বিশ্বকাপ সুপার লীগের পয়েন্টে চোখ টাইগার ও উইন্ডিজের

আজ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়ে গেছে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। টানা দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে টাইগাররা। যার অর্থ সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ দলের। তবে, তিন ম্যাচ সিরিজটাকে এখনও জীবন্ত রেখেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার লীগের পয়েন্ট। সামনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার লীগে অংশ নিতে হলে এখন থেকে প্রতিটা ওডিআই ম্যাচের পয়েন্টই যেকোন দলের কজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দল ইতোমধ্যে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার পাশাপাশি অর্জন করেছে ২০ পয়েন্ট। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা এগারটায় দুই দল মুখোমুখি হওয়ার সময় কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইবে না। সিরিজ খোয়ালেও বাংলাদেশ সফরে আসা ক্যারিবিয়ান দল শেষ ম্যাচ জিতে অন্তত দশটা পয়েন্ট অর্জন করতে চাইবে। অন্যদিকে সিরিজ জয়ের তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে বাংলাদেশ দলও আরও দশটা পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে।

নিয়মিত তারকা ক্রিকেটারবিহীন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দল প্রত্যাশামতই টানা দুটো ওডিআই জয় করেছে। স্বাগতিক দলের বোলিং ডিপার্টমেন্ট দুই ম্যাচেই ক্যারিবিয়ানদের ১৫০ রানের মধ্যে অল আউট করে দেয়। সুপার লীগের পয়েন্টে চোখ থাকলেও আগামী মার্চ মাসের নিউজিল্যান্ড সফর সামনে রেখে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট রিজার্ভ বেঞ্চের ক্রিকেটারদের সোমবারের ম্যাচে সুযোগ দিতে পারে। বিশেষ করে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা মাহাদি হাসান এবং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন চট্টগ্রামের ম্যাচের একাদশে জায়গা পেতে পারেন। আবার নিউজিল্যান্ড সফরে সীমিত ওভারের ম্যাচের আগে আর কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তাদের ফর্মের পরীক্ষাও হয়ে যেতে পারে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিথুন ও আফিফ হোসেনের সামর্থ্য নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু বর্তমান একাদশ যেভাবে খেলছে, তাতে করে এদের সুযোগ দেয়াটা আপাতত অসম্ভব বলেই মনে হয়। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচের ফলাফল দেখে একাদশে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য সেরা একাদশ নিয়েই প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করার পক্ষপাতি। তারপরও বাংলাদেশ সফরে আসা বর্তমান ক্যারিবিয়ান দলটার ফর্ম বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতেও পারে।

এদিকে সফরকারী ক্যারিবিয়ান দলটা আসলে নানামুখী সমস্যার মধ্যেই আছে। মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচের কোনটাতেই ব্যাটসম্যানরা লড়াই করার মতো রান জমা করতে পারেননি। রভম্যান পাওয়েল ছাড়া আর কাউকে ২২ গজে স্ব”ছন্দে ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি। দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা রভম্যান পাওয়েলের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারলে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ পেতে পারে উইন্ডিজ। বোলিং ডিপার্টমেন্ট প্রথম দুই ম্যাচে টাইগারদের টপ অর্ডারের সাত ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়েছে। কাজেই তাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠার সুযোগ নেই। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট বড় পুঁজি দিতে পারলে বোলাররা হয়তো আরও সাফল্য পেতে পারতেন। ক্যারিবিয়ান দলের হেড মাস্টার ফিল সিমন্স বলেছেন, আমরা ত্রিশ পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম দুটো ম্যাচে যথাক্রমে ১২২ ও ১৪৮ রানে আমরা অল আউট হয়ে যাই। ২৩০-২৫০ রান করতে পারলে বোলাররা লড়াই করতে পারত। শেষ ম্যাচ জিতে অন্তত দশটা পয়েন্ট অর্জন করতে পারলেই আমি এখন খুশি হবো। দেখা যাক, ফিল সিমন্সের শিষ্যরা মাঠে গুরুর ই”ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে কিনা? তারা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ দল এই সিরিজ থেকে পাবে ত্রিশ পয়েন্ট। যা সরাসরি বিশ্বকাপের সুপার লীগে উঠার পথে টাইগারদের এগিয়ে দেবে অনেক দূর।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বিশ্বকাপ সুপার লীগের পয়েন্টে চোখ টাইগার ও উইন্ডিজের

