করোনায় লকডাউনের দিনগুলোতে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম নিজের এলাকাতেই ছিলেন। এলাকায় থেকেই এলাকাবাসীর নিয়মিত খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে করোনার কারণে স্টেজ শো বন্ধ হয়ে যাবার কারণে মমতাজের নিজ এলাকায় সাধারণ সঙ্গীতশিল্পী যারা তাদের আয় রোজগার বন্ধ ছিল। প্রায় সাত মাসেরও বেশি সেইসব শিল্পীদের পরিবার অনেকটাই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে সময় পার করছেন। তাদের কথা ভেবেই মমতাজ গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মন্টব ইউনিয়নের ভাকুম গ্রামে মধুর মঞ্চতে অনেকটাই পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পালা গানের সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। হঠাৎ উপস্থিত দর্শকের অনুরোধে মমতাজও পরপর তিনটি গান পরিবেশন করেন। মমতাজ বলেন, ‘আমাদের গ্রামে গঞ্জে যারা সেই অর্থে বিখ্যাত নন, কিন্তু খুব ভালো গান, নিয়মিতই স্টেজ শো’তে গাইতেন তারা কিন্তু বেশ খারাপ অবস্থায় আছেন। যেহেতু মধুর মঞ্চটা বাউলদের মঞ্চ। তাই এভাবে যদি আমরা ছোট ছোট অনুষ্ঠান শুরু করতে পারি তাহলে সাধারণ শিল্পীদের জন্য তা খুব উপকারের হয়ে দাঁড়াবে। আমি সবসময়ই আমার এলাকার মানুষের জন্য নিবেদিত, এলাকার বাউলশিল্পী, সাধারণ শিল্পীদের জন্য আমি নিবেদিত। আমার যতো ব্যস্ততাই থাকুক না কেন প্রতি মাসে এই অনুষ্ঠান আপাতত চলতে থাকবে ইনশাল্লাহ।’ মধুর মঞ্চতে অনুষ্ঠানে মমতাজের পাশে তার মা উজালা বেগমও ছিলেন। গেলো দুই ঈদে করোনার মধ্যে দুটি লাইভ শো’তে অংশ নিয়েছেন মমতাজ। এছাড়াও এরইমধ্যে একটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তিনি স্টেজ শো’তে অংশ নিয়েছেন। যদি এভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শো’র আয়োজন করা হয় তবে তাতে অংশ নেবেন বলেও জানান মমতাজ।
রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০ , ৩০ সফর ১৪৪২, ০২ কার্তিক ১৪২৭
বিনোদন প্রতিবেদক |
করোনায় লকডাউনের দিনগুলোতে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম নিজের এলাকাতেই ছিলেন। এলাকায় থেকেই এলাকাবাসীর নিয়মিত খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে করোনার কারণে স্টেজ শো বন্ধ হয়ে যাবার কারণে মমতাজের নিজ এলাকায় সাধারণ সঙ্গীতশিল্পী যারা তাদের আয় রোজগার বন্ধ ছিল। প্রায় সাত মাসেরও বেশি সেইসব শিল্পীদের পরিবার অনেকটাই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে সময় পার করছেন। তাদের কথা ভেবেই মমতাজ গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মন্টব ইউনিয়নের ভাকুম গ্রামে মধুর মঞ্চতে অনেকটাই পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পালা গানের সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। হঠাৎ উপস্থিত দর্শকের অনুরোধে মমতাজও পরপর তিনটি গান পরিবেশন করেন। মমতাজ বলেন, ‘আমাদের গ্রামে গঞ্জে যারা সেই অর্থে বিখ্যাত নন, কিন্তু খুব ভালো গান, নিয়মিতই স্টেজ শো’তে গাইতেন তারা কিন্তু বেশ খারাপ অবস্থায় আছেন। যেহেতু মধুর মঞ্চটা বাউলদের মঞ্চ। তাই এভাবে যদি আমরা ছোট ছোট অনুষ্ঠান শুরু করতে পারি তাহলে সাধারণ শিল্পীদের জন্য তা খুব উপকারের হয়ে দাঁড়াবে। আমি সবসময়ই আমার এলাকার মানুষের জন্য নিবেদিত, এলাকার বাউলশিল্পী, সাধারণ শিল্পীদের জন্য আমি নিবেদিত। আমার যতো ব্যস্ততাই থাকুক না কেন প্রতি মাসে এই অনুষ্ঠান আপাতত চলতে থাকবে ইনশাল্লাহ।’ মধুর মঞ্চতে অনুষ্ঠানে মমতাজের পাশে তার মা উজালা বেগমও ছিলেন। গেলো দুই ঈদে করোনার মধ্যে দুটি লাইভ শো’তে অংশ নিয়েছেন মমতাজ। এছাড়াও এরইমধ্যে একটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তিনি স্টেজ শো’তে অংশ নিয়েছেন। যদি এভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শো’র আয়োজন করা হয় তবে তাতে অংশ নেবেন বলেও জানান মমতাজ।