বস্ত্র অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বস্ত্র শিল্পের বিকাশের জন্য একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে এই শিল্পকে আনা হয়েছে। বেসরকারি খাত নিজ থেকেই বর্তমান পর্যায়ে বিকশিত হয়েছে। এখন এ বিকাশ আরো সুষম ও সুষ্ঠুভাবে যেন হয় সে বিষয়ে ভূমিকা পালন করবে পোশাক কর্তৃপক্ষ।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী, পোশাক কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ব্যতীত বস্ত্র শিল্প-কারখানা পরিচালনা করা যাবে না। মিথ্যা তথ্য প্রদান বা প্রতারণার মাধ্যমে নিবন্ধন গ্রহণ করলে তা বাতিল হবে। এছাড়া শর্ত লঙ্ঘন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিলম্ব ফি ব্যতীত নিবন্ধন না করলে এবং কোম্পানি-সংস্থা-অংশীদার কারবার বা আইনগত সত্তার ক্ষেত্রে অবসায়ন হলেও নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল হবে। নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিতের কারণে কোন লোকসান বা ক্ষতির জন্য ওই প্রতিষ্ঠান কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে না। বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হবে পোশাক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। পরিদর্শনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বস্ত্র শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী কারখানা পরিদর্শন করবেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে হবে শিল্প মালিক কর্তৃপক্ষকে। সহযোগিতা না করলে তা হবে অপরাধ। পরিদর্শনে সুতা ও বস্ত্রের মজুদ কার্যক্রম, বাজারজাত এবং মূল্য স্থিতীকরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজন মনে করলে নির্দেশনা জারি করবে। পরিদর্শনের জন্য পোশাক কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলগত সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমও গ্রহণ করবে সরকার।

পোশাক খাতের সংযোগ শিল্প হিসেবে আশির দশকে দেশে গড়ে উঠতে থাকে রপ্তানিমুখী বস্ত্র কারখানা। এরই ধারাবাহিকতা গড়ে উঠেছে হোম টেক্সটাইল ও টেরিটাওয়েল পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পও। সরকারি কোন আইন ছাড়াই গত ৩০ বছরে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ঘটেছে। ২০১৮ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বস্ত্র অধিদফতরে বস্ত্র শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।

অনুমোদিত বস্ত্র আইনে বস্ত্র শিল্প বলতে বস্ত্র বা তৈরি পোশাক, বস্ত্র খাতের মূলধনি যন্ত্রপাতি, অ্যালাইড টেক্সটাইল ও প্যাকেজিং উপাদান উৎপাদন, বস্ত্র পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং, গুদামজাতকরণ, আমদানি ও রপ্তানি, বিক্রয় ও বাজারজাত, বায়িং হাউজসহ সব কার্যক্রম। এছাড়া এতদসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও এর আওতাভুক্ত উল্লেখ করা হয়েছে।