৮ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৩৪ শনাক্ত ৩৫৬

যশোরে মৃত্যু ১২

যশোর অফিস

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ড. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৬৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। নতুন করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন। বাকি ৯ জনের উপসর্গ ছিল। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৪৯ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন করোনা পজিটিভ রোগী। মারা গেছে ১৪৫ জন।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনাক্তের ঊর্ধ্বগতি রুখতে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকরে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। বিধিনিষেধ মানাতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসঙ্গে জনগণকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বগুড়ায় মৃত্যু ১০

প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছ। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ২ জন। এক দিনের মৃত্যুর সংখ্যার ক্ষেত্রে জেলায় এটাই সর্বোচ্চ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ জনের বাড়িই বগুড়ায়। অন্য ৩ জনের মধ্যে ২ জন নাটোরের এবং ১ জন নওগাঁর। একই সময় নতুন করে বগুড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩শ’ ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৭৯। আর জেলার ৩টি হাসপাতালের মধ্যে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন এবং বেসরকারী টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন মারা যান। অপরদিকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, করোনায় আক্রান্ত ছাড়াও হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। বুধবার জেলার ৩টি হাসপাতালে ৩৭৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নওগাঁয় মৃত্যু ৫

শনাক্ত ১১০

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

নওগাঁয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে সর্ব্বোচ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮২ জনে।

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বিবেচনায় শতকরা ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ। মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ৬০০ জন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যার্পিট এন্টিজেন ২০৫ টেস্টের মধ্যে ৪৪ জন ও আরটিপিসিআরের ১০৩ টেস্টের মধ্যে ৬৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে জেলায় একদিনে সর্ব্বোচ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন পতœীতলা উপজেলার ২, বদলগাছীর ১, রাণীনগররের ১ ও আত্রাইয়ের ১ জন।

চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যু

৪, শনাক্ত ৮৬

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গতকাল জেলায় নতুন করে আরও ৮৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন জীবননগর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের হক (৬৩)। এছাড়া হাসপাতালের ইয়েলো জোনে চিকিৎসারত করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তিনজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের এনামুল হক (৮০), একই উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের তানিয়া আক্তার(৩৬) ও দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের হাসেম আলি(৭০)।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম ফাতেহ্ আকরাম জানান, জেলায় নতুন শনাক্ত ৮৬ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৬ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ২০ জন ও জীবননগর উপজেলায় ২৬ জন। ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬ জন পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গাইবান্ধায় মৃত্যু

২, আক্রান্ত ২৫

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় করোনায় ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১৪ জন, সাদুল্যাপুরে ৫ জন, গোবিন্দগঞ্জে ২ জন, পলাশবাড়িতে ২ জন, সুন্দরগঞ্জে ১ জন এবং সাঘাটা উপজেলায় ১ জন আক্রান্ত হন। গতকাল সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়র হেসেনের (৮৫) মৃত্যু ও শহরের মধ্যপাড়ায় একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সিভিল সার্জন ডা. আ. ম আখতারুজ্জামান জানান, প্রতিনিধি নমুনা পরীক্ষা ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তবে অনেকে উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে এবং জনসমাগম এলাকায় চলাফেরা করছে।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

১, শনাক্ত ৯২

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হলো। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯২ জন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের প্রকাশ করা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বুধবার বিকেল ৪টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাকুন্দিয়ার সিরাজুল ইসলাম (৭৮) নামে এক করোনা রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮৮ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। এছাড়া বিগরত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সদরেই ৬৫ জন। এই সময়ে সুস্থও হয়েছেন ৩৭ জন। প্রতিবেদন অনুসারে সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৮২টি এবং পুরনো রোগীদের ১০টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬০টি নমুনা পরীক্ষায় ২টি পজিটিভ হয়েছে। অন্যদিকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল এবং করিমগঞ্জ, তাড়াইল, পাকুন্দিয়া ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৩টি নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় নতুন ৮টি ও পুরনো রোগীর একটি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৬৫ জন, কটিয়াদীতে ১১ জন, তাড়াইলে ৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ৪ জন, ভৈরবে ৩ জন, বাজিতপুরে ২ জন, আর হোসেনপুর ও নিকলীতে একজন করে। সুস্থ হয়েছেন সদরে ২৪ জন, করিমগঞ্জে ৭ জন, হোসেনপুর, ভৈরব ও বাজিতপুরে ২ জন করে। বুধবার রাতে জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭৬২ জন।

নবাবগঞ্জে শনাক্ত ১২

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ১ শত ৫৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২০ জন। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ জানান, গত ২৯ জুন ঢাকায় পাঠানো ৪২ জনের নমুনা থেকে নতুন করে আরও ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ১২ জনের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আক্রান্তের স্বজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ১ শত ৫৫ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের পর মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২০ জন।

ঝালকাঠিতে

শনাক্ত ৫১

জেলা বার্তা পরিশেক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৫১ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৫১ জন আক্রান্ত ও ১৬ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ঝালকাঠি জেলায় এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ ৬৭৭১ জনের নমুন পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ১৬৮১ জন, নেগেটিভ ৪৬৭২ আক্রান্ত হয়েছে এবং এ যাবত ১৩৬৮ জন সুস্থ হয়েছে ও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ২৬৮ জন হোম ও ১১ জন হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ড. রতন কুমার ঢালী এই তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার, ০২ জুলাই ২০২১ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৮ ২০ জিলক্বদ ১৪৪২