আজ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ

বিশেষ প্রতিনিধি

image

শেষ ওয়ানডে ম্যাচের আগে সাগরিকার নেটে নিজের ব্যাটিং ঝালাই করে নিচ্ছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়ে গেছে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। টানা দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে টাইগাররা। যার অর্থ সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ দলের। তবে, তিন ম্যাচ সিরিজটাকে এখনও জীবন্ত রেখেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার লীগের পয়েন্ট। সামনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার লীগে অংশ নিতে হলে এখন থেকে প্রতিটা ওডিআই ম্যাচের পয়েন্টই যেকোন দলের কজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দল ইতোমধ্যে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার পাশাপাশি অর্জন করেছে ২০ পয়েন্ট। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা এগারটায় দুই দল মুখোমুখি হওয়ার সময় কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইবে না। সিরিজ খোয়ালেও বাংলাদেশ সফরে আসা ক্যারিবিয়ান দল শেষ ম্যাচ জিতে অন্তত দশটা পয়েন্ট অর্জন করতে চাইবে। অন্যদিকে সিরিজ জয়ের তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে বাংলাদেশ দলও আরও দশটা পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে।

নিয়মিত তারকা ক্রিকেটারবিহীন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দল প্রত্যাশামতই টানা দুটো ওডিআই জয় করেছে। স্বাগতিক দলের বোলিং ডিপার্টমেন্ট দুই ম্যাচেই ক্যারিবিয়ানদের ১৫০ রানের মধ্যে অল আউট করে দেয়। সুপার লীগের পয়েন্টে চোখ থাকলেও আগামী মার্চ মাসের নিউজিল্যান্ড সফর সামনে রেখে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট রিজার্ভ বেঞ্চের ক্রিকেটারদের সোমবারের ম্যাচে সুযোগ দিতে পারে। বিশেষ করে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা মাহাদি হাসান এবং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন চট্টগ্রামের ম্যাচের একাদশে জায়গা পেতে পারেন। আবার নিউজিল্যান্ড সফরে সীমিত ওভারের ম্যাচের আগে আর কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তাদের ফর্মের পরীক্ষাও হয়ে যেতে পারে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিথুন ও আফিফ হোসেনের সামর্থ্য নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু বর্তমান একাদশ যেভাবে খেলছে, তাতে করে এদের সুযোগ দেয়াটা আপাতত অসম্ভব বলেই মনে হয়। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচের ফলাফল দেখে একাদশে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য সেরা একাদশ নিয়েই প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করার পক্ষপাতি। তারপরও বাংলাদেশ সফরে আসা বর্তমান ক্যারিবিয়ান দলটার ফর্ম বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতেও পারে।

এদিকে সফরকারী ক্যারিবিয়ান দলটা আসলে নানামুখী সমস্যার মধ্যেই আছে। মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচের কোনটাতেই ব্যাটসম্যানরা লড়াই করার মতো রান জমা করতে পারেননি। রভম্যান পাওয়েল ছাড়া আর কাউকে ২২ গজে স্ব”ছন্দে ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি। দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা রভম্যান পাওয়েলের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারলে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ পেতে পারে উইন্ডিজ। বোলিং ডিপার্টমেন্ট প্রথম দুই ম্যাচে টাইগারদের টপ অর্ডারের সাত ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়েছে। কাজেই তাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠার সুযোগ নেই। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট বড় পুঁজি দিতে পারলে বোলাররা হয়তো আরও সাফল্য পেতে পারতেন। ক্যারিবিয়ান দলের হেড মাস্টার ফিল সিমন্স বলেছেন, আমরা ত্রিশ পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম দুটো ম্যাচে যথাক্রমে ১২২ ও ১৪৮ রানে আমরা অল আউট হয়ে যাই। ২৩০-২৫০ রান করতে পারলে বোলাররা লড়াই করতে পারত। শেষ ম্যাচ জিতে অন্তত দশটা পয়েন্ট অর্জন করতে পারলেই আমি এখন খুশি হবো। দেখা যাক, ফিল সিমন্সের শিষ্যরা মাঠে গুরুর ই”ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে কিনা? তারা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ দল এই সিরিজ থেকে পাবে ত্রিশ পয়েন্ট। যা সরাসরি বিশ্বকাপের সুপার লীগে উঠার পথে টাইগারদের এগিয়ে দেবে অনেক দূর।