কৌশলে স্বদেশে ফিরছে রোহিঙ্গারা

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় অত্যন্ত গোপনে মায়ানমারের ফিরে যেতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সূত্রে যোগাযোগ করে জানা গেছে, গত ২১ দিনে ৫০টিরও বেশি পরিবার ক্যাম্প ছেড়ে মায়ানমারে ফিরে গেছে। তবে এ ফিরে যাওয়া এতটাই গোপনে এবং লুকিয়ে হচ্ছে যে, রোহিঙ্গা শিবির পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা টের পাচ্ছেন না। ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গারা মায়ানমারে বাপ-দাদার ভিটেবাড়িতে গিয়ে উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে তারা ইতোমধ্যে বসবাসও শুরু করেছে এবং তারা ভালো আছে। আরও রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে চলে যেতে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত নেতৃস্থানীয় কয়েক রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মায়ানমার সরকারের মদদে সেখানকার সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মায়ানমারের রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এরপর মায়ানমার থেকে প্রতিদিনই পালিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। একপর্যায়ে বাংলাতেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ। তাদের কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় শিবির স্থাপন করে আশ্রয় দেয়া হয়। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বছরে গড়ে জন্ম নিচ্ছে ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু।

দিনে দিনে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়ভাবে নানা সঙ্কট ও সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া থেকে শুরু করে বনভূমি ধ্বংস হওয়াÑ রোহিঙ্গাদের বেপরোয়া কর্মকা-ের কারণে বৃদ্ধি পায়। প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি ব্যবহার করছে আশ্রিত এ রোহিঙ্গারা। এরপরই সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধাপে ১৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের এই উদারতার ভূয়সী প্রশংসা হলেও যে দেশের কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে সেই মায়ানমারের ওপর গেল সাড়ে ৩ বছরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তেমন একটা চাপ সৃষ্টি হয়নি। অন্যদিকে আশ্রয় শিবিরে থাকতে থাকতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এরপরই তারা একদিকে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে পালিয়ে থাকা এবং অন্যদিকে গোপনে আবার মায়ানমারে তাদের নিজ বাড়িঘরে ফিরে যাওয়া শুরু করে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত অশান্ত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। ক্যাম্পে মাদক বিক্রি এবং মাদকের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়েও মারামারি খুনাখুনি হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের পালিয়ে মিয়ানমারের ফিরে যাওয়া সম্পর্কে সংবাদ প্রতিনিধি কথা বলেছেন বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরের নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। তবে তাদের কেউই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চান না।

তারা সংবাদকে বলেছে; বর্তমানে মায়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের উপরে কোন অত্যাচার নির্যাতন করছে নাÑ এমন খবর তাদের কাছে এসেছে। এসব খবর পেয়েই তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হন। প্রথমে কয়েকটি পরিবার ফিরে গিয়ে তাদের বাড়িঘরে উঠে বসবাস করতে শুরু করলেও কোন সমস্যায় পড়েননি। এ খবর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে আসার পরই অন্য রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে উৎসাহী হয়। ৫০/৬০টি রোহিঙ্গা পরিবার ইতোমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে তাদের নিজস্ব বসতভিটা মায়ানমারে ফিরে গেছে বলে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের পথ অনুসরণ করে আরও অনেক পরিবার গোপনে মায়ানমার ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশ্রয় শিবিরে কাঁটাতারের বেড়াসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারিতে থাকলেও রোহিঙ্গারা কীভাবে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মায়ানমারে ফিরছে; সে বিষয়ে কোন রোহিঙ্গা মুখ খুলছে না।

