কার্যকর সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান

কার্যকর সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সম্প্রতি ডিসিসিআই এবং এফএনএফ বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক কর্মশালায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। ডিসিসিআই এবং ফ্রেডরিক ন্যুমেন ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক কর্মশালা অদ্য ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ জানান, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত জিডিপিতে ৩২ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রায় ২.৪৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সারাবিশ্বে মানুষের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় লকডাউন চলাকালীন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাপ্লাইচেইন ব্যাহত হওয়ায় আমাদের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি জানান, বিশ^ বাণিজ্য সংস্থা-এর ‘২০২০ এসএমই কম্পিটিটিভনেস আউটলুক’র তথ্য মতে, লকডাউনের কারণে ২০২০ সালে বৈশ্বিক রপ্তানিতে ১২৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে, যার প্রভাব পড়বে আমাদের উদ্যোক্তাদের উপর। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি উল্লেখ করেন, ডিসিসিআই পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এমন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৪০ শতাংশই মনে করছেন, কোভিড মহামারীর কারণে তাদের ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এছাড়াও তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাপ্লাইচেইনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন।

এফএনএফ বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী পরবর্তী সময়কালে স্থানীয় ও বৈশি^ক সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

কনসালটেন্ট এবং করপোরেট ট্রেইনার শংকর কুমার রয় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সিএমএসএমই খাতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে দক্ষ জনবল, পুরোনো প্রযুক্তি, প্রয়োজনীয় তথ্যের অপর্যাপ্ততা, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা এবং শুল্ক বৈষম্যের কারণে এখাতের উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তিনি জানান, ব্যবসায়িক কর্মকা-ের ব্যবস্থাপনায় সাপ্লাইচেইনের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে, পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আয়োজিত কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

ডিসিসিআই’র কর্মশালা

কার্যকর সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

কার্যকর সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সম্প্রতি ডিসিসিআই এবং এফএনএফ বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক কর্মশালায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। ডিসিসিআই এবং ফ্রেডরিক ন্যুমেন ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক কর্মশালা অদ্য ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ জানান, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত জিডিপিতে ৩২ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রায় ২.৪৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সারাবিশ্বে মানুষের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় লকডাউন চলাকালীন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাপ্লাইচেইন ব্যাহত হওয়ায় আমাদের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি জানান, বিশ^ বাণিজ্য সংস্থা-এর ‘২০২০ এসএমই কম্পিটিটিভনেস আউটলুক’র তথ্য মতে, লকডাউনের কারণে ২০২০ সালে বৈশ্বিক রপ্তানিতে ১২৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে, যার প্রভাব পড়বে আমাদের উদ্যোক্তাদের উপর। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি উল্লেখ করেন, ডিসিসিআই পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এমন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৪০ শতাংশই মনে করছেন, কোভিড মহামারীর কারণে তাদের ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এছাড়াও তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাপ্লাইচেইনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন।

এফএনএফ বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী পরবর্তী সময়কালে স্থানীয় ও বৈশি^ক সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

কনসালটেন্ট এবং করপোরেট ট্রেইনার শংকর কুমার রয় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সিএমএসএমই খাতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে দক্ষ জনবল, পুরোনো প্রযুক্তি, প্রয়োজনীয় তথ্যের অপর্যাপ্ততা, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা এবং শুল্ক বৈষম্যের কারণে এখাতের উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তিনি জানান, ব্যবসায়িক কর্মকা-ের ব্যবস্থাপনায় সাপ্লাইচেইনের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে, পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আয়োজিত কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন।