‘আশা’ ক্ষুদ্রঋণ সেবা প্রদানে বিশ্বজুড়ে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে

‘বেসরকারি সংস্থা আশার প্রতিষ্ঠাতা মো. সফিকুল হক চৌধুরী ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে জীবনভর কাজ করে গেছেন তিনি। দারিদ্র্য বিমোচনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ সম্প্রতি সফিকুল হক চৌধুরীর ভার্চুয়াল স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকেরে সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ড. আতিউর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেল, বৃটেনের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট রাদারফোর্ড, মাইক্রোক্রেডিট সামিট ক্যাম্পেইনের স্যাম ড্যালি হ্যারিস, আশা ইন্টারন্যাশনালের সিইও ডার্ক ব্রাউয়ার, ফিলিপাইনের কার্ড ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আরিস আলিপ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সফিকুল হক চৌধুরীর সংস্থা আশা টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী ক্ষুদ্রঋণ সেবা প্রদানে বিশ্বজুড়ে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তার অবদান দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে সবসময় বিবেচিত হবে। আশা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আশার প্রতিষ্ঠাতা মো. সফিকুল হক চৌধুরীকে ছাত্র জীবন থেকে চিনি। তিনি কখনও নীতির সঙ্গে আপস করেননি। শুধু দেশে নয়, আশার মাধ্যমে বিদেশেও তিনি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘দেশে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের অগ্রজ ছিলেন সফিকুল হক চৌধুরী। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সফিকুল হক চৌধুরীকে বহু বছর যাবৎ চিনি। তিনি আশা তৈরি করে গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এ সংস্থাটির রিকভারিও ভালো। বন্যা পরিস্থিতিতেও এ সংস্থার কর্মীরা লুঙ্গি পরে গ্রাহককে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঋণের টাকা উত্তোলন করেন। অনলাইনের মাধ্যমে স্মরণসভা করে শেষ করা যাবে না। করোনা পরিস্থিতি কমলে সারাদেশের সব শাখা থেকে ১০০ জন করে সমর্থক এনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণসভা করা প্রয়োজন।’ আশার গভর্নিং বডির সাবেক চেয়ারম্যান তারুন্নেছা আবদুল্লাহ বলেন, ‘আশা প্রথমে গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ শুরু করে। এরপর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালু করে। সফিকুল হক সর্বোচ্চ পদমর্যাদার হয়েও তিনি তার সব কর্মীর মতামত নিয়ে কাজ করতেন। তারা আপ্রাণ চেষ্টায় শুধু বাংলাদেশ নয়, এখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এ সংস্থার কার্যক্রম চলছে।’ সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘এনজিওগুলোর সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক খুবই খারাপ। তারপরও সফিকুল হক চৌধুরী ও স্যার ফজলে হাসান আবেদসহ বিশেষ ব্যক্তিরা ভালো সম্পর্ক রাখতেন।’

শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১ , ১২ চৈত্র ১৪২৭ ১১ শাবান ১৪৪২

সফিকুল হক চৌধুরী স্মরণসভায় বক্তারা

‘আশা’ ক্ষুদ্রঋণ সেবা প্রদানে বিশ্বজুড়ে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

‘বেসরকারি সংস্থা আশার প্রতিষ্ঠাতা মো. সফিকুল হক চৌধুরী ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে জীবনভর কাজ করে গেছেন তিনি। দারিদ্র্য বিমোচনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ সম্প্রতি সফিকুল হক চৌধুরীর ভার্চুয়াল স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকেরে সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ড. আতিউর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেল, বৃটেনের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট রাদারফোর্ড, মাইক্রোক্রেডিট সামিট ক্যাম্পেইনের স্যাম ড্যালি হ্যারিস, আশা ইন্টারন্যাশনালের সিইও ডার্ক ব্রাউয়ার, ফিলিপাইনের কার্ড ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আরিস আলিপ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সফিকুল হক চৌধুরীর সংস্থা আশা টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী ক্ষুদ্রঋণ সেবা প্রদানে বিশ্বজুড়ে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তার অবদান দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে সবসময় বিবেচিত হবে। আশা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আশার প্রতিষ্ঠাতা মো. সফিকুল হক চৌধুরীকে ছাত্র জীবন থেকে চিনি। তিনি কখনও নীতির সঙ্গে আপস করেননি। শুধু দেশে নয়, আশার মাধ্যমে বিদেশেও তিনি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘দেশে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের অগ্রজ ছিলেন সফিকুল হক চৌধুরী। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সফিকুল হক চৌধুরীকে বহু বছর যাবৎ চিনি। তিনি আশা তৈরি করে গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এ সংস্থাটির রিকভারিও ভালো। বন্যা পরিস্থিতিতেও এ সংস্থার কর্মীরা লুঙ্গি পরে গ্রাহককে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঋণের টাকা উত্তোলন করেন। অনলাইনের মাধ্যমে স্মরণসভা করে শেষ করা যাবে না। করোনা পরিস্থিতি কমলে সারাদেশের সব শাখা থেকে ১০০ জন করে সমর্থক এনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণসভা করা প্রয়োজন।’ আশার গভর্নিং বডির সাবেক চেয়ারম্যান তারুন্নেছা আবদুল্লাহ বলেন, ‘আশা প্রথমে গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ শুরু করে। এরপর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালু করে। সফিকুল হক সর্বোচ্চ পদমর্যাদার হয়েও তিনি তার সব কর্মীর মতামত নিয়ে কাজ করতেন। তারা আপ্রাণ চেষ্টায় শুধু বাংলাদেশ নয়, এখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এ সংস্থার কার্যক্রম চলছে।’ সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘এনজিওগুলোর সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক খুবই খারাপ। তারপরও সফিকুল হক চৌধুরী ও স্যার ফজলে হাসান আবেদসহ বিশেষ ব্যক্তিরা ভালো সম্পর্ক রাখতেন।’