কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি ঋণ বিতরণ করতে হবে

কৃষি খাতে চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ২ হাজার ১৯১ কোটি টাকা বিতরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, ব্যাংকগুলো এখন পর্যন্ত এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮.৪৩ শতাংশ কম ঋণ বিতরণ করেছে।

অর্থবছরের প্রথম ২ মাস ঋণ বিতরণের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশ ভালো ছিল। তবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষি ঋণ বিতরণ করতে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশের অর্থনীতিতে কৃষিখাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে দেশের কর্মশক্তির ৪০ শতাংশের বেশি প্রত্যক্ষভাবে কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় কৃষি খাতই দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছে। দফায় দফায় বন্যা আর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কৃষি খাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সেটা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা যাচ্ছে না। কৃষি ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহের কথা গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশ পায়। শুধু কৃষিই নয় এসএমই খাতও তাদের অনাগ্রহের শিকার।

যথাসময়ে ঋণ না পেলে মৌসুম অনুযায়ী ফসল ফলানো কৃষকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। বিষয়টির গুরুত্ব ঋণ বিতরণকারীদের বুঝতে হবে। তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানতে আইনত তারা বাধ্য। ব্যাংকগুলো নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি ঋণ বিতরণ করছে কিনা সেটা মনিটর করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কেউ ব্যর্থ হলে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি ঋণ বিতরণ করতে হবে

কৃষি খাতে চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ২ হাজার ১৯১ কোটি টাকা বিতরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, ব্যাংকগুলো এখন পর্যন্ত এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮.৪৩ শতাংশ কম ঋণ বিতরণ করেছে।

অর্থবছরের প্রথম ২ মাস ঋণ বিতরণের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশ ভালো ছিল। তবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষি ঋণ বিতরণ করতে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশের অর্থনীতিতে কৃষিখাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে দেশের কর্মশক্তির ৪০ শতাংশের বেশি প্রত্যক্ষভাবে কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় কৃষি খাতই দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছে। দফায় দফায় বন্যা আর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কৃষি খাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সেটা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা যাচ্ছে না। কৃষি ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহের কথা গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশ পায়। শুধু কৃষিই নয় এসএমই খাতও তাদের অনাগ্রহের শিকার।

যথাসময়ে ঋণ না পেলে মৌসুম অনুযায়ী ফসল ফলানো কৃষকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। বিষয়টির গুরুত্ব ঋণ বিতরণকারীদের বুঝতে হবে। তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানতে আইনত তারা বাধ্য। ব্যাংকগুলো নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি ঋণ বিতরণ করছে কিনা সেটা মনিটর করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কেউ ব্যর্থ হলে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।