আইএফসির প্রতিবেদন

বেসরকারি খাত শক্তিশালী করতে আইনকানুন সংস্কার প্রয়োজন

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন আইন-কানুন ও নীতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। গতকাল বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও বিশ্বব্যাংক প্রণীত বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়গনস্টিক (সিপিএসডি) নামের এ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরবর্তী দশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আকাক্সক্ষা পূরণে বাংলাদেশের এখন গতি পরিবর্তনের সময়। আর এ জন্য একটি আধুনিক, বৈচিত্র্যধর্মী ও প্রাণবন্ত বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে বিভিন্ন আইন-কানুন ও নীতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। রিপোর্টটি গতকাল ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক ভাইস প্রেসিডেন্ট আলফনসো গার্সিয়া মোরা বলেন, ‘অতিমারী বাংলাদেশের ওপর কঠিন আঘাত হেনেছে এবং দেশটি কোভিড-১৯ থেকে উত্তরণের পর্যায়ে থাকায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও দৃঢ়ভাবে দেখা দিয়েছে। মজবুত আর্থিক খাতের সহায়তায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ৭০ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের এবং এখন অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে এ খাতের জোরালো ভূমিকা রাখার দরকার যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি গুণগত মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।’

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী তৈরি পোশাক খাতের সাফল্য এবং সরকারের দূরদর্শী নীতি সহায়তায় রেমিট্যান্সের তেজী প্রবাহ বাংলাদেশের দৃঢ় ও প্রাণবন্ত প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে, এমনকি অতিমারীর সময়েও।

বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকা তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। আরও প্রাণবন্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং একটি বলিষ্ঠ ও অত্যাধুনিক বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে হবে, যা করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পর্যায়ের জন্য প্রাসঙ্গিক, যেখানে সরকারের বেশিরভাগ সম্পদের প্রয়োজন হবে সামাজিক খাতের জন্য।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রতিকূল প্রভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত বছর ইতিবাচক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ যে মন্দার কবলে পড়েনি। আমরা কোভিড-১৯ অতিমারীর সব চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। সিপিএসডি রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে যেতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংস্কার এজেন্ডার প্রধান অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি, আর্থিক খাতের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অপসারণ। বেসরকারি খাতে উজ্জ্বলতম বিনিয়োগ সম্ভাবনার খাতের মধ্যে রয়েছে পরিবহন ও লজিস্টিকস, জ্বালানি, আর্থিক সেবা, হালকা প্রকৌশল, কৃষি বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালে নিযুক্ত আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার বলেন, ‘এটা সুস্পষ্ট যে, গুণগত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে এবং স্বাস্থ্য পরিসেবার দক্ষতা বাড়াতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কেননা একই পর্যায়ের উন্নয়নে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে অর্থায়ন নিম্ন মাত্রার। এর বাইরে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যের তৈরি পোশাকের বাজারে মনোযোগ দিতে পারে ও নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন করতে পারে এবং পাদুকা, চামড়া, ইলেকট্রিক সামগ্রী এবং কৃষিবাণিজ্য রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।’

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এই প্রতিবেদনের ফলাফল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের কৌশলগত উপাদান প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে, যা বাজার সৃষ্টি এবং বেসরকারি খাতের সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণের পথ দেখাবে।

অনুষ্ঠানে রিপোর্টের বিষয়বস্তু নিয়ে একটি পর্বে ওয়েন্ডি ওয়ার্নারের সঞ্চালনায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আইএফসি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিবিদ ও রিপোর্টের সহ-রচয়িতা ইউলিয়া মিরোনোভা।

আরেক পর্বে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী এবং প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারস বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন আইএফসি বাংলাদেশের সিনিয়র কান্ট্রি অফিসার নুজহাত আনোয়ার।

রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে আলাদা পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার। মিডিয়া ব্রিফিং সঞ্চালনা করেন আইএফসি বাংলাদেশের যোগাযোগ কর্মকর্তা আহসান জেড. খান।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ , ১০ আষাঢ় ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪২

