এসবিএসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদের ৫ সহযোগীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

সাউথ-বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনের সহযোগী তপু কুমারসহ ৫ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই বিষয়ে ইমিগ্রেশন অথরিটিকে সতর্ক থাকার নির্দেশনাও জারি করা হয়। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুর্নীতি মামলায় এ আসামিরা জামিন আবেদন করেন। পর আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় এলে তারা হাজির হননি। এর আগেও একদিন তালিকায় ছিল সেদিনও আসেননি। এরপর আজকে তারা নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) চেয়েছেন। পরে আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজিপি, ইমিগ্রেশন ও দুদককে নির্দেশ দেয়।

পাঁচ আসামি হলেন- সাউথবাংলা ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. মঞ্জুরুল আলম, এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ নজরুল ইসলাম, ব্যাংকটির খুলনা শাখার সাবেক এমটিও ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তপু কুমার সাহা, বিদ্যুৎ কুমার ম-ল ও মারিয়া খাতুন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক লিমিটেডের (এসবিএসি) সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভুয়া স্টক লট প্রস্তুত করে খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেড নামীয় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। সংশ্লিষ্ট ঋণের বেনিফিসিয়ারিরা সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লি. থেকে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন।

পরবর্তী সময়ে তারা বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই টাকা বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। একইসঙ্গে ওই অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস ও অবস্থান গোপন করে বা পাচারের চেষ্টা করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধি ১৮৬০ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ

এসবিএসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদের ৫ সহযোগীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

আদালত বার্তা পরিবেশক

সাউথ-বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনের সহযোগী তপু কুমারসহ ৫ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই বিষয়ে ইমিগ্রেশন অথরিটিকে সতর্ক থাকার নির্দেশনাও জারি করা হয়। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুর্নীতি মামলায় এ আসামিরা জামিন আবেদন করেন। পর আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় এলে তারা হাজির হননি। এর আগেও একদিন তালিকায় ছিল সেদিনও আসেননি। এরপর আজকে তারা নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) চেয়েছেন। পরে আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজিপি, ইমিগ্রেশন ও দুদককে নির্দেশ দেয়।

পাঁচ আসামি হলেন- সাউথবাংলা ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. মঞ্জুরুল আলম, এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ নজরুল ইসলাম, ব্যাংকটির খুলনা শাখার সাবেক এমটিও ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তপু কুমার সাহা, বিদ্যুৎ কুমার ম-ল ও মারিয়া খাতুন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক লিমিটেডের (এসবিএসি) সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভুয়া স্টক লট প্রস্তুত করে খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেড নামীয় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। সংশ্লিষ্ট ঋণের বেনিফিসিয়ারিরা সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লি. থেকে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন।

পরবর্তী সময়ে তারা বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই টাকা বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। একইসঙ্গে ওই অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস ও অবস্থান গোপন করে বা পাচারের চেষ্টা করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধি ১৮৬০ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।