ধর্ষণের মামলা থেকে রক্ষা পেতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করলেন ছাত্রলীগ নেতা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা পেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মো.আবু সুফিয়ান উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে এবং সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্ট এফিডেভিট করে বিয়ে করে সে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান একই বাড়ির ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন এবং চরজব্বার থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা গত বুধবার সন্ধ্যায় অভিযোগ করেছিল গত মঙ্গলবার রাতে সুফিয়ান তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সুবর্ণচর থানার ওসি মো. জিয়াউল হককে ফোনে অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করি। ওসি আমাকে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। আমি সর্বাত্মক আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করব।

চেয়ারম্যান আরও জানান, ভিকটিম এবং অভিযুক্ত ছেলে আত্মীয় হয়। শুনেছি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একাধিকবার মো. আবু সুফিয়ানের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।

চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, প্রেক্ষাপট যেটাই হোক, একটা বাল্য বিয়ে হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ সময় ছেলেপক্ষ পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আর থানায় আসেনি এবং কোন লিখিত অভিযোগও করেনি। ধর্ষণের ব্যাপারটি তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১ , ৩১ আশ্বিন ১৪২৮ ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ধর্ষণের মামলা থেকে রক্ষা পেতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করলেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা পেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মো.আবু সুফিয়ান উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে এবং সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্ট এফিডেভিট করে বিয়ে করে সে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান একই বাড়ির ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন এবং চরজব্বার থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা গত বুধবার সন্ধ্যায় অভিযোগ করেছিল গত মঙ্গলবার রাতে সুফিয়ান তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সুবর্ণচর থানার ওসি মো. জিয়াউল হককে ফোনে অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করি। ওসি আমাকে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। আমি সর্বাত্মক আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করব।

চেয়ারম্যান আরও জানান, ভিকটিম এবং অভিযুক্ত ছেলে আত্মীয় হয়। শুনেছি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একাধিকবার মো. আবু সুফিয়ানের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।

চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, প্রেক্ষাপট যেটাই হোক, একটা বাল্য বিয়ে হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ সময় ছেলেপক্ষ পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আর থানায় আসেনি এবং কোন লিখিত অভিযোগও করেনি। ধর্ষণের ব্যাপারটি তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।