২০ লাখ উপকারভোগী ভাতা পাবেন বিকাশে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ভাতা মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এখন থেকে বিকাশের মাধ্যমে জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতিতে সারাদেশের ২৪টি জেলার প্রায় ২০ লাখ উপকারভোগীর কাছে এসব ভাতা সহজেই পৌঁছে যাবে। কোন রকম বাড়তি খরচ ছাড়াই তা খুব সহজেই বিকাশের সবচেয়ে বিস্তৃত এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ক্যাশআউট করে নিতে পারবেন উপকারভোগীরা। ক্যাশ আউট খরচের ৭ টাকা সরকার বহন করবে, বাকি টাকা বহন করবে বিকাশ নিজেই। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী। বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে ভাতাপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। লালমনিরহাট ও পিরোজপুরের বিকাশে ভাতাপ্রাপ্তরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রতি ১০০ টাকা হারে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রথম এই ভাতা প্রদান শুরু করেন। বর্তমান সরকারই পর্যায়ক্রমে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে জনপ্রতি ভাতা ৫০০ টাকায় উন্নীত করেন। প্রতিবন্ধীরা ৭৫০ টাকা করে ভাতা পান। ইতিপূর্বে পাইলট প্রকল্পে ভাতাভোগীদের মধ্যে জিটুপির মাধমে ভাতা বিতরণ করা হয়েছে। ভাতা বিতরণ এর পাইলট কার্যক্রমে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ সবচেয়ে সফলতার সঙ্গে ভাতা বিতরণ সম্পন্ন করে।

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১ মাঘ ১৪২৭, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

২০ লাখ উপকারভোগী ভাতা পাবেন বিকাশে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ভাতা মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এখন থেকে বিকাশের মাধ্যমে জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতিতে সারাদেশের ২৪টি জেলার প্রায় ২০ লাখ উপকারভোগীর কাছে এসব ভাতা সহজেই পৌঁছে যাবে। কোন রকম বাড়তি খরচ ছাড়াই তা খুব সহজেই বিকাশের সবচেয়ে বিস্তৃত এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ক্যাশআউট করে নিতে পারবেন উপকারভোগীরা। ক্যাশ আউট খরচের ৭ টাকা সরকার বহন করবে, বাকি টাকা বহন করবে বিকাশ নিজেই। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী। বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে ভাতাপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। লালমনিরহাট ও পিরোজপুরের বিকাশে ভাতাপ্রাপ্তরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রতি ১০০ টাকা হারে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রথম এই ভাতা প্রদান শুরু করেন। বর্তমান সরকারই পর্যায়ক্রমে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে জনপ্রতি ভাতা ৫০০ টাকায় উন্নীত করেন। প্রতিবন্ধীরা ৭৫০ টাকা করে ভাতা পান। ইতিপূর্বে পাইলট প্রকল্পে ভাতাভোগীদের মধ্যে জিটুপির মাধমে ভাতা বিতরণ করা হয়েছে। ভাতা বিতরণ এর পাইলট কার্যক্রমে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ সবচেয়ে সফলতার সঙ্গে ভাতা বিতরণ সম্পন্ন করে।