অনুসন্ধানে পাওয়া সূত্রমতে, গত ২১ দিনে ৫০-এর অধিক রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশ থেকে মায়ানমার চলে গেছে। তার মধ্যে, পালংখালীর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৬ (শফিউল্লাহ কাটা)তে বসবাসরত কামাল মোস্তফা (৪০) (ব্লক-এ/১ ঘর-৯৭৫, এফসিএন-২৪৬৭০৯) পরিবারের ৯ সদস্যসহ গত ১ মে মায়ানমার চলে গেছে। বালুখালী-১ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-৯, ব্লক-সি-১৩-এ বসবাসরত আবদুর রহমান (৩৫), পিতা কালা মিয়া পরিবারের ৫ সদস্যসহ মায়ানমার চলে গেছে। গত ৯ মে দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্প-৯, ব্লক-সি-৯, এফসিএন-১১৩৮৩০-এর ইলিয়াছ (৪২) পিতা শরীফ হোসেনসহ পরিবারের ৮ সদস্য, আবদুর রহমান (২৫) পিতা কালামিয়াসহ ৪ জন মায়ানমার চলে গেছে। ১১ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যাম্প-১৪ (হাকিম পাড়া) ব্লক-বি-১ এ রোহিঙ্গা অছিউল্লাহ (৫০) (ঘর-৩৯৬ এফসিএন-২১১৩৮০) পিতা- হোসেন এবং আয়েশা বেগম (৩৫) পিতা অছিউল্লাহ ব্লক-বি (ঘর-৩৯৭ এফসিএন-২১১৩৭৯) পরিবারের ৮ সদস্য ক্যাম্প ছেড়ে যায়। গত ১৬ মে রাত ১০টার দিকে ক্যাম্প-১৬ (শফিউল্লাহ কাটা) ব্লক-এ-৪-এ, ঘর-৫৮৪-এর রোহিঙ্গা মো. আয়ুব (৩৬) তার পিতা হাফিজুর রহমানসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মায়ানমার চলে গেছে।

এর আগে ২৪ মার্চ রাতে ক্যাম্প-১৬ শফিউল্লাহ কাটার সাবেক সি-ব্লকের হেডমাঝি নুরুল কবির ক্যাম্প ছেড়ে মায়ানমার পালিয়েছে। এছাড়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হলো, আয়শা খাতুন (৩৬), ছেলে মোস্তফা শেখ (১৪), মোস্তফা আলিমা (১২), মোস্তফা সৈয়দুল (৮), রাজ্জাক (৫), মোস্তফা সালেক (৪), আবদুল্লাহ শেখ (২), শহিদুল মোস্তফা (৮ মাস)।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামসু-দ্দৌজা বলেন, এ সম্পর্কিত কোন তথ্য আমাদের কাছে জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

কৌশলে স্বদেশে ফিরছে রোহিঙ্গারা

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

image

রোহিঙ্গা শরণার্থী -ফাইল ছবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় অত্যন্ত গোপনে মায়ানমারের ফিরে যেতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সূত্রে যোগাযোগ করে জানা গেছে, গত ২১ দিনে ৫০টিরও বেশি পরিবার ক্যাম্প ছেড়ে মায়ানমারে ফিরে গেছে। তবে এ ফিরে যাওয়া এতটাই গোপনে এবং লুকিয়ে হচ্ছে যে, রোহিঙ্গা শিবির পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা টের পাচ্ছেন না। ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গারা মায়ানমারে বাপ-দাদার ভিটেবাড়িতে গিয়ে উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে তারা ইতোমধ্যে বসবাসও শুরু করেছে এবং তারা ভালো আছে। আরও রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে চলে যেতে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত নেতৃস্থানীয় কয়েক রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মায়ানমার সরকারের মদদে সেখানকার সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মায়ানমারের রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এরপর মায়ানমার থেকে প্রতিদিনই পালিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। একপর্যায়ে বাংলাতেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ। তাদের কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় শিবির স্থাপন করে আশ্রয় দেয়া হয়। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বছরে গড়ে জন্ম নিচ্ছে ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু।

দিনে দিনে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়ভাবে নানা সঙ্কট ও সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া থেকে শুরু করে বনভূমি ধ্বংস হওয়াÑ রোহিঙ্গাদের বেপরোয়া কর্মকা-ের কারণে বৃদ্ধি পায়। প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি ব্যবহার করছে আশ্রিত এ রোহিঙ্গারা। এরপরই সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধাপে ১৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের এই উদারতার ভূয়সী প্রশংসা হলেও যে দেশের কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে সেই মায়ানমারের ওপর গেল সাড়ে ৩ বছরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তেমন একটা চাপ সৃষ্টি হয়নি। অন্যদিকে আশ্রয় শিবিরে থাকতে থাকতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এরপরই তারা একদিকে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে পালিয়ে থাকা এবং অন্যদিকে গোপনে আবার মায়ানমারে তাদের নিজ বাড়িঘরে ফিরে যাওয়া শুরু করে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত অশান্ত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। ক্যাম্পে মাদক বিক্রি এবং মাদকের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়েও মারামারি খুনাখুনি হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের পালিয়ে মিয়ানমারের ফিরে যাওয়া সম্পর্কে সংবাদ প্রতিনিধি কথা বলেছেন বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরের নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। তবে তাদের কেউই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চান না।

তারা সংবাদকে বলেছে; বর্তমানে মায়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের উপরে কোন অত্যাচার নির্যাতন করছে নাÑ এমন খবর তাদের কাছে এসেছে। এসব খবর পেয়েই তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হন। প্রথমে কয়েকটি পরিবার ফিরে গিয়ে তাদের বাড়িঘরে উঠে বসবাস করতে শুরু করলেও কোন সমস্যায় পড়েননি। এ খবর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে আসার পরই অন্য রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে উৎসাহী হয়। ৫০/৬০টি রোহিঙ্গা পরিবার ইতোমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে তাদের নিজস্ব বসতভিটা মায়ানমারে ফিরে গেছে বলে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের পথ অনুসরণ করে আরও অনেক পরিবার গোপনে মায়ানমার ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশ্রয় শিবিরে কাঁটাতারের বেড়াসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারিতে থাকলেও রোহিঙ্গারা কীভাবে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মায়ানমারে ফিরছে; সে বিষয়ে কোন রোহিঙ্গা মুখ খুলছে না।

অনুসন্ধানে পাওয়া সূত্রমতে, গত ২১ দিনে ৫০-এর অধিক রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশ থেকে মায়ানমার চলে গেছে। তার মধ্যে, পালংখালীর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৬ (শফিউল্লাহ কাটা)তে বসবাসরত কামাল মোস্তফা (৪০) (ব্লক-এ/১ ঘর-৯৭৫, এফসিএন-২৪৬৭০৯) পরিবারের ৯ সদস্যসহ গত ১ মে মায়ানমার চলে গেছে। বালুখালী-১ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-৯, ব্লক-সি-১৩-এ বসবাসরত আবদুর রহমান (৩৫), পিতা কালা মিয়া পরিবারের ৫ সদস্যসহ মায়ানমার চলে গেছে। গত ৯ মে দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্প-৯, ব্লক-সি-৯, এফসিএন-১১৩৮৩০-এর ইলিয়াছ (৪২) পিতা শরীফ হোসেনসহ পরিবারের ৮ সদস্য, আবদুর রহমান (২৫) পিতা কালামিয়াসহ ৪ জন মায়ানমার চলে গেছে। ১১ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যাম্প-১৪ (হাকিম পাড়া) ব্লক-বি-১ এ রোহিঙ্গা অছিউল্লাহ (৫০) (ঘর-৩৯৬ এফসিএন-২১১৩৮০) পিতা- হোসেন এবং আয়েশা বেগম (৩৫) পিতা অছিউল্লাহ ব্লক-বি (ঘর-৩৯৭ এফসিএন-২১১৩৭৯) পরিবারের ৮ সদস্য ক্যাম্প ছেড়ে যায়। গত ১৬ মে রাত ১০টার দিকে ক্যাম্প-১৬ (শফিউল্লাহ কাটা) ব্লক-এ-৪-এ, ঘর-৫৮৪-এর রোহিঙ্গা মো. আয়ুব (৩৬) তার পিতা হাফিজুর রহমানসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মায়ানমার চলে গেছে।

এর আগে ২৪ মার্চ রাতে ক্যাম্প-১৬ শফিউল্লাহ কাটার সাবেক সি-ব্লকের হেডমাঝি নুরুল কবির ক্যাম্প ছেড়ে মায়ানমার পালিয়েছে। এছাড়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হলো, আয়শা খাতুন (৩৬), ছেলে মোস্তফা শেখ (১৪), মোস্তফা আলিমা (১২), মোস্তফা সৈয়দুল (৮), রাজ্জাক (৫), মোস্তফা সালেক (৪), আবদুল্লাহ শেখ (২), শহিদুল মোস্তফা (৮ মাস)।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামসু-দ্দৌজা বলেন, এ সম্পর্কিত কোন তথ্য আমাদের কাছে জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখব।