খাদ্য গুদামে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করুন

২০১৯ সালে বোরো মৌসুমে ৫১টি চালকলের কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল কিনেছিল বদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য বিভাগ। গত বছর বোরো মৌসুমে চালের বাজারমূল্য ছিল সর্বোচ্চ ২৫ টাকা কেজি আর খাদ্য বিভাগ চাল কিনেছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দামে চাল কিনেছে খাদ্য বিভাগ। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে চালকলের সংখ্যা বেশি দেখানো হয়েছে। বন্ধ থাকা চালকলেও চাল সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে। চালকল মালিকদের কাছ থেকে কেজিপ্রতি ৪/৫ টাকা করে ঘুষ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অনিয়মের এ চিত্র শুধু বদরগঞ্জেই নয়, সরকারি অনেক খাদ্য গুদামে দৃশ্যমান হচ্ছে। করোনার দুঃসময়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে চাল সংগ্রহ জোরদার করে সরকারের খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে নেয়া দরকার। চাল কেনা নিয়ে এমন দুর্নীতি হলে সরকারের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য পূরণ হবে না।

যেভাবেই হোক, খাদ্য গুদামে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ কমিটি গঠন করে জরুরি ভিত্তিতে অনিয়ম দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। খাদ্য বিভাগে যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ধরনের অনিয়ম যেন আর না ঘটে সেদিকে সতর্ক হতে হবে।

সরকারিভাবে খাদ্য গুদামগুলোকে ডিজিটালাইজড করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা এ উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। খাদ্য গুদাম ডিজিটালাইজড হলে অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরের খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে। দুর্নীতি ও অনিয়ম কমবে। এর মাধ্যমে দেশের খাদ্য গুদামের সর্বশেষ কী অবস্থা, কী পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত আছে তাও জানা যাবে। ফলে কেউ কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

খাদ্য গুদামে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করুন

২০১৯ সালে বোরো মৌসুমে ৫১টি চালকলের কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল কিনেছিল বদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য বিভাগ। গত বছর বোরো মৌসুমে চালের বাজারমূল্য ছিল সর্বোচ্চ ২৫ টাকা কেজি আর খাদ্য বিভাগ চাল কিনেছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দামে চাল কিনেছে খাদ্য বিভাগ। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে চালকলের সংখ্যা বেশি দেখানো হয়েছে। বন্ধ থাকা চালকলেও চাল সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে। চালকল মালিকদের কাছ থেকে কেজিপ্রতি ৪/৫ টাকা করে ঘুষ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অনিয়মের এ চিত্র শুধু বদরগঞ্জেই নয়, সরকারি অনেক খাদ্য গুদামে দৃশ্যমান হচ্ছে। করোনার দুঃসময়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে চাল সংগ্রহ জোরদার করে সরকারের খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে নেয়া দরকার। চাল কেনা নিয়ে এমন দুর্নীতি হলে সরকারের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য পূরণ হবে না।

যেভাবেই হোক, খাদ্য গুদামে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ কমিটি গঠন করে জরুরি ভিত্তিতে অনিয়ম দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। খাদ্য বিভাগে যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ধরনের অনিয়ম যেন আর না ঘটে সেদিকে সতর্ক হতে হবে।

সরকারিভাবে খাদ্য গুদামগুলোকে ডিজিটালাইজড করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা এ উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। খাদ্য গুদাম ডিজিটালাইজড হলে অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরের খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে। দুর্নীতি ও অনিয়ম কমবে। এর মাধ্যমে দেশের খাদ্য গুদামের সর্বশেষ কী অবস্থা, কী পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত আছে তাও জানা যাবে। ফলে কেউ কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করতে পারবে না।