শাহবাগে অবরোধ, মানুষের দুর্ভোগ

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে গতকাল রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এতে শাহবাগ মোড়ের আশপাশসহ রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেককে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়।

পরে সন্ধ্যায় আন্দোলনরত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতাকর্মীদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় আন্দোলনরতরা বিভিন্ন দিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সফিকুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটকও করেছে। শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তাদের আমরা যথেষ্ঠ সম্মান দেখিয়েছি। জনদুর্ভোগ ও হাসপাতালে আসা রোগীদের কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের শাহবাগ মোড় ছেড়ে অন্যত্র যেতে বলেছি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ রাখেননি। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের সেখান থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের কাউকে আটক করা হয়নি।

গতকাল বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ অবরোধ করে তারা কর্মসূচি শুরু করেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সাত দফা দাবি হলো- সব চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা মর্যাদা নির্ধারণ করা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার এবং ১৯৭২-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করতে হবে, মুজিব কোটের পবিত্রতা রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকে মন্দ চরিত্রে মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লোকদের মুজিব কোট পরা যাবে না, এই মর্মে আইন পাস করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে, দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করা এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সবক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে।

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১১ ফাল্গুন ১৪২৭ ১১ রজব ১৪৪২

শাহবাগে অবরোধ, মানুষের দুর্ভোগ

প্রতিনিধি, ঢাবি

image

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধে গতকাল সারাদিনই যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ ও রোগীরা -সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে গতকাল রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এতে শাহবাগ মোড়ের আশপাশসহ রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেককে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়।

পরে সন্ধ্যায় আন্দোলনরত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতাকর্মীদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় আন্দোলনরতরা বিভিন্ন দিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সফিকুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটকও করেছে। শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তাদের আমরা যথেষ্ঠ সম্মান দেখিয়েছি। জনদুর্ভোগ ও হাসপাতালে আসা রোগীদের কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের শাহবাগ মোড় ছেড়ে অন্যত্র যেতে বলেছি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ রাখেননি। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের সেখান থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের কাউকে আটক করা হয়নি।

গতকাল বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ অবরোধ করে তারা কর্মসূচি শুরু করেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সাত দফা দাবি হলো- সব চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা মর্যাদা নির্ধারণ করা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার এবং ১৯৭২-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করতে হবে, মুজিব কোটের পবিত্রতা রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকে মন্দ চরিত্রে মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লোকদের মুজিব কোট পরা যাবে না, এই মর্মে আইন পাস করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে, দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করা এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সবক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে।