বিশেষ ছাড়ে ঋণ পুনঃতফসিলের সময় বেড়েছে

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিশেষ সুবিধায় পুনঃতফসিলকৃত গ্রাহকরাও ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত সময় পাবেন। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ঋণ আদায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধে সরকার ঘোষিত বন্ধের দিনগুলোর সমান সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে আগেই। তবে জারি করা সার্কুলারের মাধ্যমে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পুনঃতফসিলকারীদেরও এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।

গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ০৫/২০১৯-এর আওতায় পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ক্ষেত্রেও বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ১৭/২০২০-এর নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে, পুনঃতফসিলের আওতায় ঋণগ্রহীতার অর্থ পরিশোধের জন্য প্রদত্ত মেয়াদের যে অংশ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পড়বে শুধুমাত্র সে অংশ ডেফার্ড (এককালীন এক্সিটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন) হিসেবে বিবেচিত হবে।

গত বছর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাত্র ২ শতাংশ নগদ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য মন্দমানের খেলাপি ঋণ নবায়নের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৯ শতাংশ। এমনকি পুনঃতফসিলের আগে সুদ মওকুফ সুবিধার সুযোগও রাখা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো খসড়া পরিপত্রের আলোকে ১৬ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ এ নীতিমালার আওতায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দ বা ‘ক্ষতিজনক’ মানে শ্রেণীকৃত ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ব্যাংকগুলো ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনারোপিত সুদের সম্পূর্ণ অংশ এবং ব্যাংকের স্থগিত খাতে রক্ষিত সুদের পুরোটা মওকুফ করতে পারবে। তবে কোন ক্ষেত্রে সুদহার ৯ শতাংশের বেশি হবে না। মাসিক অথবা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে এ ঋণ আদায় করা যাবে। প্রচলিত নিয়মে আসল এবং সুদ বিবেচনায় নিয়ে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। সেক্ষেত্রে নগদ ন্যূনতম ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিতে হবে। কোন ঋণের ৯টি মাসিক কিস্তির মধ্যে ৬টি এবং ৩টি ত্রৈমাসিক কিস্তির ২টি অনাদায়ী হলে এ সুবিধা বাতিল হবে।

শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ পৌষ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বিশেষ ছাড়ে ঋণ পুনঃতফসিলের সময় বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিশেষ সুবিধায় পুনঃতফসিলকৃত গ্রাহকরাও ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত সময় পাবেন। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ঋণ আদায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধে সরকার ঘোষিত বন্ধের দিনগুলোর সমান সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে আগেই। তবে জারি করা সার্কুলারের মাধ্যমে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পুনঃতফসিলকারীদেরও এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।

গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ০৫/২০১৯-এর আওতায় পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ক্ষেত্রেও বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ১৭/২০২০-এর নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে, পুনঃতফসিলের আওতায় ঋণগ্রহীতার অর্থ পরিশোধের জন্য প্রদত্ত মেয়াদের যে অংশ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পড়বে শুধুমাত্র সে অংশ ডেফার্ড (এককালীন এক্সিটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন) হিসেবে বিবেচিত হবে।

গত বছর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাত্র ২ শতাংশ নগদ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য মন্দমানের খেলাপি ঋণ নবায়নের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৯ শতাংশ। এমনকি পুনঃতফসিলের আগে সুদ মওকুফ সুবিধার সুযোগও রাখা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো খসড়া পরিপত্রের আলোকে ১৬ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ এ নীতিমালার আওতায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দ বা ‘ক্ষতিজনক’ মানে শ্রেণীকৃত ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ব্যাংকগুলো ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনারোপিত সুদের সম্পূর্ণ অংশ এবং ব্যাংকের স্থগিত খাতে রক্ষিত সুদের পুরোটা মওকুফ করতে পারবে। তবে কোন ক্ষেত্রে সুদহার ৯ শতাংশের বেশি হবে না। মাসিক অথবা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে এ ঋণ আদায় করা যাবে। প্রচলিত নিয়মে আসল এবং সুদ বিবেচনায় নিয়ে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। সেক্ষেত্রে নগদ ন্যূনতম ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিতে হবে। কোন ঋণের ৯টি মাসিক কিস্তির মধ্যে ৬টি এবং ৩টি ত্রৈমাসিক কিস্তির ২টি অনাদায়ী হলে এ সুবিধা বাতিল হবে।