আইএফসির প্রতিবেদন

বেসরকারি খাত শক্তিশালী করতে আইনকানুন সংস্কার প্রয়োজন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন আইন-কানুন ও নীতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। গতকাল বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও বিশ্বব্যাংক প্রণীত বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়গনস্টিক (সিপিএসডি) নামের এ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরবর্তী দশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আকাক্সক্ষা পূরণে বাংলাদেশের এখন গতি পরিবর্তনের সময়। আর এ জন্য একটি আধুনিক, বৈচিত্র্যধর্মী ও প্রাণবন্ত বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে বিভিন্ন আইন-কানুন ও নীতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। রিপোর্টটি গতকাল ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক ভাইস প্রেসিডেন্ট আলফনসো গার্সিয়া মোরা বলেন, ‘অতিমারী বাংলাদেশের ওপর কঠিন আঘাত হেনেছে এবং দেশটি কোভিড-১৯ থেকে উত্তরণের পর্যায়ে থাকায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও দৃঢ়ভাবে দেখা দিয়েছে। মজবুত আর্থিক খাতের সহায়তায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ৭০ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের এবং এখন অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে এ খাতের জোরালো ভূমিকা রাখার দরকার যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি গুণগত মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।’

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী তৈরি পোশাক খাতের সাফল্য এবং সরকারের দূরদর্শী নীতি সহায়তায় রেমিট্যান্সের তেজী প্রবাহ বাংলাদেশের দৃঢ় ও প্রাণবন্ত প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে, এমনকি অতিমারীর সময়েও।

বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকা তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। আরও প্রাণবন্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং একটি বলিষ্ঠ ও অত্যাধুনিক বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে হবে, যা করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পর্যায়ের জন্য প্রাসঙ্গিক, যেখানে সরকারের বেশিরভাগ সম্পদের প্রয়োজন হবে সামাজিক খাতের জন্য।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রতিকূল প্রভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত বছর ইতিবাচক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ যে মন্দার কবলে পড়েনি। আমরা কোভিড-১৯ অতিমারীর সব চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। সিপিএসডি রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে যেতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংস্কার এজেন্ডার প্রধান অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি, আর্থিক খাতের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অপসারণ। বেসরকারি খাতে উজ্জ্বলতম বিনিয়োগ সম্ভাবনার খাতের মধ্যে রয়েছে পরিবহন ও লজিস্টিকস, জ্বালানি, আর্থিক সেবা, হালকা প্রকৌশল, কৃষি বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালে নিযুক্ত আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার বলেন, ‘এটা সুস্পষ্ট যে, গুণগত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে এবং স্বাস্থ্য পরিসেবার দক্ষতা বাড়াতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কেননা একই পর্যায়ের উন্নয়নে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে অর্থায়ন নিম্ন মাত্রার। এর বাইরে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যের তৈরি পোশাকের বাজারে মনোযোগ দিতে পারে ও নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন করতে পারে এবং পাদুকা, চামড়া, ইলেকট্রিক সামগ্রী এবং কৃষিবাণিজ্য রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।’

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এই প্রতিবেদনের ফলাফল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের কৌশলগত উপাদান প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে, যা বাজার সৃষ্টি এবং বেসরকারি খাতের সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণের পথ দেখাবে।

অনুষ্ঠানে রিপোর্টের বিষয়বস্তু নিয়ে একটি পর্বে ওয়েন্ডি ওয়ার্নারের সঞ্চালনায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আইএফসি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিবিদ ও রিপোর্টের সহ-রচয়িতা ইউলিয়া মিরোনোভা।

আরেক পর্বে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী এবং প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারস বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন আইএফসি বাংলাদেশের সিনিয়র কান্ট্রি অফিসার নুজহাত আনোয়ার।

রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে আলাদা পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার। মিডিয়া ব্রিফিং সঞ্চালনা করেন আইএফসি বাংলাদেশের যোগাযোগ কর্মকর্তা আহসান জেড. খান।