ওবায়দুল কাদের পদের জন্য অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে

কাদের মির্জা

বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম দিয়ে যারা আসে নাই, তারা অপরাজনীতির কাছে মাথানত করেছে, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি যারা অপরাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

ওবায়দুল কাদের সাহেব পদ বাঁচাতে অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। টেলিফোনে তিনি আমাকে বলেন, তুই আমার পদ খাইবি। পদের জন্য লালায়িত যে নেতা সে নেতার আমার প্রয়োজন নেই। দল থেকে বহিষ্কার করবেন, করে দেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর কথা বলব, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব। আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করলেও, আমি যতদিন বেঁচে থাকি আমি আপনাদের পাশে থাকব।

মিছিলে আপনাদের সঙ্গে স্লোগান দেব। বঙ্গবন্ধুর কথা বলব, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব, স্বাধীনতার কথা বলব, মানুষের স্বার্থের কথা বলব, অন্যায় অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। গত বুধবার রাত ১০টায় সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমার দাবি। মাননীয় মন্ত্রী আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন। কোথায় সে চাকরি। এলাকার সন্তানেরা আজকে চাকরি না পেয়ে তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। আজকে বলব, ঘরে ঘরে না হোক অনতিবিলম্বে কোম্পানীগঞ্জে ৫০০ কবিরহাটে ৫০০ ছেলে মেয়ের চাকরি যদি না হয়।

কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব। কাদের সাহেব বলেছেন গ্যাস দিবেন দেননি। প্রতিশ্রুতির পরেও ৩ মাসের মধ্যে গ্যাস দেয়া না হলে কোম্পানীগঞ্জের গ্যাস আর জাতীয় গ্রিডে যাবে না। কার ষড়যন্ত্রে গ্যাস আসে নাই আপনারা জানেন।

কাদের মির্জা সাংবাদিকদের সাক্ষী করে বলেন, দেখুন আমরা কত অসহায়। মন্ত্রীর কাছে বললে তিনি অসুস্থ। অসুস্থ হলে অপরাজনীতির কাছে কিভাবে আত্মসমর্পণ করল। আজকে আবার সে অপশক্তিকে পূর্ণবাসন করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ৩ মাস ভোট করেছি, কষ্ট আমরা করেছি, আপনি বক্তব্য দিয়েছেন। মানুষ এখন পিঁপড়ার মতো চাকরির জন্য গ্যাসের জন্য আমাদের কাছে আসে। আপনার কাছে ভিড়তে পারে না। আপনার কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ।

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ , ১৫ মাঘ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ওবায়দুল কাদের পদের জন্য অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে

কাদের মির্জা

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম দিয়ে যারা আসে নাই, তারা অপরাজনীতির কাছে মাথানত করেছে, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি যারা অপরাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

ওবায়দুল কাদের সাহেব পদ বাঁচাতে অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। টেলিফোনে তিনি আমাকে বলেন, তুই আমার পদ খাইবি। পদের জন্য লালায়িত যে নেতা সে নেতার আমার প্রয়োজন নেই। দল থেকে বহিষ্কার করবেন, করে দেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর কথা বলব, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব। আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করলেও, আমি যতদিন বেঁচে থাকি আমি আপনাদের পাশে থাকব।

মিছিলে আপনাদের সঙ্গে স্লোগান দেব। বঙ্গবন্ধুর কথা বলব, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব, স্বাধীনতার কথা বলব, মানুষের স্বার্থের কথা বলব, অন্যায় অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। গত বুধবার রাত ১০টায় সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমার দাবি। মাননীয় মন্ত্রী আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন। কোথায় সে চাকরি। এলাকার সন্তানেরা আজকে চাকরি না পেয়ে তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। আজকে বলব, ঘরে ঘরে না হোক অনতিবিলম্বে কোম্পানীগঞ্জে ৫০০ কবিরহাটে ৫০০ ছেলে মেয়ের চাকরি যদি না হয়।

কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব। কাদের সাহেব বলেছেন গ্যাস দিবেন দেননি। প্রতিশ্রুতির পরেও ৩ মাসের মধ্যে গ্যাস দেয়া না হলে কোম্পানীগঞ্জের গ্যাস আর জাতীয় গ্রিডে যাবে না। কার ষড়যন্ত্রে গ্যাস আসে নাই আপনারা জানেন।

কাদের মির্জা সাংবাদিকদের সাক্ষী করে বলেন, দেখুন আমরা কত অসহায়। মন্ত্রীর কাছে বললে তিনি অসুস্থ। অসুস্থ হলে অপরাজনীতির কাছে কিভাবে আত্মসমর্পণ করল। আজকে আবার সে অপশক্তিকে পূর্ণবাসন করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ৩ মাস ভোট করেছি, কষ্ট আমরা করেছি, আপনি বক্তব্য দিয়েছেন। মানুষ এখন পিঁপড়ার মতো চাকরির জন্য গ্যাসের জন্য আমাদের কাছে আসে। আপনার কাছে ভিড়তে পারে না। আপনার কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ।