মজুদ আইন সংস্কার করা জরুরি

বড় অটো রাইস মিলগুলোতে ধান-চাল মজুদের কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও এসব অটো রাইস মিলগুলোকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশের মজুদ আইন অনুযায়ী তারা কোন আইন ভঙ্গের অপরাধের মধ্যে পড়ে না। আইন অনুযায়ী একেকটি মিলে যে পরিমাণ ধান-চাল মজুদ করার কথা বলা হয়েছে, সেই পরিমাণ মজুদ করলেও তাদের কাছে অনেক ধান-চাল মজুদ থাকবে। গত রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মজুদদার ও মিল মালিকদের মজুতের যে অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণ করা কঠিন। মজুদ আইন অনুযায়ী, একটি রাইস মিল ১৫ দিনে যে পরিমাণ ধান থেকে চাল প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম, তার পাঁচগুণ ধান এবং দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত মজুদ করতে হবে। কিছু কিছু অটো-রাইস মিল বিশালাকার হওয়ার কারণে আইন মেনেই ব্যাপক পরিমাণ ধান ও চাল উদ্ধৃত রাখতে সক্ষম। সেখানে তাদের দোষারোপের জায়গা নেই।

এক্ষেত্রে সরকারকে মজুদ আইন সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি অটো রাইস মিলের আকার কত বড় হবে, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। রাইস মিলের আকার নির্ধারণ করে দিলে মিলাররা অতিরিক্ত মজুদ করতে পারবেন না।

সরকারের ধান-চাল মজুত করার সক্ষমতা কম হওয়ার কারণে বেশিরভাগ সময়ই সরকারের পক্ষে বাজার প্রভাবিত করার সুযোগ থাকে না। এই সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারি গুদামে কৃষকদের ফসল সংরক্ষণ করার সুযোগ করে দিতে হবে, যেন ফসল উঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষককে অল্প দামে ফসল বিক্রি না করতে হয়।

ধান চালের ন্যায্য মূল্য যেন উৎপাদকের কাছে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, চালের দাম যেন নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি না করে তা খেয়াল রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ , ৩০ পৌষ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

মজুদ আইন সংস্কার করা জরুরি

বড় অটো রাইস মিলগুলোতে ধান-চাল মজুদের কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও এসব অটো রাইস মিলগুলোকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশের মজুদ আইন অনুযায়ী তারা কোন আইন ভঙ্গের অপরাধের মধ্যে পড়ে না। আইন অনুযায়ী একেকটি মিলে যে পরিমাণ ধান-চাল মজুদ করার কথা বলা হয়েছে, সেই পরিমাণ মজুদ করলেও তাদের কাছে অনেক ধান-চাল মজুদ থাকবে। গত রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মজুদদার ও মিল মালিকদের মজুতের যে অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণ করা কঠিন। মজুদ আইন অনুযায়ী, একটি রাইস মিল ১৫ দিনে যে পরিমাণ ধান থেকে চাল প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম, তার পাঁচগুণ ধান এবং দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত মজুদ করতে হবে। কিছু কিছু অটো-রাইস মিল বিশালাকার হওয়ার কারণে আইন মেনেই ব্যাপক পরিমাণ ধান ও চাল উদ্ধৃত রাখতে সক্ষম। সেখানে তাদের দোষারোপের জায়গা নেই।

এক্ষেত্রে সরকারকে মজুদ আইন সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি অটো রাইস মিলের আকার কত বড় হবে, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। রাইস মিলের আকার নির্ধারণ করে দিলে মিলাররা অতিরিক্ত মজুদ করতে পারবেন না।

সরকারের ধান-চাল মজুত করার সক্ষমতা কম হওয়ার কারণে বেশিরভাগ সময়ই সরকারের পক্ষে বাজার প্রভাবিত করার সুযোগ থাকে না। এই সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারি গুদামে কৃষকদের ফসল সংরক্ষণ করার সুযোগ করে দিতে হবে, যেন ফসল উঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষককে অল্প দামে ফসল বিক্রি না করতে হয়।

ধান চালের ন্যায্য মূল্য যেন উৎপাদকের কাছে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, চালের দাম যেন নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি না করে তা খেয়াল রাখতে হবে।