দফতর বণ্টন

স্বরাষ্ট্র অমিত শাহ, প্রতিরক্ষায় রাজনাথ

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে মহাসমারোহে ৫৮ মন্ত্রীর শপথগ্রহণের পর গতকাল সন্ধ্যায় প্রথমবার বৈঠকে বসেছে নরেন্দ্র মোদির নতুন ক্যাবিনেট। এবার মোদি মন্ত্রিসভার চমক বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। অন্যদিকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন অরুণ জেটলি থেকে শুরু করে সুষমা স্বরাজের মতো প্রবীণ বিজেপি নেতানেত্রীরা। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই দায়িত্ব নিতে চাননি প্রবীণ নেতারা। তবে গত মন্ত্রিসভার সদস্য রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামণ, পীযূষ গোয়েল এবারও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকছে মহাকাশ, পরমাণু, কর্মীবর্গ ও জনঅভিযোগ। পেনশন, গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণের দায়িত্বেও তিনিই থাকবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রাজনাথ সিংহকে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এলেন অমিত শাহ। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করের হাতে এসেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিতিন গডকড়িকে দেয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দায়িত্বও তারই। নির্মলা সীতারমণকে দেয়া হয়েছে অর্থ ও করপোরেট সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। রামবিলাস পাসোয়ান পেয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও গণবণ্টনের দায়িত্ব। নরেন্দ্র সিংহ তোমর পেয়েছেন কৃষি, গ্রাম উন্নয়ন দফতর ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। রবিশঙ্কর প্রসাদকে আগের মতোই আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হঝেছে। এর সঙ্গে যোগাযোগ, বৈদ্যুতিক ও তথ্যপ্রযুক্তিও তিনিই সামলাবেন। হরসিমরত কউর বাদল পেয়েছেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। থবরচন্দ গহলৌত পেয়েছেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রিসভার নতুন মুখ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক পেয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। ঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা পেয়েছেন আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্মৃতি জুবিন ইরানি পেয়েছেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও তিনি। হর্ষবর্ধনকে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূবিজ্ঞান দফতরের দায়িত্বও তার। প্রকাশ জাভড়েকর পেয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তনের দায়িত্ব। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তার। পীযূষ গয়াল আগের মতোই রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই রইলেন। এর সঙ্গে রয়েছে শিল্প-বাণিজ্যও। ধর্মেন্দ্র প্রধান পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ইস্পাত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও তিনি। মুখতার আব্বাস নকভি পেয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। প্রহ্লাদ জোশি পেয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। কয়লা ও খনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও তিনি। মহেন্দ্র নাথ পান্ডের দায়িত্বে দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রণালয়। অরবিন্দ সবন্ত মন্ত্রিসভার নতুন মুখ। তিনি পেয়েছেন ভারী শিল্প ও বেসরকারি উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। গিরিরাজ সিংহ বেগুসরাই থেকে কানহাইয়া কুমারকে পরাজিত করেছেন। গিরিরাজ পেয়েছেন পশুপালন, ডেইরি ও মৎস্য দফতরের দায়িত্ব। গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত পেয়েছেন পানিশক্তি দফতরের দায়িত্ব। এদিকে বাংলা থেকে বাবুল সুপ্রিয় পেয়েছেন বন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অব্যবহিত পর টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সংমিশ্রণে মন্ত্রিসভাটি তৈরি করা হয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা পূরণে দায়িত্ব আমাদের দিতে হবে। সেভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে। এরপর গতকাল সকালে কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের ছবিও টুইটারে পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি।

শনিবার, ০১ জুন ২০১৯ , ১৮ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৬ রমজান ১৪৪০

মোদির মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক

দফতর বণ্টন

স্বরাষ্ট্র অমিত শাহ, প্রতিরক্ষায় রাজনাথ

সংবাদ ডেস্ক

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে মহাসমারোহে ৫৮ মন্ত্রীর শপথগ্রহণের পর গতকাল সন্ধ্যায় প্রথমবার বৈঠকে বসেছে নরেন্দ্র মোদির নতুন ক্যাবিনেট। এবার মোদি মন্ত্রিসভার চমক বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। অন্যদিকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন অরুণ জেটলি থেকে শুরু করে সুষমা স্বরাজের মতো প্রবীণ বিজেপি নেতানেত্রীরা। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই দায়িত্ব নিতে চাননি প্রবীণ নেতারা। তবে গত মন্ত্রিসভার সদস্য রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামণ, পীযূষ গোয়েল এবারও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকছে মহাকাশ, পরমাণু, কর্মীবর্গ ও জনঅভিযোগ। পেনশন, গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণের দায়িত্বেও তিনিই থাকবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রাজনাথ সিংহকে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এলেন অমিত শাহ। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করের হাতে এসেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিতিন গডকড়িকে দেয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দায়িত্বও তারই। নির্মলা সীতারমণকে দেয়া হয়েছে অর্থ ও করপোরেট সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। রামবিলাস পাসোয়ান পেয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও গণবণ্টনের দায়িত্ব। নরেন্দ্র সিংহ তোমর পেয়েছেন কৃষি, গ্রাম উন্নয়ন দফতর ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। রবিশঙ্কর প্রসাদকে আগের মতোই আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হঝেছে। এর সঙ্গে যোগাযোগ, বৈদ্যুতিক ও তথ্যপ্রযুক্তিও তিনিই সামলাবেন। হরসিমরত কউর বাদল পেয়েছেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। থবরচন্দ গহলৌত পেয়েছেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রিসভার নতুন মুখ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক পেয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। ঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা পেয়েছেন আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্মৃতি জুবিন ইরানি পেয়েছেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও তিনি। হর্ষবর্ধনকে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূবিজ্ঞান দফতরের দায়িত্বও তার। প্রকাশ জাভড়েকর পেয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তনের দায়িত্ব। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তার। পীযূষ গয়াল আগের মতোই রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই রইলেন। এর সঙ্গে রয়েছে শিল্প-বাণিজ্যও। ধর্মেন্দ্র প্রধান পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ইস্পাত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও তিনি। মুখতার আব্বাস নকভি পেয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। প্রহ্লাদ জোশি পেয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। কয়লা ও খনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও তিনি। মহেন্দ্র নাথ পান্ডের দায়িত্বে দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রণালয়। অরবিন্দ সবন্ত মন্ত্রিসভার নতুন মুখ। তিনি পেয়েছেন ভারী শিল্প ও বেসরকারি উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। গিরিরাজ সিংহ বেগুসরাই থেকে কানহাইয়া কুমারকে পরাজিত করেছেন। গিরিরাজ পেয়েছেন পশুপালন, ডেইরি ও মৎস্য দফতরের দায়িত্ব। গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত পেয়েছেন পানিশক্তি দফতরের দায়িত্ব। এদিকে বাংলা থেকে বাবুল সুপ্রিয় পেয়েছেন বন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অব্যবহিত পর টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সংমিশ্রণে মন্ত্রিসভাটি তৈরি করা হয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা পূরণে দায়িত্ব আমাদের দিতে হবে। সেভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে। এরপর গতকাল সকালে কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের ছবিও টুইটারে পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি।