সূচক ৩৫ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমেছে ৮৫ কোটি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের শেয়ার বাজারে লেনদেনের সময় বেড়েছে এক ঘণ্টা। বর্ধিত সময়ে লেনদেন হলেও দিনশেষে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কমেছে। তবে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন এবং বীমা কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়াকে কেন্দ্র করে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ মূল্যসূচক ১০.১১ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমেছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এদিন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর লেনদেন সিএসইর লেনদেনের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। গতকাল ডিএসই ও সিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিক্রয় চাপ অব্যাহত ছিল ডিএসইতে। এরই ধারাবাহিকতায় বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৬৮ পয়েন্টে নেমে যায়। তবে, শেষ দুই ঘণ্টায় বিনিয়োগকারীদের ক্রয় প্রবণতায় দিনশেষে সূচক সবুজ হয়েছে।

দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৫.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এ সময় ডিএসইএস ও ডিএস-৩০ সূচক যথাক্রমে ১৪.০৫ পয়েন্ট ও ১৬.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪১.৫৪ পয়েন্ট ও ২ হাজার ২৪৮.২১ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯১টির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে ৮৫ কোটি ৬৫ লাখ লেনদেন কমেছে।

লেনদেন ভিত্তিতে (টাকায়) শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো, লাফার্জহোলসিম, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো ফার্মা, আমান ফিড, ন্যাশনাল ফিড মিল, আলিফ ম্যানুফেকচারিং, এমএল ডাইং, পাওয়ার গ্রিড ও অ্যাক্টিভ ফাইন।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- সিভিওপিআরএল, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স, এইচ.আর. টেক্সটাইল, আজিজ পাইপস, সোনালী পেপার, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ার গ্যালানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ, সিলকো ফার্মা ও মুন্নু এগ্রো।

দর পতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- ট্রাস্ট ব্যাংক, এনভয় টেক্সটাইল, এফএএস ফাইন্যান্স, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, অলিম্পিক এক্সেসোরিজ, ফেডারেল ইন্সুরেন্স, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মি. ফা., সিএপিএম বিডিবিএল মি. ফা. ০১, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি. ফা. ও ফারইস্ট ফাইন্যান্স।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৩৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ১৮.৪০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির।

দিনশেষে লেনদেন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭১৯ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৭১৩ টাকা।

শুক্রবার, ০৯ জুলাই ২০২১ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৮ ২৭ জিলক্বদ ১৪৪২

সূচক ৩৫ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমেছে ৮৫ কোটি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের শেয়ার বাজারে লেনদেনের সময় বেড়েছে এক ঘণ্টা। বর্ধিত সময়ে লেনদেন হলেও দিনশেষে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কমেছে। তবে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন এবং বীমা কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়াকে কেন্দ্র করে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ মূল্যসূচক ১০.১১ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমেছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এদিন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর লেনদেন সিএসইর লেনদেনের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। গতকাল ডিএসই ও সিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিক্রয় চাপ অব্যাহত ছিল ডিএসইতে। এরই ধারাবাহিকতায় বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৬৮ পয়েন্টে নেমে যায়। তবে, শেষ দুই ঘণ্টায় বিনিয়োগকারীদের ক্রয় প্রবণতায় দিনশেষে সূচক সবুজ হয়েছে।

দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৫.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এ সময় ডিএসইএস ও ডিএস-৩০ সূচক যথাক্রমে ১৪.০৫ পয়েন্ট ও ১৬.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪১.৫৪ পয়েন্ট ও ২ হাজার ২৪৮.২১ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯১টির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে ৮৫ কোটি ৬৫ লাখ লেনদেন কমেছে।

লেনদেন ভিত্তিতে (টাকায়) শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো, লাফার্জহোলসিম, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো ফার্মা, আমান ফিড, ন্যাশনাল ফিড মিল, আলিফ ম্যানুফেকচারিং, এমএল ডাইং, পাওয়ার গ্রিড ও অ্যাক্টিভ ফাইন।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- সিভিওপিআরএল, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স, এইচ.আর. টেক্সটাইল, আজিজ পাইপস, সোনালী পেপার, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ার গ্যালানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ, সিলকো ফার্মা ও মুন্নু এগ্রো।

দর পতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- ট্রাস্ট ব্যাংক, এনভয় টেক্সটাইল, এফএএস ফাইন্যান্স, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, অলিম্পিক এক্সেসোরিজ, ফেডারেল ইন্সুরেন্স, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মি. ফা., সিএপিএম বিডিবিএল মি. ফা. ০১, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি. ফা. ও ফারইস্ট ফাইন্যান্স।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৩৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ১৮.৪০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির।

দিনশেষে লেনদেন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭১৯ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৭১৩ টাকা।