বেড়েছে মুরগি ও ডিমে
দীর্ঘদিন ভোক্তাদের নাজেহাল করার পর অবশেষে আরেক দফা কমেছে পিয়াজের দাম। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০ টাকায়। পিয়াজের পাশাপাশি আলু, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। কোন ব্যবসায়ী দুই কেজি পিয়াজের দাম ৫৫ টাকাও রাখছেন। অন্যদিকে পাইকারিতে দেশি পিয়াজের কেজি ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আকবর হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, এখন দেশি পিয়াজের ভরা মৌসুম। বাজারে দিন দিন ভালো মানের দেশি পিয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। এ কারণে দামও কমছে। এখন পিয়াজ সস্তা। এক পাল্লা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যা ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।
এছাড়া দাম কমেছে নতুন আলুর। খুচরা বাজারে এক কেজি নতুন আলু ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সঙ্গে দুই কেজি নিলে কোন কোন ব্যবসায়ী ৩৫ টাকা রাখছেন। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি নতুন আলুর দাম ছিল ২০ টাকা। আলু পিয়াজের মতো দাম কমেছে পাকা টমেটোরও। এক সপ্তাহ আগে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই সবজিটি এখন পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।
বাজারে স্বস্তি দিচ্ছে অন্যান্য সবজির দামও। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। এছাড়া মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ১৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ১০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। হালিতে পাঁচ টাকা কমে কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৯০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি চিনিতে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, নাজির শাইল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা ভোজ্যতেল প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়।
দাম বেড়েছে মুরগি ও ডিমের। লাল ডিম প্রতিডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) ২১০ থেকে ২২০ টাকায় ও ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরু ৫৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায়। এসব বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইর ৫০০, রিডা ২২০ টাকা, কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা ১২০ টাকা ও রূপচাঁদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১ , ১৬ মাঘ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২
বেড়েছে মুরগি ও ডিমে
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
দীর্ঘদিন ভোক্তাদের নাজেহাল করার পর অবশেষে আরেক দফা কমেছে পিয়াজের দাম। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০ টাকায়। পিয়াজের পাশাপাশি আলু, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। কোন ব্যবসায়ী দুই কেজি পিয়াজের দাম ৫৫ টাকাও রাখছেন। অন্যদিকে পাইকারিতে দেশি পিয়াজের কেজি ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আকবর হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, এখন দেশি পিয়াজের ভরা মৌসুম। বাজারে দিন দিন ভালো মানের দেশি পিয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। এ কারণে দামও কমছে। এখন পিয়াজ সস্তা। এক পাল্লা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যা ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।
এছাড়া দাম কমেছে নতুন আলুর। খুচরা বাজারে এক কেজি নতুন আলু ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সঙ্গে দুই কেজি নিলে কোন কোন ব্যবসায়ী ৩৫ টাকা রাখছেন। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি নতুন আলুর দাম ছিল ২০ টাকা। আলু পিয়াজের মতো দাম কমেছে পাকা টমেটোরও। এক সপ্তাহ আগে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই সবজিটি এখন পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।
বাজারে স্বস্তি দিচ্ছে অন্যান্য সবজির দামও। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। এছাড়া মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ১৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ১০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। হালিতে পাঁচ টাকা কমে কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৯০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি চিনিতে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, নাজির শাইল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা ভোজ্যতেল প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়।
দাম বেড়েছে মুরগি ও ডিমের। লাল ডিম প্রতিডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) ২১০ থেকে ২২০ টাকায় ও ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরু ৫৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায়। এসব বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইর ৫০০, রিডা ২২০ টাকা, কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা ১২০ টাকা ও রূপচাঁদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।