মায়ানমার নিয়ে ভারতের অস্বস্তি বোঝার চেষ্টা করছে চীন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মায়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ ঘটনায় অস্বস্তিতে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে চীন।

মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নেপিদোর ভোরের ঘটনায় মায়ানমারের চলমান উন্নয়ন থমকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

‘মায়ানমারে গণতান্ত্রিক উত্তোরণের প্রক্রিয়ায় ভারত সব সময়ই অবিচল সমর্থন দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই বহাল থাকবে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

তবে এই সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মায়ানমারে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র চীন। সেনা অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছেন।

চীনের এ কর্মকর্তা বলেন, মায়ানমারে কী হয়েছে তা আমরা লক্ষ্য করেছি এবং পরিস্থিতি কী হয় তা আরও বোঝার চেষ্টা করছি।

এই অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাগ্রহণ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং। গতমাসেই মায়ানমার সফরকালে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন চীন সরকারের অন্যতম শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই।

ওয়াং ই’র সফরকালে হ্লেইং মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের কোন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কি না বা চীন মায়ানমারে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাবে কি না প্রশ্ন করলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তার আগের বক্তব্যই ফের উল্লেখ করেন।

মায়ানমারে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চীনের। দেশটিতে আগের সামরিক স্বৈরশাসকদের পাশে ছিল বেইজিং, আবার অং সান সু চি নেতা হওয়ার পর তার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে চীনারা।

মায়ানমারে চীনের বড় অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। দেশটির মধ্য দিয়ে তেল-গ্যাস পাইপলাইনের বিশাল প্রকল্প রয়েছে চীনাদের।

ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটকের পর এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মায়ানমার সেনাবাহিনী।

image

অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের দাবিতে জাপানে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে -রয়টার্স

আরও খবর
সু চিদের মুক্তি দিতে বলল যুক্তরাষ্ট্র
যেভাবে উত্থান মায়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবে না ইরান

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মায়ানমার নিয়ে ভারতের অস্বস্তি বোঝার চেষ্টা করছে চীন

image

অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের দাবিতে জাপানে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে -রয়টার্স

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মায়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ ঘটনায় অস্বস্তিতে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে চীন।

মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নেপিদোর ভোরের ঘটনায় মায়ানমারের চলমান উন্নয়ন থমকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

‘মায়ানমারে গণতান্ত্রিক উত্তোরণের প্রক্রিয়ায় ভারত সব সময়ই অবিচল সমর্থন দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই বহাল থাকবে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

তবে এই সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মায়ানমারে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র চীন। সেনা অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছেন।

চীনের এ কর্মকর্তা বলেন, মায়ানমারে কী হয়েছে তা আমরা লক্ষ্য করেছি এবং পরিস্থিতি কী হয় তা আরও বোঝার চেষ্টা করছি।

এই অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাগ্রহণ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং। গতমাসেই মায়ানমার সফরকালে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন চীন সরকারের অন্যতম শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই।

ওয়াং ই’র সফরকালে হ্লেইং মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের কোন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কি না বা চীন মায়ানমারে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাবে কি না প্রশ্ন করলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তার আগের বক্তব্যই ফের উল্লেখ করেন।

মায়ানমারে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চীনের। দেশটিতে আগের সামরিক স্বৈরশাসকদের পাশে ছিল বেইজিং, আবার অং সান সু চি নেতা হওয়ার পর তার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে চীনারা।

মায়ানমারে চীনের বড় অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। দেশটির মধ্য দিয়ে তেল-গ্যাস পাইপলাইনের বিশাল প্রকল্প রয়েছে চীনাদের।

ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটকের পর এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মায়ানমার সেনাবাহিনী।