ইসির বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলার হুঁশিয়ারি

চসিক নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরের কাজির দেউড়ি নসিমন ভবনের নগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোট কারচুপি করেছে। ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শুধু মাত্র ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ৪টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল প্রিন্টেড কপি দেয়া হয়েছে। বাকি ৭২৯টি কেন্দ্রের ফলাফল দেয়া হয়েছে লিখিত আকারে।

ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএম মেশিনের প্রিন্টেড কপি ফলাফল চাইবো। যদি তারা দিতে না চায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। তার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের দিনের প্রতি ঘণ্টার আপডেট ফলাফলও চাইব। এটাও যদি দিতে না পারে, তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করব। নির্বাচনের আগে বলেছিল সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করব। ইভিএম মেশিনের প্রিন্টেড ফলাফলের জন্য নির্বাচন কমিশনকে তিন থেকে সাত দিন সময় দেব। এরমধ্যে যদি ইভিএম মেশিনের প্রিন্টেড ফলাফল দিতে না পারে তবেই মামলাগুলো করব।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

ডা. শাহাদাত সর্বোচ্চ ভোট ও সর্বনিম্ন ভোটের পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেন, সবচেয়ে কম ভোট পড়া হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৫ জন। কিন্তু ভোট পড়েছে মাত্র ৪২টি। অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবে বেশি ভোট দেখানো হয়েছে দক্ষিণ হালিশহর ও রামপুরা ওয়ার্ডের। দক্ষিণ হালিশহর আহসানুল উলুম আরাবিয়া মাদ্রাসা কেন্দে ৩ হাজার ১০৮ ভোটার দেখানো হয়েছে ৯৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে। রামপুরা ওয়ার্ডের ঈদগাহ বড় পুকুর পাড় চিটাগাং লিবার্টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোটের হার দেখানো হয়েছে ৯০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে আমার ওয়ার্ডে বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রে ৯ হাজার ৭৩৪ জন ভোটার থাকলেও, এতে ধানের শীষে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৪টি। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্য ও ভাড়াটিয়া মিলে রয়েছে কমপক্ষে ৫০টি ভোট।

তিনি বলেন, আমার জয় কেটে নেয়া হয়েছে। যেখানে সাধারণ ব্যালট পেপারে ভোট গণনায় সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টা। সেখানে উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম মেশিনে ভোট গণনা কেন ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে? রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় নির্বাচনে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেটা বাস্তবিক অর্থে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, এলাকা ভেদে ভোটের ব্যবধান ছিল স্বাভাবিক। কোন কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১ শতাংশ আবার কোন জায়গায় দেখানো হয়েছে ৯৮ শতাংশ। একই ভবনে দুটি কেন্দ্রের একটিতে দেখানো হয়েছে ৮৪ শতাংশ, অন্যটিতে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট।

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ইসির বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলার হুঁশিয়ারি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চসিক নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরের কাজির দেউড়ি নসিমন ভবনের নগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোট কারচুপি করেছে। ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শুধু মাত্র ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ৪টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল প্রিন্টেড কপি দেয়া হয়েছে। বাকি ৭২৯টি কেন্দ্রের ফলাফল দেয়া হয়েছে লিখিত আকারে।

ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএম মেশিনের প্রিন্টেড কপি ফলাফল চাইবো। যদি তারা দিতে না চায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। তার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের দিনের প্রতি ঘণ্টার আপডেট ফলাফলও চাইব। এটাও যদি দিতে না পারে, তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করব। নির্বাচনের আগে বলেছিল সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করব। ইভিএম মেশিনের প্রিন্টেড ফলাফলের জন্য নির্বাচন কমিশনকে তিন থেকে সাত দিন সময় দেব। এরমধ্যে যদি ইভিএম মেশিনের প্রিন্টেড ফলাফল দিতে না পারে তবেই মামলাগুলো করব।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

ডা. শাহাদাত সর্বোচ্চ ভোট ও সর্বনিম্ন ভোটের পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেন, সবচেয়ে কম ভোট পড়া হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৫ জন। কিন্তু ভোট পড়েছে মাত্র ৪২টি। অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবে বেশি ভোট দেখানো হয়েছে দক্ষিণ হালিশহর ও রামপুরা ওয়ার্ডের। দক্ষিণ হালিশহর আহসানুল উলুম আরাবিয়া মাদ্রাসা কেন্দে ৩ হাজার ১০৮ ভোটার দেখানো হয়েছে ৯৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে। রামপুরা ওয়ার্ডের ঈদগাহ বড় পুকুর পাড় চিটাগাং লিবার্টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোটের হার দেখানো হয়েছে ৯০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে আমার ওয়ার্ডে বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রে ৯ হাজার ৭৩৪ জন ভোটার থাকলেও, এতে ধানের শীষে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৪টি। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্য ও ভাড়াটিয়া মিলে রয়েছে কমপক্ষে ৫০টি ভোট।

তিনি বলেন, আমার জয় কেটে নেয়া হয়েছে। যেখানে সাধারণ ব্যালট পেপারে ভোট গণনায় সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টা। সেখানে উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম মেশিনে ভোট গণনা কেন ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে? রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় নির্বাচনে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেটা বাস্তবিক অর্থে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, এলাকা ভেদে ভোটের ব্যবধান ছিল স্বাভাবিক। কোন কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১ শতাংশ আবার কোন জায়গায় দেখানো হয়েছে ৯৮ শতাংশ। একই ভবনে দুটি কেন্দ্রের একটিতে দেখানো হয়েছে ৮৪ শতাংশ, অন্যটিতে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট।