পারিবারিক কলহে মুক্তিযোদ্ধা নিহত

কেরানীগঞ্জরে রুহিতপুরে ভাতিজার হাতে খুন হয়েছে চাচা মোজাফফর আলী (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা। এ ঘটনায় নিহত মুক্তিযোদ্ধার বড় মেয়ে মৌ (২০) ছুরিকাঘাতে মারাতœকভাবে আহত হয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মডেল থানার পশ্চিম রুহিতপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে নিহতের আপন ভাতিজা মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে ঠান্ডু মিয়া (৫০) চাচা এবং চাচাতো বোনকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে।

পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানাযায়, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলী কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রুহিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রুহিতপুরের মরহুম ডাক্তার আবদুল আলীর মেজো ছেলে। তিনি রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একাধিক বার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীর মৃতু্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নিহত মোজাফফরের বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুমসহ সব মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি খুনি সন্ত্রাসী যেই হোক গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা নিহতের ঘটনা তিনি নিজেসহ পুলিশের একাধিক টিম বিবিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১ , ৩ শ্রাবন ১৪২৮ ৭ জিলহজ ১৪৪২

পারিবারিক কলহে মুক্তিযোদ্ধা নিহত

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

কেরানীগঞ্জরে রুহিতপুরে ভাতিজার হাতে খুন হয়েছে চাচা মোজাফফর আলী (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা। এ ঘটনায় নিহত মুক্তিযোদ্ধার বড় মেয়ে মৌ (২০) ছুরিকাঘাতে মারাতœকভাবে আহত হয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মডেল থানার পশ্চিম রুহিতপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে নিহতের আপন ভাতিজা মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে ঠান্ডু মিয়া (৫০) চাচা এবং চাচাতো বোনকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে।

পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানাযায়, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলী কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রুহিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রুহিতপুরের মরহুম ডাক্তার আবদুল আলীর মেজো ছেলে। তিনি রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একাধিক বার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীর মৃতু্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নিহত মোজাফফরের বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুমসহ সব মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি খুনি সন্ত্রাসী যেই হোক গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা নিহতের ঘটনা তিনি নিজেসহ পুলিশের একাধিক টিম বিবিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।