বাজেটে খেতমজুরদের জন্য বরাদ্দের দাবি

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে খেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের সারাবছর কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা, রেশনিং চালু, চিকিৎসা নিশ্চয়তা, বয়স্কদের পেনশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বাজেটে প্রতিবছর গ্রামীণ ও বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের অনৈতিক যোগসাজশে সাধারণ মানুষ সেই বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হন। শুধু বাজেটে বরাদ্দ রাখলেই হবে না, সেই বরাদ্দ যাতে প্রকৃত উপকারভোগীর হাতে পৌঁছায় তার নিশ্চয়তাও দিতে হবে।’

তারা বলেন, ‘গত বছর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার প্রায় ৯৬ হাজার কোটি বরাদ্দ করলেও এর বড় অংশই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। করোনা মহামারীকালে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছেন। সাধারণ গরিব মানুষ আজ খাদ্য, চিকিৎসা সংকটে আছেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করাই যেন হয় এবার বাজেটের মূল লক্ষ্য।’ বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতির নেতারা বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে খেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। রেশনিংয়ের মাধ্যমে খেতমজুরসহ গরিব মানুষের মধ্যে চাল-আটা-লবণ ৫ টাকা, ডাল, ভোজ্যতেল ৩০ টাকা, চিনি-কেরোসিন ১৫ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করতে হবে। করোনা মহামারীকালে কর্মহীন ক্ষতিগ্রস্ত খেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে।’ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতালেব হোসেন, সদস্য কল্লোল বণিক, কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল প্রমুখ।

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

বাজেটে খেতমজুরদের জন্য বরাদ্দের দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে খেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের সারাবছর কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা, রেশনিং চালু, চিকিৎসা নিশ্চয়তা, বয়স্কদের পেনশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বাজেটে প্রতিবছর গ্রামীণ ও বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের অনৈতিক যোগসাজশে সাধারণ মানুষ সেই বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হন। শুধু বাজেটে বরাদ্দ রাখলেই হবে না, সেই বরাদ্দ যাতে প্রকৃত উপকারভোগীর হাতে পৌঁছায় তার নিশ্চয়তাও দিতে হবে।’

তারা বলেন, ‘গত বছর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার প্রায় ৯৬ হাজার কোটি বরাদ্দ করলেও এর বড় অংশই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। করোনা মহামারীকালে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছেন। সাধারণ গরিব মানুষ আজ খাদ্য, চিকিৎসা সংকটে আছেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করাই যেন হয় এবার বাজেটের মূল লক্ষ্য।’ বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতির নেতারা বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে খেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। রেশনিংয়ের মাধ্যমে খেতমজুরসহ গরিব মানুষের মধ্যে চাল-আটা-লবণ ৫ টাকা, ডাল, ভোজ্যতেল ৩০ টাকা, চিনি-কেরোসিন ১৫ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করতে হবে। করোনা মহামারীকালে কর্মহীন ক্ষতিগ্রস্ত খেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে।’ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতালেব হোসেন, সদস্য কল্লোল বণিক, কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল প্রমুখ।