ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনুন

বাজারে দফায় দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। তেলের দাম প্রতি লিটার ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন বিপণনকারীরা। শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেল নয়, খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেশ চড়া।

করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ খরচ কমিয়ে শুধু কয়েকটি প্রয়োজনীয় পণ্যে বাজার ব্যয় সীমিত করে এনেছে। ভোজ্যতেল তাদের খাদ্য তালিকার জরুরি পণ্যের মধ্যে একটি। এ তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কষ্ট অনেক বেড়েছে।

বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেই দেশীয় বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। তবে অনেকেই এর পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজিকে দায়ী করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের এ অসাধু প্রবণতা একটি নিয়মিত চিত্রে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান কাঠামোয় বিশ্ববাজারে দাম যত বাড়ে, ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাটের পরিমাণও বাড়ে। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কর কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তেলের করকাঠামো নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে চিঠি চালাচালি করছে। কিন্তু কর কমছে না।

ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ। কাজেই দেশে তেলের দাম সহনীয় রাখতে বাড়তি পদক্ষেপ দরকার। শুধু আলোচনা কিংবা চিঠি চালাচালি করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। কর কমানোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। পণ্যের দাম বাড়ার পর দৌড়ঝাঁপ না করে যাতে দাম না বাড়ে, সে জন্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে না পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। কোন ধরনের কারসাজি কিংবা কারও অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনুন

বাজারে দফায় দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। তেলের দাম প্রতি লিটার ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন বিপণনকারীরা। শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেল নয়, খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেশ চড়া।

করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ খরচ কমিয়ে শুধু কয়েকটি প্রয়োজনীয় পণ্যে বাজার ব্যয় সীমিত করে এনেছে। ভোজ্যতেল তাদের খাদ্য তালিকার জরুরি পণ্যের মধ্যে একটি। এ তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কষ্ট অনেক বেড়েছে।

বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেই দেশীয় বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। তবে অনেকেই এর পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজিকে দায়ী করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের এ অসাধু প্রবণতা একটি নিয়মিত চিত্রে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান কাঠামোয় বিশ্ববাজারে দাম যত বাড়ে, ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাটের পরিমাণও বাড়ে। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কর কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তেলের করকাঠামো নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে চিঠি চালাচালি করছে। কিন্তু কর কমছে না।

ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ। কাজেই দেশে তেলের দাম সহনীয় রাখতে বাড়তি পদক্ষেপ দরকার। শুধু আলোচনা কিংবা চিঠি চালাচালি করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। কর কমানোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। পণ্যের দাম বাড়ার পর দৌড়ঝাঁপ না করে যাতে দাম না বাড়ে, সে জন্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে না পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। কোন ধরনের কারসাজি কিংবা কারও অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।