পিয়ারের উচ্চতা জটিলতা সমাধানে দুটি করে পাইল বৃদ্ধির সুপারিশ

২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে চলবে রেল

পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্পের ৪টি পিয়ারের উচ্চতার জটিলতা সমাধানে পাইলিং বৃদ্ধির সুপারিশ রয়েছে রেলওয়ের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান। এজন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৪, ১৫, ২৫-১ ও ২৫-২ নম্বর পিয়ারে ২টি করে পাইল সুপারিশ করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে ভার্টিক্যাল উচ্চতা ৫ দশমিক ৭ মিটার এবং হরিজেন্টাল উচ্চতা ১৫ দশমিক ৫ মিটার রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের দুটি পিয়ারে উচ্চতার বিষয়ে আপত্তি জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতুতে উঠার আগের মাওয়া প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের ১৪-১৫ নম্বর ও জাজিরা প্রান্তের ২৫-১ ও ২ নম্বর পিয়ারে উচ্চতা কম থাকায় মূল সেতু ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান উঠতে বাধাগ্রস্ত হবে। মূল সেতুর দুই প্রান্তে হরিজেন্টাল (অনুভূমিক) ও ভার্টিক্যাল (উল্লম্ব) দু’দিকেই উচ্চতা কম থাকায় এই সমস্যা দেখা দেয়। আন্তর্জাতিকভাবে সড়কপথের হেডরুম স্ট্যান্ডার্ড হলো হরাইজন্টাল ১৫ মিটার দশমিক ৫ মিটার, ভার্টিক্যাল ৫ দশমিক ৭ মিটার থাকতে হবে। কিন্তু রেল প্রকল্পে ভার্টিক্যাল রাখা হয়েছে ৪ দশমিক ৮ মিটার। তাই সমস্যা সমাধানে এই চারটি পিয়ারে অতিরিক্ত আরও ২টি পাইলিং বৃদ্ধি করে উচ্চতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সংবাদকে বলেন, রেলওয়ে পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের সুপারিশে ২টি পাইল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সেতু বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী ভার্টিক্যাল উচ্চতা ৫ দশমিক ৭ মিটার এবং হরিজেন্টাল উচ্চতা ১৫ দশমিক ৫ মিটার রাখার আরও কিছু কাজ করতে হবে। পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের এই সুপারিশের সেতু বিভাগ সম্মত হয়েছে। তাই মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৪, ১৫, ২৫-১ ও ২৫-২ নম্বর পিয়ারে উচ্চতা বাড়াতে নতুন করে পাইলিং করতে হবে বলে জানান তিনি।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মূল সেতুতে রেলপথ নির্মাণে ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাবের মধ্যে ২০৭৭টি স্লাব বসানো হয়েছে। বাকি রয়েছে ৮৮২টি। মাওয়া থেকে জাজিরা হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতু কর্তৃপক্ষ দুই প্রান্তে ৭টি করে পিয়ার তৈরি করে দিয়েছে। বাকি অংশে রেল ১৭৬টি পিয়ার স্থাপন করছে। এরই মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ৬৮টি পিয়ারের মধ্যে ৬৫টি পিয়ার এবং ৬৭টি ভায়াডাক্ট মধ্যে ৫১টি বসানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ১০৮টি পিয়ারের মধ্যে ১০৫টি এবং ১০৬টি স্প্যানের মধ্যে ৪৪টি বসানো হয়েছে। ২০২১ সালে ডিসেম্বর মূল সেতুতে রেললাইন সংযোজনের রেলওয়ে হস্তান্তর করবে সেতু বিভাগে। এরপর রেল স্ল্যাবের উপর একটি স্ল্যাব বসিয়ে রেললাইন বসানো হবে। এজন্য ৩-৪ মাস সময় লাগবে। তাই ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প

পিয়ারের উচ্চতা জটিলতা সমাধানে দুটি করে পাইল বৃদ্ধির সুপারিশ

২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে চলবে রেল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্পের ৪টি পিয়ারের উচ্চতার জটিলতা সমাধানে পাইলিং বৃদ্ধির সুপারিশ রয়েছে রেলওয়ের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান। এজন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৪, ১৫, ২৫-১ ও ২৫-২ নম্বর পিয়ারে ২টি করে পাইল সুপারিশ করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে ভার্টিক্যাল উচ্চতা ৫ দশমিক ৭ মিটার এবং হরিজেন্টাল উচ্চতা ১৫ দশমিক ৫ মিটার রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের দুটি পিয়ারে উচ্চতার বিষয়ে আপত্তি জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতুতে উঠার আগের মাওয়া প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের ১৪-১৫ নম্বর ও জাজিরা প্রান্তের ২৫-১ ও ২ নম্বর পিয়ারে উচ্চতা কম থাকায় মূল সেতু ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান উঠতে বাধাগ্রস্ত হবে। মূল সেতুর দুই প্রান্তে হরিজেন্টাল (অনুভূমিক) ও ভার্টিক্যাল (উল্লম্ব) দু’দিকেই উচ্চতা কম থাকায় এই সমস্যা দেখা দেয়। আন্তর্জাতিকভাবে সড়কপথের হেডরুম স্ট্যান্ডার্ড হলো হরাইজন্টাল ১৫ মিটার দশমিক ৫ মিটার, ভার্টিক্যাল ৫ দশমিক ৭ মিটার থাকতে হবে। কিন্তু রেল প্রকল্পে ভার্টিক্যাল রাখা হয়েছে ৪ দশমিক ৮ মিটার। তাই সমস্যা সমাধানে এই চারটি পিয়ারে অতিরিক্ত আরও ২টি পাইলিং বৃদ্ধি করে উচ্চতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সংবাদকে বলেন, রেলওয়ে পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের সুপারিশে ২টি পাইল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সেতু বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী ভার্টিক্যাল উচ্চতা ৫ দশমিক ৭ মিটার এবং হরিজেন্টাল উচ্চতা ১৫ দশমিক ৫ মিটার রাখার আরও কিছু কাজ করতে হবে। পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের এই সুপারিশের সেতু বিভাগ সম্মত হয়েছে। তাই মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৪, ১৫, ২৫-১ ও ২৫-২ নম্বর পিয়ারে উচ্চতা বাড়াতে নতুন করে পাইলিং করতে হবে বলে জানান তিনি।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মূল সেতুতে রেলপথ নির্মাণে ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাবের মধ্যে ২০৭৭টি স্লাব বসানো হয়েছে। বাকি রয়েছে ৮৮২টি। মাওয়া থেকে জাজিরা হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতু কর্তৃপক্ষ দুই প্রান্তে ৭টি করে পিয়ার তৈরি করে দিয়েছে। বাকি অংশে রেল ১৭৬টি পিয়ার স্থাপন করছে। এরই মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ৬৮টি পিয়ারের মধ্যে ৬৫টি পিয়ার এবং ৬৭টি ভায়াডাক্ট মধ্যে ৫১টি বসানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ১০৮টি পিয়ারের মধ্যে ১০৫টি এবং ১০৬টি স্প্যানের মধ্যে ৪৪টি বসানো হয়েছে। ২০২১ সালে ডিসেম্বর মূল সেতুতে রেললাইন সংযোজনের রেলওয়ে হস্তান্তর করবে সেতু বিভাগে। এরপর রেল স্ল্যাবের উপর একটি স্ল্যাব বসিয়ে রেললাইন বসানো হবে। এজন্য ৩-৪ মাস সময় লাগবে। তাই ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।