৮ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৩৪ শনাক্ত ৩৫৬

যশোরে মৃত্যু ১২

যশোর অফিস

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ড. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৬৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। নতুন করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন। বাকি ৯ জনের উপসর্গ ছিল। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৪৯ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন করোনা পজিটিভ রোগী। মারা গেছে ১৪৫ জন।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনাক্তের ঊর্ধ্বগতি রুখতে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকরে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। বিধিনিষেধ মানাতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসঙ্গে জনগণকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বগুড়ায় মৃত্যু ১০

প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছ। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ২ জন। এক দিনের মৃত্যুর সংখ্যার ক্ষেত্রে জেলায় এটাই সর্বোচ্চ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ জনের বাড়িই বগুড়ায়। অন্য ৩ জনের মধ্যে ২ জন নাটোরের এবং ১ জন নওগাঁর। একই সময় নতুন করে বগুড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩শ’ ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৭৯। আর জেলার ৩টি হাসপাতালের মধ্যে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন এবং বেসরকারী টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন মারা যান। অপরদিকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, করোনায় আক্রান্ত ছাড়াও হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। বুধবার জেলার ৩টি হাসপাতালে ৩৭৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নওগাঁয় মৃত্যু ৫

শনাক্ত ১১০

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

নওগাঁয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে সর্ব্বোচ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮২ জনে।

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বিবেচনায় শতকরা ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ। মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ৬০০ জন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যার্পিট এন্টিজেন ২০৫ টেস্টের মধ্যে ৪৪ জন ও আরটিপিসিআরের ১০৩ টেস্টের মধ্যে ৬৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে জেলায় একদিনে সর্ব্বোচ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন পতœীতলা উপজেলার ২, বদলগাছীর ১, রাণীনগররের ১ ও আত্রাইয়ের ১ জন।

চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যু

৪, শনাক্ত ৮৬

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গতকাল জেলায় নতুন করে আরও ৮৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন জীবননগর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের হক (৬৩)। এছাড়া হাসপাতালের ইয়েলো জোনে চিকিৎসারত করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তিনজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের এনামুল হক (৮০), একই উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের তানিয়া আক্তার(৩৬) ও দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের হাসেম আলি(৭০)।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম ফাতেহ্ আকরাম জানান, জেলায় নতুন শনাক্ত ৮৬ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৬ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ২০ জন ও জীবননগর উপজেলায় ২৬ জন। ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬ জন পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গাইবান্ধায় মৃত্যু

২, আক্রান্ত ২৫

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় করোনায় ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১৪ জন, সাদুল্যাপুরে ৫ জন, গোবিন্দগঞ্জে ২ জন, পলাশবাড়িতে ২ জন, সুন্দরগঞ্জে ১ জন এবং সাঘাটা উপজেলায় ১ জন আক্রান্ত হন। গতকাল সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়র হেসেনের (৮৫) মৃত্যু ও শহরের মধ্যপাড়ায় একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সিভিল সার্জন ডা. আ. ম আখতারুজ্জামান জানান, প্রতিনিধি নমুনা পরীক্ষা ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তবে অনেকে উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে এবং জনসমাগম এলাকায় চলাফেরা করছে।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

১, শনাক্ত ৯২

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হলো। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯২ জন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের প্রকাশ করা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বুধবার বিকেল ৪টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাকুন্দিয়ার সিরাজুল ইসলাম (৭৮) নামে এক করোনা রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮৮ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। এছাড়া বিগরত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সদরেই ৬৫ জন। এই সময়ে সুস্থও হয়েছেন ৩৭ জন। প্রতিবেদন অনুসারে সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৮২টি এবং পুরনো রোগীদের ১০টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬০টি নমুনা পরীক্ষায় ২টি পজিটিভ হয়েছে। অন্যদিকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল এবং করিমগঞ্জ, তাড়াইল, পাকুন্দিয়া ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৩টি নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় নতুন ৮টি ও পুরনো রোগীর একটি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৬৫ জন, কটিয়াদীতে ১১ জন, তাড়াইলে ৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ৪ জন, ভৈরবে ৩ জন, বাজিতপুরে ২ জন, আর হোসেনপুর ও নিকলীতে একজন করে। সুস্থ হয়েছেন সদরে ২৪ জন, করিমগঞ্জে ৭ জন, হোসেনপুর, ভৈরব ও বাজিতপুরে ২ জন করে। বুধবার রাতে জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭৬২ জন।

নবাবগঞ্জে শনাক্ত ১২

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ১ শত ৫৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২০ জন। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ জানান, গত ২৯ জুন ঢাকায় পাঠানো ৪২ জনের নমুনা থেকে নতুন করে আরও ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ১২ জনের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আক্রান্তের স্বজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ১ শত ৫৫ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের পর মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২০ জন।

ঝালকাঠিতে

শনাক্ত ৫১

জেলা বার্তা পরিশেক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৫১ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৫১ জন আক্রান্ত ও ১৬ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ঝালকাঠি জেলায় এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ ৬৭৭১ জনের নমুন পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ১৬৮১ জন, নেগেটিভ ৪৬৭২ আক্রান্ত হয়েছে এবং এ যাবত ১৩৬৮ জন সুস্থ হয়েছে ও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ২৬৮ জন হোম ও ১১ জন হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ড. রতন কুমার ঢালী এই তথ্য জানিয়েছে।