কাঁচামাল তৈরিতে কর অবকাশ সুবিধা পাচ্ছে ওষুধ শিল্প

স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও ল্যাবরেটরি স্থাপনে কর অবকাশ সুবিধা দিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক উৎসাহ হিসেবে এ সুবিধা বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি এনবিআরের আওতাধীন আয়কর শাখা ন্যাশনাল অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতিমালাসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সাধারণত ১০ থেকে ২০ বছরের জন্য এই ধরনের কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়। এপিআই হলো সব ধরনের ওষুধ তৈরির জন্য প্রাথমিক কাঁচামাল।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার পর এ সংক্রান্ত এসআরও জারি করা হবে। শিল্প উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি করে আসছিলেন। তারা ২০৩২ সাল পর্যন্ত ওই সুবিধা দাবি করেছেন। এ সুবিধার আওতায় ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনকারীরা শতভাগ করপোরেট কর মওকুফসহ অন্যান্য কর সুবিধা ভোগ করে থাকেন।

সাধারণত ন্যাশনাল এপিআই এবং ল্যাবরেটরি রিএজেন্টস প্রোডাকশন এবং রপ্তানি নীতি ২০১৮ দেশীয় উৎপাদনকারীরা কর সুবিধার জন্য প্রাপ্য হন। শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারের কাছ থেকে রাজস্ব নীতির সহায়তা পেলে রপ্তানি প্রতিস্থাপন এবং রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই এপিআইয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ৯৮ শতাংশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে থাকে দেশের ওষুধ শিল্প। আর বাংলাদেশের ওষুধ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। যদিও স্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারীদের ভারত, চীন এবং কোরিয়ার মতো দেশ থেকে ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এপিআই নীতিমালা অনুসারে সরকার প্রয়োজনীয় ৩৭০টি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১ , ১০ শ্রাবন ১৪২৮ ১৪ জিলহজ ১৪৪২

কাঁচামাল তৈরিতে কর অবকাশ সুবিধা পাচ্ছে ওষুধ শিল্প

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও ল্যাবরেটরি স্থাপনে কর অবকাশ সুবিধা দিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক উৎসাহ হিসেবে এ সুবিধা বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি এনবিআরের আওতাধীন আয়কর শাখা ন্যাশনাল অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতিমালাসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সাধারণত ১০ থেকে ২০ বছরের জন্য এই ধরনের কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়। এপিআই হলো সব ধরনের ওষুধ তৈরির জন্য প্রাথমিক কাঁচামাল।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার পর এ সংক্রান্ত এসআরও জারি করা হবে। শিল্প উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি করে আসছিলেন। তারা ২০৩২ সাল পর্যন্ত ওই সুবিধা দাবি করেছেন। এ সুবিধার আওতায় ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনকারীরা শতভাগ করপোরেট কর মওকুফসহ অন্যান্য কর সুবিধা ভোগ করে থাকেন।

সাধারণত ন্যাশনাল এপিআই এবং ল্যাবরেটরি রিএজেন্টস প্রোডাকশন এবং রপ্তানি নীতি ২০১৮ দেশীয় উৎপাদনকারীরা কর সুবিধার জন্য প্রাপ্য হন। শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারের কাছ থেকে রাজস্ব নীতির সহায়তা পেলে রপ্তানি প্রতিস্থাপন এবং রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই এপিআইয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ৯৮ শতাংশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে থাকে দেশের ওষুধ শিল্প। আর বাংলাদেশের ওষুধ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। যদিও স্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারীদের ভারত, চীন এবং কোরিয়ার মতো দেশ থেকে ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এপিআই নীতিমালা অনুসারে সরকার প্রয়োজনীয় ৩৭০টি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।