স্বাগত ২০২১ : জেগে উঠুক জীবনের জলছবি

সেলিনা হোসেন

নতুন বছরের কাছে আশাবাদী প্রত্যাশায় জেগে উঠুক জীবনের জলছবি। ফিরে আসুক সব শান্তি। বিদায় হোক মৃত্যুর অমানিশা। বিদায় ২০২০।

নানা দুর্যোগের ডামাডোলে শেষ হলো একটি বছর। বাংলাদেশের মানুষের সামনে ভেসে বেড়িয়েছিল দুটি নতুন শব্দ- করোনাভাইরাস ও কোভিড-১৯। এ শব্দ দুটো বিশ্বজুড়ে মানুষের সামনে মৃত্যুর অপঘাতে মানুষকে আতঙ্কে ডুবিয়ে রেখেছিল।

নতুন বছরের কাছে প্রত্যাশা, আনন্দধ্বনি বাজুক প্রাণে। বিগত বছরের দুর্যোগকাল কাটিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাক। নিঃশ্বাস ভরে টেনে নিক বসন্ত বাতাস।

বাংলাদেশের মানুষের সামনে করোনাকালের নিষ্ঠুর সময়ে স্বপ্নের আকাক্সক্ষা পূরণ করেছে পদ্মা সেতু। মানুষ দুর্যোগের ঝুঁকি মাথায় রেখে উন্নয়নের সুচারু পদক্ষেপে এগিয়ে গেছে। এটাই বাঙালি জাতির শক্তি। যেভাবে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, এ দুর্যোগকাল মোকাবিলাও এক সাহসী পদক্ষেপ। এ বছরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপিত হয়েছে। এ করোনাকালেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্কুলের শিশুদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নতুন বছরে এ প্রত্যাশা পূরণ হবে। কামনা করি, ২০২১ সাল শিশুদের শিক্ষার দ্বার খুলে দিক। স্কুলের পড়াশোনায় ওরা ফিরে পাক জীবনের নতুন যাত্রা। ২০২০ সাল এ জায়গাটি বন্ধ করে রেখে আমাদের মর্মাহত করে রেখেছিল। শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বঞ্চনা আর দেখতে হবে না এটাই তোমার কাছে প্রত্যাশা ২০২১।

আমরা গত বছরে করোনার কারণে মৃত মানুষদের লাশ দাফনের মানবিক দিক পেয়েছি পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে। বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা লাশ তারা দাফন করেছে, শ্মশানে দাহ করার ব্যবস্থা করেছে। পুলিশ বাহিনীর এ মানবিক বোধ নতুন বছরে আরও দিগন্ত প্রসারিত হবে বলে প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি প্রত্যাশা করি, নারী নির্যাতন-শিশু নির্যাতন বন্ধ হবে ২০২১-এ। পুলিশ বাহিনীর মানবিক চেতনায় ফিরে আসবে বিসর্জিত মূল্যবোধ।

আমাদের প্রত্যাশা, কোভিড ভ্যাকসিনে নির্মূল হবে করোনাকালের দুর্যোগ। বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনে ফিরে আসবে স্বস্তি। বাংলাদেশের মানুষ ফিরে পাবে দৈনন্দিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জয়তু ২০২১।

শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ পৌষ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

স্বাগত ২০২১ : জেগে উঠুক জীবনের জলছবি

সেলিনা হোসেন

নতুন বছরের কাছে আশাবাদী প্রত্যাশায় জেগে উঠুক জীবনের জলছবি। ফিরে আসুক সব শান্তি। বিদায় হোক মৃত্যুর অমানিশা। বিদায় ২০২০।

নানা দুর্যোগের ডামাডোলে শেষ হলো একটি বছর। বাংলাদেশের মানুষের সামনে ভেসে বেড়িয়েছিল দুটি নতুন শব্দ- করোনাভাইরাস ও কোভিড-১৯। এ শব্দ দুটো বিশ্বজুড়ে মানুষের সামনে মৃত্যুর অপঘাতে মানুষকে আতঙ্কে ডুবিয়ে রেখেছিল।

নতুন বছরের কাছে প্রত্যাশা, আনন্দধ্বনি বাজুক প্রাণে। বিগত বছরের দুর্যোগকাল কাটিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাক। নিঃশ্বাস ভরে টেনে নিক বসন্ত বাতাস।

বাংলাদেশের মানুষের সামনে করোনাকালের নিষ্ঠুর সময়ে স্বপ্নের আকাক্সক্ষা পূরণ করেছে পদ্মা সেতু। মানুষ দুর্যোগের ঝুঁকি মাথায় রেখে উন্নয়নের সুচারু পদক্ষেপে এগিয়ে গেছে। এটাই বাঙালি জাতির শক্তি। যেভাবে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, এ দুর্যোগকাল মোকাবিলাও এক সাহসী পদক্ষেপ। এ বছরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপিত হয়েছে। এ করোনাকালেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্কুলের শিশুদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নতুন বছরে এ প্রত্যাশা পূরণ হবে। কামনা করি, ২০২১ সাল শিশুদের শিক্ষার দ্বার খুলে দিক। স্কুলের পড়াশোনায় ওরা ফিরে পাক জীবনের নতুন যাত্রা। ২০২০ সাল এ জায়গাটি বন্ধ করে রেখে আমাদের মর্মাহত করে রেখেছিল। শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বঞ্চনা আর দেখতে হবে না এটাই তোমার কাছে প্রত্যাশা ২০২১।

আমরা গত বছরে করোনার কারণে মৃত মানুষদের লাশ দাফনের মানবিক দিক পেয়েছি পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে। বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা লাশ তারা দাফন করেছে, শ্মশানে দাহ করার ব্যবস্থা করেছে। পুলিশ বাহিনীর এ মানবিক বোধ নতুন বছরে আরও দিগন্ত প্রসারিত হবে বলে প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি প্রত্যাশা করি, নারী নির্যাতন-শিশু নির্যাতন বন্ধ হবে ২০২১-এ। পুলিশ বাহিনীর মানবিক চেতনায় ফিরে আসবে বিসর্জিত মূল্যবোধ।

আমাদের প্রত্যাশা, কোভিড ভ্যাকসিনে নির্মূল হবে করোনাকালের দুর্যোগ। বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনে ফিরে আসবে স্বস্তি। বাংলাদেশের মানুষ ফিরে পাবে দৈনন্দিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জয়তু ২০২১।